"ইউরোপীয় জাতিগুলির একটা সাচ্চা আন্তর্জাতিক সহযোগীতা সম্ভব হতে পারে কেবল যদি ঐ প্রত্যেকটা জাতির স্বদেশে পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকে। ১৮৪৮ খ্রীস্টাব্দের যে বিপ্লবে প্রলেতারীয় প্রতাকা তুলেও শেষপর্যন্ত বুর্জোয়ার কাজটা করতে হয় প্রলেতারিয়েত যোদ্ধাদের, তাতেও ইতালি, জার্মানি ও হাঙ্গেরির স্বাধীনতা অর্জিত হয় তার দায়ভাগী ব্যবস্থাপক লুই বোনাপার্ট ও বিসমার্ক মারফত। কিন্তু ১৭৯২ খ্রীস্টাব্দের পর থেকে একা পুল্যান্ড এই তিনটি দেশের চাইতেও বিপ্লবের জন্য বেশি কিছু করলেও ১৮৬৩ খ্রীস্টাব্দে তার দশগুণ শক্তিশালী রুশী শক্তির কাছে হার মানাবার সময় শুধু নিজের সম্পদের ওপরেই ভরসা করতে হয় তাকে। অভিজাত সম্প্রদায় পোলীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারতো না,পুনরুদ্ধার করতেও পারতো না;আজকে বুর্জোদের কাছে এই স্বাধীনতা, কম করে বললেও,তাৎপর্যহীন। তথাপি ইউরোপীয় জাতিগুলোর সুসম সহযোগীতার জন্য তার প্রয়োজন আছে। তা অর্জন করতে পারে নবীন পোলীয় প্রলেতারিয়েত এবং তার হাতেই এ স্বাধীনতা নিরাপদ। ইউরোপের বাকী অংশের শ্রমিকদের পক্ষে পোল্যান্ডের স্বাধীনতা খোদ পোলীয় শ্রমিকদের মতই প্রয়োজনীয়। "
( কমিউনিস্ট ইস্তেহারের ১৮৯২ সালের পোলীয় সংস্করণের ভূমিকায় এঙ্গেলস এর লেখা)
যে সমস্ত মৌলবাদী সমাজ বিকাশের ধাপ না বুঝে জাতীয় মুক্তির লড়াইকে প্রতিক্রিয়াশীল কাজ বলে তাদের জন্য।
EmoticonEmoticon