মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের দাবি নিষিদ্ধ হোক জামায়াত - শিবির!

খুনিরা একাত্তরের ডিসেম্বর মাসে খুন করার আগে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিদের চোখ তুলে তুলে একটা বালতির মধ্যে জড়ো করেছিল। কারা ছিল সেই বর্বর?
আজকের জামায়াত-শিবির।
দুই পুত্রকে জবাই করে রক্তগুলো বালতিতে ভরে রেখে, তারপর বৃদ্ধা বিধবা মাকে উঠানে বসিয়ে সেই রক্ত দিয়ে গোসল করিয়েছিল, কারা?
আজকের জামায়াত-শিবির।
গর্ভবতী মায়ের পেটে অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শিশু ভ্রুণ হত্যা করেছিল কারা?
আজকের জামায়াত-শিবির।
অসংখ্য শিশুদের মাথা দেয়ালে পেরেক ঠুকে ঠুকে হত্যা করেছিল কারা?
আজকের জামায়াত-শিবির।
নিজ দেশের নিজ প্রতিবেশীর মা বোনদের পাকিস্তানি কুত্তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল কারা?
আজকের জামায়াত-শিবির।

জামায়াত-শিবির আর বাংলাদেশের অন্য দলগুলোর মধ্যে আছে বহু মৌলিক ব্যবধান।আদালতও জামায়াত ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আজ যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অরাজকতা বাংলাদেশে হচ্ছে তার মূলহোতা জামায়াত-শিবির।এরা চায় বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারাতে নিয়ে যেতে এবং একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে। এই কেউটেদের থেকে সাবধান হওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে । সুযোগ পেলেই এরা বিষদাঁত বসিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন কৌশলে ।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্যই এদের নিষিদ্ধ করা জরুরি।
নিষিদ্ধ করার পর এরা অন্য দলে ঢুকে যাবে? ব্যপারটা কি অতটাই সহজ? নিষিদ্ধ একটা দলের নেতা কর্মীদের আশ্রয় দেয়া সহজ? যদি কেউ দেয় তার দায়িত্ব সেই দলের। জনগণ অন্ধ নয়। আর অন্য দলগুলো কি সবাই জামায়াত মতাদর্শ ধারণ করে? জার্মানির যুদ্ধাপরাধী দল বিএনপি আজো নিষিদ্ধ। দেশে খুন কমবে না, এই অজুহাতে কি আমরা খুনিদের শাস্তি দেব না?
জামায়াতের নতুন কোন দল গঠনের কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে কোন সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন নিষিদ্ধ।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে একাত্তরে তার ভয়াবহ ভূমিকার কারণে, তার সন্ত্রাসবাদী চরিত্রের কারণে, তার দলগত রাষ্ট্রদ্রোহিতার কারণে।

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে প্রত্যেকের নতুন করে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। এই বিষবৃক্ষটা বাংলার মাটি থেকে উপড়ে ফেলতে যত দেরি হবে, ততই দেশ পিছিয়ে যাবে পাকিস্তানের কৃষ্ণ গহবরে।

মাননীয় সরকার বাহাদুর, একটু বলবেন কি,
যে দলটিকে সম্মানিত আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন বলেছেন, তারা আজো বাংলাদেশে রাজনীতি করে কীভাবে?

একাত্তরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ফুটপাতে বসে তাবিজ বিক্রি করত।এখন তার সম্পদের পাহাড়। তাদের সন্তানেরা প্রাইভেট কারে চড়ে বেড়ায়।
আর এখনো বহু মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানেরা রিকশা চালায়, ভিক্ষা করে, খাদ্যের অভাবে না খেয়ে মরে।

সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরা অপরাধী হিসাবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সুবিধা পায়। তাদের সন্তানেরা বিজয়ীর মতো 'ভি ' চিহ্ন দেখায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে এখনো পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে কীভাবে এই বাংলাদেশকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় তার ভাবনায়।তারা কেউই তাদের অতীত অপকর্মের জন্য লজ্জিত কিংবা দুঃখিত নয়, বরং গর্বিত।  মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা এখনো এদের কাছে অসহায়, অনিরাপদ এবং বিপর্যস্ত।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য, একাত্তরের চেতনাকে সমোন্নত রাখার জন্য এসব কেউটের বাচ্চাদের দমন করা জরুরি।
দল নয়
দেশের জন্য রাজনীতি করুন।
আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার বাস্তবায়নকারী, খুনি, দেশদ্র্রোহী জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করুন।


EmoticonEmoticon