শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরাই গলার কাটা !

একটা পণ্য উৎপাদন করতে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হয়, তারপর সেটা থেকে উৎপাদন করা হয়। উৎপাদনের পর হোলসেলার, রিটেইলারের হাত ঘুরে পণ্য পৌছায় ভোক্তাদের তথা আমাদের  হাতে। আর্ন্তজাতিক গবেষণা বলছে, যেকোন পণ্য উৎপাদনে মাত্র ২০% খরচ হয়। বিজ্ঞাপন এবং বিপণনে খরচ হয় ৩৫%! ধরা যাক, একটা পণ্যের দাম ১০০ টাকা! তাহলে (২০+৩৫-১০০)= ৪৫ টাকা  লাভ থাকে যেটা বন্টিত হয় ব্যবসায়ী এবং উৎপাদকের মাঝে। বঞ্চিত  হয় প্রান্তিক চাষী যারা কাঁচামাল সরবরাহ করে। কৃষক পর্যায়ে আমাদের দেশে ধান সংগ্রহ করা হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে। সরকারিভাবে ৯০০। সার/ওষুধ/সেচ/বীজ/চাষ/রোপন/কাঁটা/মাড়াইয়ের খরচ হিসেব করে দেখা যায় প্রতি মণ ধানের পেছনে কৃষকের খরচ যাচ্ছে ৭৫০ টাকা! ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলে প্রতি মণে তার ক্ষতি হয় ২৫০ টাকা। এর উপর আছে অতিবৃষ্টি/অনাবৃষ্টি এবং নানা কারনে ফলনহানি। বাদ দিন, তবু কৃষক এখানে মার খাচ্ছে, ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা । কৃষক হতে ধান কিনে লাভবান হচ্ছে ফঁড়িয়া দালালরা। গবেষণা বলছে, কৃষকের হাত হতে ধান বিক্রি হয়ে মোট ১৪ জনের হাত ঘুরে সেটা চাল হয়ে  আমাদের হাতে আসে। আমরা সেটা উচ্চ মূল্যে ক্রয় করি। গতবছর যে দরে ধান কেনা হয়েছিল এ বছর ও ঠিক একই দরে ধান কেনা হয়েছে ক্ষেত্রবিশেষে আরো কম দামে কেনা হয়েছে। সেই ধান কিনে চাল উত্‍পাদন খরচ কিন্তু একই রয়ে গেছে তবে মুনাফা বেড়েছে ফঁড়িয়া দালালদের। ৭০ টাকা কেজি দরে ৫০ কেজি চালের দাম ৩৫০০ টাকা! ভাবা যায়? চালের দাম বাড়লো কেন? বলা হচ্ছে অতিবৃষ্টি/বন্যায় ফসলহানি এবং ঘাটতির কথা। তো ভাই, ঘাটতি হলে তোমার বাপের কি? তোমরা যে পরিমাণ ধান পেয়েছো চাল উত্‍পাদন করেছো সেই পরিমাণে,  বিক্রিও করবে সেটাই। এখানে খরচ তো এক টাকাও বাড়েনি। তাহলে চালের দাম বাড়লো কেন?

বাঙালি যে জাতি হিসেবে খারাপ বিশেষ করে অসাধু/মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা! সেটা কি নতুন করে বলা লাগে?


EmoticonEmoticon