আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি৷ বড় আপু ক্লাস সেভেনে৷
গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে "মাইজ্জা দুনিয়া খায় ভাইজ্জা"
আমিও তার ব্যাতিক্রম ছিলাম না,সারাদিন হৈ—হুল্লোড় দৌড়াদৌড়ি, অন্যের গাছের ফল চুরি,আড্ডা,খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম সারাদিন ৷
ধর্মান্ধ বাবার শত বারণেও কাজ হত না ৷
গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে "মাইজ্জা দুনিয়া খায় ভাইজ্জা"
আমিও তার ব্যাতিক্রম ছিলাম না,সারাদিন হৈ—হুল্লোড় দৌড়াদৌড়ি, অন্যের গাছের ফল চুরি,আড্ডা,খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম সারাদিন ৷
ধর্মান্ধ বাবার শত বারণেও কাজ হত না ৷
বড় আপুর তখন শরীরির পরিবর্তন হতে থাকে,বাবার মনে হলো এখন আর মেয়েদের স্কুলে পড়ানো যাবে না ৷পর্দা করার সময় চলে এসেছে৷
তাই তিনি ভাবলেন মেয়েদের মাদ্রাসায় পড়াবেন৷
ভাবনানুযায়ী কাজ!
ঢাকা থেকে আব্বু বাড়ী গেলেন আমাদের ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য৷যখন জানতে পারলাম আমাদের দু বোন কে আব্বু গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে নতুন জায়গায় ভর্তি করবেন ৷
তখন আমি আব্বুকে শুধু জিজ্ঞেস করতাম ওখানে কি খেলার মাঠ আছে? বৌ-ছি, গোল্লাছুট,দাড়িয়েবান্দা,ডাংগুটি এসব খেলতে পারবো ?
আব্বু বল্লেন গেলেই তো দেখতে পারবি!
তবুও মনটা কেমন অস্থির হয়ে থাকতো,এই নদী ,নদীর পাড়ে বর্শি দিয়ে মাছ ধরা,খেলা সব সব বন্ধ হয়ে যাবে! বাড়ীর সমবয়সি কারো সাথে আর খেলা হবেনা!
তাই তিনি ভাবলেন মেয়েদের মাদ্রাসায় পড়াবেন৷
ভাবনানুযায়ী কাজ!
ঢাকা থেকে আব্বু বাড়ী গেলেন আমাদের ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য৷যখন জানতে পারলাম আমাদের দু বোন কে আব্বু গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে নতুন জায়গায় ভর্তি করবেন ৷
তখন আমি আব্বুকে শুধু জিজ্ঞেস করতাম ওখানে কি খেলার মাঠ আছে? বৌ-ছি, গোল্লাছুট,দাড়িয়েবান্দা,ডাংগুটি এসব খেলতে পারবো ?
আব্বু বল্লেন গেলেই তো দেখতে পারবি!
তবুও মনটা কেমন অস্থির হয়ে থাকতো,এই নদী ,নদীর পাড়ে বর্শি দিয়ে মাছ ধরা,খেলা সব সব বন্ধ হয়ে যাবে! বাড়ীর সমবয়সি কারো সাথে আর খেলা হবেনা!
ঢাকায় আসার পর বাবা যেখানে থাকতেন সেখানে দুদিন রাখলেন, তারপর একদিন দুপুরের খাওয়া শেষ করে আমাদের নিয়ে গেলেন যেখানে ভর্তি করা হবে সেখানে৷
গেইট পেরিয়ে প্রথম রুমে ঢুকতেই কেমন মন মরা হয়ে গেলাম—
একটা রুমের মাঝখানে দুই প্রান্ত জুড়ে ভারী পর্দা ঝুলছে৷একজন হুজুর বসে রয়েছেন, আব্বু তার সাথে কথা বলে ভর্তির সব কাজ শেষ করে ফেল্লেন৷
তার একটু বাদেই আব্বু চলে গেলেন ৷
গেইট পেরিয়ে প্রথম রুমে ঢুকতেই কেমন মন মরা হয়ে গেলাম—
একটা রুমের মাঝখানে দুই প্রান্ত জুড়ে ভারী পর্দা ঝুলছে৷একজন হুজুর বসে রয়েছেন, আব্বু তার সাথে কথা বলে ভর্তির সব কাজ শেষ করে ফেল্লেন৷
তার একটু বাদেই আব্বু চলে গেলেন ৷
হুজুর একটা ছোট মেয়েকে বল্লেন ওদের ভিতরে নিয়ে যাও ৷
ঐ পর্দাটা সরিয়ে সামনে যেতে দেখলাম আরো একটা ভারী পর্দা দরজায় ঝুলছে, আপু সামনে আমি পিছনে৷
একটু সামনে যেতেই কেমন ঘুটঘুটে অন্ধকার মনে হচ্ছে গভীর রাত,অথচ তখনও সূর্য শেষ আকাশে রয়েছে৷
সামনে আরো একটা পর্দা উচিয়ে আরো একটা রুম দেখতে পেলাম জানালার পর্দার হাল্কা ফাঁকা দিয়ে মৃদু আলোয় রুমটা পুরোপুরি পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না ৷
সাথের মেয়েটা কাউকে উদ্দেশ্য করে বল্লো খালাম্মা নতুন ছাত্রী এসেছে, তিনি উঠে লাইট অন করলেন৷
অসম্ভব সুন্দরী এক মহিলা , বয়স ত্রিশ-বত্রিশ হবে৷
তিনি একটা খাটে শুয়েছিলেন, ফ্লোরে একটা চাদর বিছিয়ে আমাদের কে বল্লেন এখানে বসো৷ আপু বাধ্য মেয়ের মত বসে পড়লেন৷ আমি ওখানে না বসে খাটের এক পাশে বসলাম৷ সঙ্গের মেয়েটি আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বল্লো তুমি এখানে বসছো কেন? খালাম্মার খাটে কোন ছাত্রীরা বসেনা বেয়াদবি হয় ৷
তবুও আমি উঠলামনা ৷
খালাম্মা আমাদের নাম,বাড়ী কয় ভাইবোন সব জিজ্ঞেস করলেন ৷তারপর উঠে দাড়ালেন প্রতিটি রুমের দরজার কাছে গিয়ে দরজার লক রিং ধরে জোরে জোরে ঝাকাচ্ছেন আর ছাত্রিদের উদ্দেশে বলছেন সবাই উঠো আছরের নামাজের সময় হয়েছে ৷
ঐ পর্দাটা সরিয়ে সামনে যেতে দেখলাম আরো একটা ভারী পর্দা দরজায় ঝুলছে, আপু সামনে আমি পিছনে৷
একটু সামনে যেতেই কেমন ঘুটঘুটে অন্ধকার মনে হচ্ছে গভীর রাত,অথচ তখনও সূর্য শেষ আকাশে রয়েছে৷
সামনে আরো একটা পর্দা উচিয়ে আরো একটা রুম দেখতে পেলাম জানালার পর্দার হাল্কা ফাঁকা দিয়ে মৃদু আলোয় রুমটা পুরোপুরি পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না ৷
সাথের মেয়েটা কাউকে উদ্দেশ্য করে বল্লো খালাম্মা নতুন ছাত্রী এসেছে, তিনি উঠে লাইট অন করলেন৷
অসম্ভব সুন্দরী এক মহিলা , বয়স ত্রিশ-বত্রিশ হবে৷
তিনি একটা খাটে শুয়েছিলেন, ফ্লোরে একটা চাদর বিছিয়ে আমাদের কে বল্লেন এখানে বসো৷ আপু বাধ্য মেয়ের মত বসে পড়লেন৷ আমি ওখানে না বসে খাটের এক পাশে বসলাম৷ সঙ্গের মেয়েটি আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বল্লো তুমি এখানে বসছো কেন? খালাম্মার খাটে কোন ছাত্রীরা বসেনা বেয়াদবি হয় ৷
তবুও আমি উঠলামনা ৷
খালাম্মা আমাদের নাম,বাড়ী কয় ভাইবোন সব জিজ্ঞেস করলেন ৷তারপর উঠে দাড়ালেন প্রতিটি রুমের দরজার কাছে গিয়ে দরজার লক রিং ধরে জোরে জোরে ঝাকাচ্ছেন আর ছাত্রিদের উদ্দেশে বলছেন সবাই উঠো আছরের নামাজের সময় হয়েছে ৷
আমি বসে বসে সবার কান্ড দেখছি, সঙ্গের মেয়েটি আমার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তখনো তাকিয়ে ছিলো, দু একজন ছাত্রীর কাছেও ফিসফিস করে বিষয়টি বল্লো৷
এরপরই দেখি দু রুমের দুটি বাথরুমের সামনে মেয়েরা সিরিয়াল দিয়ে দাড়াচ্ছে ৷
এরপরই দেখি দু রুমের দুটি বাথরুমের সামনে মেয়েরা সিরিয়াল দিয়ে দাড়াচ্ছে ৷
ছয় রুমের ঐ মাদ্রাসায় মোট চারটা বাথরুম একটা দপ্তর রুমে হুজুররা ব্যবহার করে,আরেকটা বাথরুম খালাম্মা একা ব্যাবহার করেন ৷
আর প্রায় একশত ছাত্রীর জন্য মাত্র দুটো বাথরুম ৷
খালাম্মার বাথরুমটাও ছাত্রীদের ইউজ বেয়াদবির৷
আর প্রায় একশত ছাত্রীর জন্য মাত্র দুটো বাথরুম ৷
খালাম্মার বাথরুমটাও ছাত্রীদের ইউজ বেয়াদবির৷
প্রতিটি রুম ঘুরে দেখলাম বাইরের অংশের প্রতিটি জানালায় ভারী পর্দা ঝুলছে— প্রতিটি রুমের চারো পাশে সিরিয়াল দিয়ে ট্রাঙ্ক রাখা৷ দেয়ালে তাক রয়েছে যেখানে অসংখ্য কোরানশরীফ রাখা৷
আছরের নামাজ শেষে সবাই কোরান তেলোয়াতের জন্য বসে পড়লো৷
সব দেখে কেমন অস্থির লাগতে শুরু করেছিলো, কোথায় খেলার মাঠ?
আমি আপুকে বল্লাম আমি এখানো থাকবোনা এখনি চলে যাবো৷
আপু বল্লো আব্বু তো চলে গেসে এখন যাবি কি করে ?
বল্লাম একাই চলে যাবো!
আমি ধেইধেই করে দপ্তর রুমে চলে এলাম সেই হুজুর কিছু একটা লিখালিখি করছিলো আমাকে দেখে বল্লেন কিছু বলবে ?
বল্লাম আমি এখানে থাকবোনা বাসায় যাবো-এটা বলেই দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম, উপরের ছিটকিনি লাগানো দেখে হুজুরকে বল্লাম দরজা খুলেদিন আমি বাসায় যাবো ৷
হুজুর আমাকে বশে আনার চেষ্টা করলেন অনেক্ষন, কোন কাজ হল না ৷
পাশেই চালের বস্তার উপর বসে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম ৷
হুজুর তখনও আমাকে বোঝাচ্ছিলেন, লং টাইম পর হুজুর বিরক্ত হয়ে একটা লাঠি নিয়ে এলেন আমাকে ভয় দেখানোর জন্য!
ভয় দেখিয়ে আমাকে কোন কালেই বশ করানো সম্ভব হয়নি ৷
উল্টো আমি হুজুরের হাত থেকে লাঠিটা টান মেরে নিয়ে হুজুরকে বল্লাম আমাকে একটা বারি দিলে আমি আপনাকে দুটো বারি দিবো৷
হুজুর চোখ গরম করলেন তারপর বিরবির করে কিছু একটা বলতে বলতে তার আগের স্থানে গিয়ে বসলেন ৷
আমাকে ধমক দিয়ে বল্লেন যাও ভিতরে যাও, আমার কান্না শুনে সমবয়সি আরো দুতিনটি মেয়েও চলে এসেছে দপ্তর রুমে ৷
হুজুর তখনো আমাকে বিরবির করে কিছু বলেই যাচ্ছেন, আমারো রাগ বেড়েই চল্লো ৷
সমবয়সি মেয়েদেরকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন তোমরা জোর করে এই বেয়াদব মেয়েটাকে নিয়ে যাও তো!
ওমনি আমি দৌড়ে গিয়ে দু-হাতে হুজুরের দাড়ি খামচে ধরে টানতে শুরু করলাম ৷
হুজুর খুব কষ্ট করে আমাকে ছাড়ালেন তবে কোন আঘাত করেননি ৷
সব দেখে কেমন অস্থির লাগতে শুরু করেছিলো, কোথায় খেলার মাঠ?
আমি আপুকে বল্লাম আমি এখানো থাকবোনা এখনি চলে যাবো৷
আপু বল্লো আব্বু তো চলে গেসে এখন যাবি কি করে ?
বল্লাম একাই চলে যাবো!
আমি ধেইধেই করে দপ্তর রুমে চলে এলাম সেই হুজুর কিছু একটা লিখালিখি করছিলো আমাকে দেখে বল্লেন কিছু বলবে ?
বল্লাম আমি এখানে থাকবোনা বাসায় যাবো-এটা বলেই দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম, উপরের ছিটকিনি লাগানো দেখে হুজুরকে বল্লাম দরজা খুলেদিন আমি বাসায় যাবো ৷
হুজুর আমাকে বশে আনার চেষ্টা করলেন অনেক্ষন, কোন কাজ হল না ৷
পাশেই চালের বস্তার উপর বসে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম ৷
হুজুর তখনও আমাকে বোঝাচ্ছিলেন, লং টাইম পর হুজুর বিরক্ত হয়ে একটা লাঠি নিয়ে এলেন আমাকে ভয় দেখানোর জন্য!
ভয় দেখিয়ে আমাকে কোন কালেই বশ করানো সম্ভব হয়নি ৷
উল্টো আমি হুজুরের হাত থেকে লাঠিটা টান মেরে নিয়ে হুজুরকে বল্লাম আমাকে একটা বারি দিলে আমি আপনাকে দুটো বারি দিবো৷
হুজুর চোখ গরম করলেন তারপর বিরবির করে কিছু একটা বলতে বলতে তার আগের স্থানে গিয়ে বসলেন ৷
আমাকে ধমক দিয়ে বল্লেন যাও ভিতরে যাও, আমার কান্না শুনে সমবয়সি আরো দুতিনটি মেয়েও চলে এসেছে দপ্তর রুমে ৷
হুজুর তখনো আমাকে বিরবির করে কিছু বলেই যাচ্ছেন, আমারো রাগ বেড়েই চল্লো ৷
সমবয়সি মেয়েদেরকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন তোমরা জোর করে এই বেয়াদব মেয়েটাকে নিয়ে যাও তো!
ওমনি আমি দৌড়ে গিয়ে দু-হাতে হুজুরের দাড়ি খামচে ধরে টানতে শুরু করলাম ৷
হুজুর খুব কষ্ট করে আমাকে ছাড়ালেন তবে কোন আঘাত করেননি ৷
হয়ত নতুন ছিলাম তাই কিছু বলেননি৷
সেদিন রাতেই হুজুর আব্বুর কর্মস্থলে গিয়ে আমার ব্যাপারে সব বলে এলেন৷
পরদিন ফজরের নামাজ শেষ করেই আব্বু মাদ্রাসায় এসেছিলেন খুব বকলেন আমাকে—
তারপর হাজার চেষ্টার পর হুজুরের কাছে ক্ষমা চাওয়ালেন........
সেদিন রাতেই হুজুর আব্বুর কর্মস্থলে গিয়ে আমার ব্যাপারে সব বলে এলেন৷
পরদিন ফজরের নামাজ শেষ করেই আব্বু মাদ্রাসায় এসেছিলেন খুব বকলেন আমাকে—
তারপর হাজার চেষ্টার পর হুজুরের কাছে ক্ষমা চাওয়ালেন........
EmoticonEmoticon