আমি লিখতে পারছি না, মনের মধ্যে লিখার স্পিড আগ্রহ দুইটাই হারিয়ে যায়, ভাবনার জগতে নানা বিদ্রোহ, অস্থির চিন্তাগুলো মনকে উগড়ে দেয়। জানি দুনিয়াটা বড় নির্মম। মানুষগুলো ঠিক শরীরে মাংসে মানুষ দেখালেও সবাই মানুষ হয়ে উঠে না। একটা ইতর সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। হিংস্র আর পাশবিকতায় দুনিয়া ভরে গেছে।
রুপা নামের মেয়েটার নিউজটা পড়তে পড়তে দ্রোহের আগুন মনের মাঝে জ্বলে। আমার কোন শক্তি নাই, ক্ষমতা নাই, সাহস নাই। এক ভিড়ু সময় পার করছি। একটি মেয়ে সমাজের মধ্যে তার স্বাভাবিক জীবন পার করতে পারে না। নর খাদকেরা চারদিক দিয়ে হামলে পড়ে। নারীর মাংসপিণ্ডে এদের এত লোভ যে স্বাভাবিক মানবিক সব বোধ হারিয়ে ওরা হিংস্র হয়ে ওঠে। একা একটি বাসের মধ্যে মেয়েটিকে শুধু ভোগের উপকরণ হয়ে উঠে। ওরে খাদকের দল তখন তোদের দায়িত্ব ছিল ঐ মেয়েটিকে তার আশ্রয়ে পৌছে দেওয়া। তা না করে নিজের লোভের খাদ্য বানালে? একটা কঠিন সময়ের মুখোমুখি আমরা। এই সমাজ, এই সিস্টেম টোটাল নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে নর খাদকেরা বাস করে যারা এক একটা পাশবিক মূর্তি নিয়ে হাজির হয়।
যারা রুপার ধর্ষক হিসেবে হাজির হয়েছে তারা শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষ। কিন্তু চিন্তায় মগজে এরা শুধু এক একটা আদিম লোভী জগণ্য স্থরের ইতর রয়ে গেছে। প্রলেতারিয়েত দৃষ্টিভঙ্গি এবং দর্শন থেকে দূরে থাকার কারণে এদের মগজে সেই আদিম চিন্তা বাসা বেঁধেছে। এখান থেকে এখনো কোন শ্রেণীর পুরুষ মুক্ত হতে পারছে না।
পুরুষের মাথায় যতদিন নারী মাংসপিণ্ড, উপাদেয় খাদ্য হয়ে থাকবে ততদিন এই খাদকদের হাত থেকে নিস্তার নাই। পুরুষ যতদিন নারীকে তার সহযোগী সঙ্গী সাথী হিসেবে না নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী তার সংস্কৃতি ও মনজগতের চিন্তার বিকাশ না ঘটাচ্ছে ততদিন এই সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় নেই।
নারীকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য সমাজ বিদ্রোহ করা ছাড়া উপায় নেই। এক একটা জানোয়ারের বিরুদ্ধে ব্রাশফায়ার ছাড়া কোন পথ নেই। নারীকে আজ বেছে নিতে হবে সে কী চায়? নিজেকে মুক্ত করতে হলে গোটা সমাজটাকে বদলে ফেলতে হবে। এজন্য বিদ্রোহী হওয়া ছাড়া অন্য পথ দেখছি না।
EmoticonEmoticon