১.
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এবং নিয়মিত শব্দদূষণ হয় মসজিদ থেকে। যখন মানুষ গভীর ঘুমে তখনও তাকে এই শব্দ সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়।
২.
এখানে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি চলে মসজিদের নামে। কাজটা চলে নিরবে। সাধারণত এ ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা দাতা গ্রহিতা উভয়েই চেপে যায়, পরকালের স্বার্থে।"নতুন বাড়ি করছেন, মসজিদের জন্য দিতে এতো কষ্ট লাগে কেন?" বাক্যটা সাধারণত এরকমই থাকে।
৩.
বাংলাদেশ মসজিদের সংখ্যায় পৃথিবীতে প্রথম। এবং এর সংখ্যা হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি। যেকোন সরকারি স্থাপনা গড়ে তোলা হলে ওখানে নিদেনপক্ষে একটা মসজিদ থাকে। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং অবৈধ। বড় হাসপাতাল, বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রকল্পের স্থাপনায় একটা মসজিদ থাকবেই। এক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মগুলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হয়। পুরো কাজটা চলে সরকারি ছাতার নিচে।
এছাড়া বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এই ধারা রক্ষা করা হয়। প্রতিটি সরকারি বড় মাদ্রাসায় মসজিদ আছে। অথচ সংবিধানে বলা আছে মাদ্রাসাগুলো ধর্ম নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। সরকারি উপজেলা কার্যালয়, একটা মসজিদ অবসম্ভাবী। সম্মিলিতভাবে চরম দুর্নীতি।
৪.
প্রতিটা ইমাম মুয়াজ্জিন খাদেম বেতনভুক্ত। তারা কেউই ধর্মের জন্য বিনা পয়সায় কাজ করেন না!
৫,
খোদ মসজিদের ভেতরেই ইমাম মুয়াজ্জিনদের শয়তানে আছর করে ফেলে! ফলে তারা শিশু ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন।
এর কিছু অংশ প্রকাশিত হয়, অধিকাংশই গোপণ থেকে যায়।
সবাই ইসলামের ভাবমূর্তির স্বার্থে বিষয়গুলো গোপণ রাখার আপ্রাণ ও আন্তরিক চেষ্টা করেন। অন্যের দোষ গোপণ রাখা সুন্নত।
৬.
বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদ কমিটি জামায়াত বিএনপির দখলে।
৭.
সরকারী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসার অধিকাংশ মুসলিম শিক্ষকই বিভিন্ন মসজিদে সবেতনে প্রধান ইমামের দ্বায়িত্ব পালন করেন। যা অবৈধ। সুস্পষ্টভাবে সরকারি চাকুরিবিধির লঙ্ঘণ।
৮.
বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদই অবৈধ জমির উপর নির্মিত। হিন্দু, আদিবাসী অথবা সরকারি খাস জমি বেছে নেয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরী করতে।
৯.
প্রায় সব মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ।" বারবার তাগাদা দেয়ার পরও কোনো মসজিদ কমিটি সংযোগ বৈধ করতে আগ্রহী নয়, কারণ সংযোগ বৈধ করলে বিল দিতে হয়, " বলেছেন পল্লী বিদ্যুৎ কমিটির একজন ম্যানেজার। তিনি আরো বলেছেন, "আমরা সংযোগ মূল্য শূন্য করার পরও সংযোগগুলো বৈধ করতে পারছিনা। বেশি তাগিদ দিতে ভয় করে। "
১০.
প্রতিটি মসজিদের জুমার খুৎবায় অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়। তাদের ধ্বংস কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
১১.
বহুদেশের মতো বাংলাদেশেও মন্দিরের উপর মসজিদ স্থাপন কিংবা মন্দিরকেই মসজিদ বানিয়ে ফেলার অভিযোগ আছে।
স্মরণ রাখা ভালো, মুসলিমদের প্রধান মসজিদ কাবাও একটা দখলীকৃত মন্দির।
EmoticonEmoticon