শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

পুরুষতন্ত্রের মূল ভাবনা !

আমার এককালের এক সহপাঠি/বন্ধু যে ক্লাস নাইনের পর আর স্কুলের বারান্দা মাড়ায়নি, বর্তমানে পান বিড়ির দোকানদার। শুধু পান বিড়ি নয় তার দোকানখানাকে একটা গ্রোসারী শপ বললেও চলে। মাঝে মাঝে  তার দোকান হতে বিড়ি টিরি বাকি খাই কখনোবা মাগনা! তার হঠাত করে আজ শখ হয়েছে বিয়ে করবে। এজন্য কন্যাও দেখা হচ্ছে প্রচুর। কন্যার যোগ্যতা নিদেনপক্ষে এইচ.এস.সি পাশ, সুন্দর গোলগাল মুখ, ভালো বডি ফিগার, বাবার কিঞ্চিত টাকা পয়সা থাকতে হবে যাতে জামাই বাবু বিপদে পড়লে সাহায্য করতে পারেন। জিজ্ঞেস করলাম, তোর হঠাত এই বিয়ে করার শখ হয়েছে কেন? তোর ছোট একটা বোন আছে বিবাহযোগ্য। তার বিয়ে দে নয়তো একটা কাজে লাগা, তারপর বিয়ে কর। না! তার বিয়ে করতেই হবে! তার মা আজীবন চুলা ঠেলে গেছেন! এখন বয়স হয়েছে! বোনটিও আদরে আদরে বড় হয়েছে যে রান্নার 'র' টাও জানেনা। সুতরাং তার ভাত তরকারী রান্নার জন্য ও একটা লোক দরকার। মুখ ফস্কে বলে ফেললাম, ভাত তরকারী রান্নার জন্য শিক্ষিত/ধনী ঘরের মেয়ের প্রয়োজন কি? একটা কাজের লোক রাখলেই তো পারিস, যে ভাত তরকারী রেঁধে দেবে!
ফলশ্রুতিতে বেটা এখন আমার সাথে কথা কয়না। মাগনা বিড়ি খাওয়া দূরে থাক, তার দোকানে বাকিতে বিড়ি খাওয়া ও আমার জন্য বন্ধ !


EmoticonEmoticon