শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

গরীব যাবে বেহেস্তে ।

দু'জন রাস্তার ছেলে যাদেরকে আমরা টোকাই বলি।  কোন পিতৃপরিচয়/পরিবার/ কিংবা কোন আত্মীয় স্বজন নেই । থাকলেও কোথায় আছে তারা তা জানেনা। এটা সেটা কুড়িয়ে ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে উভয়ে   জীবিকা নির্বাহ করে। যেদিন খাবার টাকা থাকে কিনে খায়, যেদিন থাকেনা সেদিন চেয়ে চিন্তে অথবা ডাস্টবিন ভরসা। তাদের  নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই, যেখানে রাইত  সেখানেই কাইত। কোন ঈদ নেই, পূজা নেই, পার্বণ নেই, এমনকি রোজাও রাখেনা তারা। কারন বলতে গেলে, যেখানে তারা সারাবছরই রোজা থাকে, সেখানে নতুন করে আবার আনুষ্ঠানিকতা কেন? গায়ে দেবার মতো ভালো কোন  জামা জুতো নেই। শীত/গ্রীষ্ম/বর্ষায় তাদের একই পোশাক আর উদোল পা! শীত কাঁটে গায়ে বস্তা জড়িয়ে, বর্ষা কাঁটে মাথায় পলিথিন মুঁড়িয়ে। দুজনে একসাথেই থাকে, একসাথেই খায়, একসাথেই ঘুমায়। কোন একদিন খাবারের খোঁজে বেরিয়েও কোথাও খাবার না পেয়ে তীব্র ক্ষুধার জ্বালায় অপেক্ষাকৃত ছোট টোকাই বড়টিকে বলছে,

- ভাই, আমরা এতো গরীব কেন? আল্লা আমাদের গরীব/এতিম/মিসকিন বানালেন, ক্ষুধার জ্বালাও  দিলেন, কিন্তু খাবার দিলেন না কেন?

- ওরে শোন, আল্লা বড়লোকের চেয়ে গরীব মানুষদের বেশি পছন্দ করেন। হুজুরের মুখে শুনেছি, গরীবেরা বড়লোকের ৫০০ বছর আগে বেহেশতে যাবে। সেখানে তারা অটেল সুখ/খাবার/সম্পদ পাবে। কোন কিছুর অভাব হবেনা।

- তা ভাই আমরাও কি  বেহেশতে যাবো? গেলে কখন যাবো?

- আমরা যখন মরে আল্লার কাছে চলে যাবো, তখন তিনি আমাদের বেহশত দেবেন। সেখানে আমরা সুখে-শান্তিতে  থাকবো।

- তাহলে চল ভাই, আমরাও মরে আল্লার কাছে চলে যাই। আমার খুব ইচ্ছে করে ভালো খাবার খেতে, ভালো পড়তে, ঘুরে বেড়াতে। ডাস্টবিন আর ভিক্ষার খাবারে কি পেট ভরে?


EmoticonEmoticon