বার্মার বিরুদ্ধে নির্মলেন্দু গূণ থেকে শুরু করে অন্য যারা বাংলাদেশকে যুদ্ধ-ঘোষণার উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্কে চির ধরিয়ে, ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ভারতের বহু-কাঙ্ক্ষিত সামরিক চুক্তিতে বাংলাদেশকে বাধ্য করা।
বার্মার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধ-ঘোষণা হবে আত্মহত্যার শামিল। বাংলাদেশকে বার্মার বিরুদ্ধে লড়তে হবে কূটনৈতিকভাবে। তবে, শান্তি ও যুদ্ধ নির্বিশেষে অতি-অবশ্যই বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে পারমাণবিক শক্তি ও অন্ততঃ ১ কোটি গণ-সেনার রিজার্ভ।
রোহিঙ্গা আত্মপরিচয়দানকারী যে-মানুষদেরকে বার্মা বাঙালী নামে চিহ্নিত করে এথনিক ক্লীন্সিং চালাচ্ছে, তারা যদি নিজেদেরকে বাঙালী নামে পরিচয় না দেয়, বাঙালী জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যুদ্ধ ঘোষণার নৈতিকতা গঠিত হয় না। তবে তারা যদি রোহিঙ্গা আত্মপরিচয়ে যুদ্ধ করতে চায়, বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করতে পারে নিজে সেই যুদ্ধ অংশগ্রহণ না করে।
বিশ্বের কোনো জনগোষ্ঠী যদি তাদের জাতিসত্তার কারণে বিরূপ ও প্রবল রাষ্ট্রের নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার হয়, অস্তিত্বের কারণে তাদের অধিকার আছে সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথাগত কিংবা গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ করার। আর, সেই যুদ্ধ ন্যায়-যুদ্ধ বলে, যে-কোনো ন্যায়বান জাতি ও ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন মাত্রায় সহযোগিতা করতে পারে।
০৯/০৯/২০১৭
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
EmoticonEmoticon