তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল আজকে দুপুরে পুলিশ তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রের চোখ উপড়ে নিয়েছে, নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে বেশ কয়েকজনকে। যাদের উপর পুলিশী বর্বরতা চালানো হল তাঁদের অপরাধ ছিল, তাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী। তাঁদের শিক্ষা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নানা তালবাহানা শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে তাঁদেরকে আবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ঢাবির অধীনে। অনাবশ্যক প্রলম্বিত শিক্ষা জীবন, অনিশ্চিত ভবিষ্যত ইত্যাদির আশংকায় তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। সংকট সমাধানের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিল। এই দেশে কেউ বুক চিতিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করলে- প্রতিবাদ জানালে সাধারণত পুলিশ যা করে আজও তাইই করেছে। মেরে -গুলি করে -চোখ উপড়ে -কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ প্রভু ভক্তির নজির রেখেছে।
কিন্তু ব্যাপারটা হল আজকের অন্ধ প্রজন্ম কাঁদছে মিডিয়া জগতের তাহসান-মিথিলার জন্য। কত বড় নির্বোধ-ঘিলুহীন- অর্বাচীন হলে এরা তাহসান-মিথিলার পুনর্মিলন চেয়ে ফেইসবুক পেইজ খুলে বসে তা ভেবে শিউরে উঠি! নিজেদের ছাড়াছাড়ি হলেও বোধ হয় এত রোদন করতো না। আজ যে ছেলেটাকে অন্ধ করে দেওয়া হল চিরতরে, যে সবার প্রাণের দাবি নিয়ে শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে গিয়ে অন্ধ হয়ে গেল তার জন্য কেউ চোখের জল ফেলছে না। সবারই চোখ আছে কিন্তু দেখার মত চোখ কয়জনের আছে? সবাই দুটা চোখ নিয়ে ঘোরে কিন্তু শাসকের চোখে চোখ রাখার মত সাহস সবার থাকে না। আজ যে চোখ হারালো সেইই আসল চক্ষুষ্মান। আর আমরা সবাই জন্মান্ধ।
EmoticonEmoticon