সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

'ভিটো রাষ্ট্রের শব্দ নয়' এ-কথা কোন্‌ পণ্ডিতে কয় ?

এক লেখক (!) বলেছেন, ভিটো নাকি “রাষ্ট্রের শব্দ নয়”; এটি নাকি “জাতিসংঘের শব্দ”। লেখক এতোই আত্মবিশ্বাসী যে, তার সমালোচক দুই তরুণ সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ
“তাদের চিন্তাটা কতোখানি বেকুবী, তাদের এই বাক্যগুলো দেখে বুঝুন, দেখুন। তারা বলছে, ষ্টেট ডিপার্টমেণ্ট যে প্রস্তাব দিচ্ছে, নিক্সন এবং কিসিঞ্জার সেটা ভেটো দিচ্ছে। ভেহ্‌টো [হাসির হ যুক্ত করে উচ্চারিত]?এই শব্দটা, এটা কোনো রাষ্ট্রের শব্দ? এটা হচ্ছে জাতিসংঘের শব্দ। তারা ধরে নিয়েছে, এ্যামেরিকা রাষ্ট্রটি একটি জাতিসঙ্ঘের মতো এবং স্টেট ডিপার্টমেণ্ট, নিক্সন, কিসিঞ্জার, এ-সমস্ত ডিফারেণ্ট রাষ্ট্র এবং এ রাষ্ট্রগুলো নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা করছে; সে-কারণে স্টেইট ডিপার্টমেণ্টের প্রস্তাবে নিক্সন কিসিঞ্জার ভেটো দিচ্ছেন। শব্দের ব্যবহার শুনেই বোঝা যায় যে তারা এ-বিষয়গুলোয় রাষ্ট্রনৈতিক বিষয়গুলোয় তারা একেবারেই অজ্ঞ।”
আমি কাউকে আঘাত না করে বলতে চাই, লেখকের এই দাবী তার অজ্ঞতাপ্রসূত। কারণ, ভিটো শব্দটি অবশ্যই “রাষ্ট্রের শব্দ”, যা জাতিসঙ্ঘের জন্মের প্রায় দেড়শো বছর আগে থেকে আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট তাঁর ক্ষমতা হিসেবে ভোগ করে আসছেন।
১৯৯২ সালে সেক্রেট্যারী অফ ষ্টেইট জেরি থম্পসনের নির্দেশে হেড রেফারেন্স লাইব্রেরিয়ান গ্রিগোরি হার্নেস প্রেসিডেণ্টের দু’শো বছরের ভিটো-সমূহ সঙ্কলিত করে যে গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যার নাম ‘Presidential Vetoes, 1789-1988’।
৬২২ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটিতে যে-কোনো ব্যক্তি জেনে যাবেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেণ্ট কীভাবে কতো প্রকারের ভিটো দিয়েছে প্রথম দু'শো বছর। আর, পরবর্তী ১৩ বছরের ভিটোর বিবরণ পাওয়া যাবে একই শিরোনামে ৫৮ পৃষ্ঠার পুস্তিকা, যার সঙ্কলন করেছেন সিনিয়ার রেফারেন্স লাইব্রেরিয়ান জো ডেইভিস ২০০১ সালে।
৩০/০৯/২০১৭
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড


EmoticonEmoticon