রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শরণার্থীর প্রতিঃ সহানুভূতি বনাম বিদ্বেষ

ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে, আরাকান থেকে চট্টগ্রামে আগত শরণার্থীদের ব্যাপারে যে প্রতিক্রিয়া ফেইসবুকে আসছে, সেগুলো মোটামুটি ধর্মীয় লাইনে দু'ভাগে বিভক্ত।

ধর্মীয় বোধে শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশিত হলে দোষের কিছু নেই; কারণ মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি হচ্ছে মানবিকতা। কিন্তু ধর্মীয় বোধে যদি শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশিত হয়, তা দোষের; কারণ মানুষের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ হচ্ছে অমানবিকতা।

ধর্মীয় কারণে যারা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন, তা লাউড এ্যাণ্ড ক্লীয়ার; বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এখানে মানবতার চেয়েও ধর্মীয়তা কাজ করছে বেশি। কিন্তু শরণার্থীদের প্রতি যারা নানা অজুহাতে ও ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বিরাগ প্রদর্শন করেছেন, তাদের বিদ্বেষ যে বেরিয়ে পড়ছে, বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, তারা হয়তো তা বুঝতে পারছেন না।

আসলে, সামাজিক পরিমণ্ডলে ধর্মীয় বিদ্বেষের এই বিষনিঃশ্বাস ছাড়লে সেই পরিমণ্ডল বিষাক্ত হয়ে ওঠে। আর, সামাজিক পরিমণ্ডলে বিদ্বেষে বিষাক্ত হয়ে উঠলে তা কারও জন্যেই ভালো ফল বয়ে আনে না। তাই, আমার অনুরোধঃ শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে না পারলে, না পারুন; কিন্তু ছল-চাতুরী করে বিদ্বেষ প্রকাশ করবেন না।

১১/০৯/২০১৭
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড


EmoticonEmoticon