যদি মানুষের মাঝে উন্নত মনন তৈরি করা না যায়, তাহলে কিছুতেই ধর্ষন রোধ করা সম্ভব হবে না। প্রচলিত আইন,পরকালে কঠিন শাস্তির ভয় কিছুই কাজে আসে না তার প্রমান আমরা পেয়েছি।
আমাদের হালের সাহিত্যিকরা, সিনেমা নির্মাতারা, নাটক নির্মাতারা ব্যাপারটাকে ব্যাপকভাবে উসকে দিয়েছে বা দিচ্ছে। তারা তাদের লেখায় যৌনতাকে এমন ভাবে ইনিয়েবিনিয়ে উপস্থাপন করছে তাতে আনেকের মনে হতে পারে মানুষ সভ্যতার ইতিহাস শুধুই যৌনতার ইতিহাস।বাস্তবে তো তা না,মানব সভ্যতার ইতিহাস অগ্রগতির ইতিহাস,মানব অসভ্যতার ইতিহাস বিকাশের ইতিহাস।
নারীকে ধর্মিয় পন্য করে রেখেছে,ভোগের সামগ্রী করে রেখেছে তাও বহু শতাব্দী ধরে। আমাদের মনন এমন হয়েছে যে,আমরা চাই শুধু আমার বোন, আমার স্ত্রী ভালো থাকুক আর আমি বিভিন্নদিক গমন করি। এমন যেখানে মানসিকতা সেখানে কেউই ভালো থাকতে পারবে না। হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহাম্মদ, তসলিমা নাসরিন, সৈয়দ হক,আহাম্মদ ছফা, আন্দালিব রশদি তাদের লেখা পড়ে মনে হয় তারা যেনো পর্ণ লিখতে বসেছে( সব লেখা না)। আলোচনায় থাকা সাহিত্যিকদের লেখার মান যদি এরকম হয় তাহলে জাতির ভাগ্যে খারাপি আছে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সাহিত্য রচনা করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের -অমিত-লাবন্যের মত রোমান্টিক চরিত্র কমই পাওয়া যাবে,কই সেখানেতো ইনিয়েবিনিয়ে কোন কথা নেই।
যাহোক, এর দায় আমাদেরও।আমরা উন্নত সাহিত্য রচনা করছিনা বা পারছিনা। আমরা যে উন্নত সাহিত্য পড়বো তাও পড়ছিনা।
এভাবে চলতে থাকলে শুধু নারী বা শিশু পুরুষও ধর্ষিত হবে।
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
নারী বা শিশু নয় পুরুষও ধর্ষিত হবে...

Tags
Artikel Terkait
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon