অসত্ মাতার কন্যা যদি,
অসত্ কন্যা হয়,
অসত্ পিতার পুত্র ও তবে,
জারজ সুনিশ্চয়!
উপরোক্ত পঙতিগুলো কে লিখেছেন, তা ভুলে গেছি। তবে কবি যে খুব বেশি একটা ভুল লিখেছেন তা নয়। আজ আমরা একটা ধর্ষক রাষ্ট্রে বসবাস করছি, এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে ধর্ষিতার হাহাকার! এখানে হাঁটে/মাঠে/গঞ্জে/ঘাঁটে/অট্রালিকা/ছাঁপড়া ঘরে/মক্তব/মসজিদ/স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে/থানা কম্পাউন্ডে/হাসপাতালে/জেলে/চলন্ত/থেমে থাকা গাড়িতে ধর্ষণ করা হয়। প্রতিবছর গড়ে ৩০০০ এর মতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমাদের দেশে। ধর্ষণের পরিসংখ্যান আমাদের কাছে আছে, তবে কয়টা ধর্ষকের এ পর্যন্ত শাস্তি হয়েছে তা আমাদের অজানা। বলছিলাম, ধর্ষণের কথা! তা লোকে ধর্ষণ করে কেন? কি কারণে করে? কিসের লোভে করে? কি মজা পায়? তা মেডিকেল সাইন্স এবং মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার ধারণা, যারা ধর্ষণ করে, সেই ধর্ষকদের জন্মের সাথে ও ধর্ষণ জড়িত। হতে পারে তাদের মা বাবার যে মিলনের ফলে তাদের জন্ম হয়েছে, তাতে ভালবাসা ছিলনা! ছিল নিজের কামক্ষুধা মেটানো! হতে পারে সেই সময় তাদের মা হয়তো মিলনে রাজী ছিলনা, কিন্তু কামলিপ্সু পিতা কাম ছাড়া থাকবে কেমন করে? তাই এক প্রকার জোর করেই সেই অনিচ্ছুক মহিলার সাথে সঙ্গম করেছিল! একজনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যে সঙ্গম সেটাকেই তো ধর্ষণ বলে নাকি? তো ধর্ষণের মাধ্যমে জন্ম লাভ করা/ধর্ষক পিতার জিন বহন করা সন্তান ধর্ষক হবে না তো কি ফেরেশতা হবে?
EmoticonEmoticon