যুদ্ধ অপরাধ মানবাতাবিরোধী এক ঘৃণ্য অপরাধ।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বিষয়টি আরো স্পর্শকাতার।কারণ চির সবুজের দেশে বাংলার নিরীহ,নিরস্ত্র,শান্তিপ্রিয় মানুষ মুক্তিযুদ্ধকালীন সুপরিকল্পিতভাবে গণগত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলো।সাড়ে সাত কোটি মানুষের উপর সর্বাধুনিক মরণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হিংস্র হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রকারীরা,সৈন্যরা,পশুরা এবং তাদের সহযোগীতা করেছিলো এদেশীয় দোসরেরা।তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি বাহিনী ও দেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত এহেন কর্মকান্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত।অর্থাৎ যুদ্ধচলাকালীন মানবতাবিরোধী যেকোন কর্মকান্ডকে যুদ্ধপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।
যুদ্ধঅপরাধঃ যুদ্ধঅপরাধ বলতে কোন দেশ,জাতি,সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি কর্তৃক যুদ্ধের প্রথা বা আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রতিপক্ষ শক্তিকে আঘাত করাকে বোঝায়।আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি-বিধানে যুদ্ধঅপরাধকে বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।যা যুদ্ধপরাধের সংজ্ঞাকে সুস্পষ্ট করে তোলে।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশিত‘দ্য ব্ল্যাক বুক অফ কমিউনিজম; ক্রাইম, টেরর, রিপ্রেশন”গ্রন্থে যুদ্ধপরাধের সাংজ্ঞিক অর্থ যুদ্ধের আইন বা প্রথাকে লংঘন করে হত্যা,ও নির্যাতন যা সাধারণ নাগরিকদের নির্বাসিত করে অধিকৃত জনপদে ক্রীতদাস শ্রম ক্যাম্পে পরিণত করে,আটককৃতদের হত্যা ও নির্যাতন,অপহৃতদের হত্যা,সামরিক বা বেসামরিক প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই দায়িত্বজ্ঞানহীন নগর,শহর ও গ্রামাঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করাকে উল্লেখ করা হয়।
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের ১৪৭ ধারায় যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে বলা হয়; ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা,নির্যাতন বা অমানবিক ব্যবহার এবং কারো শরীর বা স্বাস্থ্যে গুরুত্বর আঘাত করা,বা তার দুর্দশার কারণ তৈরি,অন্যায়ভাবে কাউকে বিতাড়িত বা স্থানান্তর করা বা আটক করা,শত্রুবাহিনীর সেবাদানে বাধ্য করা যথাযথ নিয়মতান্ত্রিক বিস্তার পাওয়ার অধিকার থেকে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা,কাউকে জিম্মি করা,বিপুল পরিমান ধ্বংসাযজ্ঞ চালানো ও সম্পত্তি আত্বসাৎ করা,সামরিক প্রয়োজন না থাকা সত্বেও বে-আইনি ও নীতি বিরুদ্ধে উপরের যেকোন এক বা একাধিক কর্মকান্ড যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।যুদ্ধঅপরাধের ধারার মর্মমূলে ছিলো যে,একটি দেশের বা দেশের সৈন্যদের কাজের জন্য একজন ব্যক্তিত্ব দায়ী হতে পারেন।গনহত্যা,মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ,সাধারণ মানুষদের হয়রানি,এসবই যুদ্ধঅপরাধের মধ্যে গণ্য হয়।এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণহত্যা ।।
যুদ্ধঅপরাধঃ যুদ্ধঅপরাধ বলতে কোন দেশ,জাতি,সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি কর্তৃক যুদ্ধের প্রথা বা আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রতিপক্ষ শক্তিকে আঘাত করাকে বোঝায়।আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি-বিধানে যুদ্ধঅপরাধকে বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।যা যুদ্ধপরাধের সংজ্ঞাকে সুস্পষ্ট করে তোলে।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশিত‘দ্য ব্ল্যাক বুক অফ কমিউনিজম; ক্রাইম, টেরর, রিপ্রেশন”গ্রন্থে যুদ্ধপরাধের সাংজ্ঞিক অর্থ যুদ্ধের আইন বা প্রথাকে লংঘন করে হত্যা,ও নির্যাতন যা সাধারণ নাগরিকদের নির্বাসিত করে অধিকৃত জনপদে ক্রীতদাস শ্রম ক্যাম্পে পরিণত করে,আটককৃতদের হত্যা ও নির্যাতন,অপহৃতদের হত্যা,সামরিক বা বেসামরিক প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই দায়িত্বজ্ঞানহীন নগর,শহর ও গ্রামাঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করাকে উল্লেখ করা হয়।
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের ১৪৭ ধারায় যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে বলা হয়; ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা,নির্যাতন বা অমানবিক ব্যবহার এবং কারো শরীর বা স্বাস্থ্যে গুরুত্বর আঘাত করা,বা তার দুর্দশার কারণ তৈরি,অন্যায়ভাবে কাউকে বিতাড়িত বা স্থানান্তর করা বা আটক করা,শত্রুবাহিনীর সেবাদানে বাধ্য করা যথাযথ নিয়মতান্ত্রিক বিস্তার পাওয়ার অধিকার থেকে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা,কাউকে জিম্মি করা,বিপুল পরিমান ধ্বংসাযজ্ঞ চালানো ও সম্পত্তি আত্বসাৎ করা,সামরিক প্রয়োজন না থাকা সত্বেও বে-আইনি ও নীতি বিরুদ্ধে উপরের যেকোন এক বা একাধিক কর্মকান্ড যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।যুদ্ধঅপরাধের ধারার মর্মমূলে ছিলো যে,একটি দেশের বা দেশের সৈন্যদের কাজের জন্য একজন ব্যক্তিত্ব দায়ী হতে পারেন।গনহত্যা,মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ,সাধারণ মানুষদের হয়রানি,এসবই যুদ্ধঅপরাধের মধ্যে গণ্য হয়।এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণহত্যা ।।
EmoticonEmoticon