আব্বু সিদ্ধান্ত নিলেন আমি যদি কওমি মাদ্রাসায় না পড়ি তাহলে আমাকে আর পড়ালেখা করাবেন না ৷
আম্মুকে প্রেসার দিলেন তোমার মেয়েকে শোধরাও, ও আমার মান-সম্মান কিচ্ছু রাখবেনা৷ তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হত! আবার এমনটাও ভাবতাম আমি তো আব্বুর সম্মান নষ্ট হবার মত কিছু করিনি!
আম্মুকে প্রেসার দিলেন তোমার মেয়েকে শোধরাও, ও আমার মান-সম্মান কিচ্ছু রাখবেনা৷ তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হত! আবার এমনটাও ভাবতাম আমি তো আব্বুর সম্মান নষ্ট হবার মত কিছু করিনি!
অনেক কাহিনীর পর দাদীকে রাজি করালাম স্কুলে ভর্তির জন্য, কিন্তু আব্বু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্কুলের জন্য তিনি তার হালাল টাকার একটা টাকা আমার পিছনে খরচ করবেননা৷
তবুও দাদী একদিন সঙ্গে গিয়ে আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন৷
আব্বু আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন ৷
আমি খেতে বসলে আব্বু খেতেন না৷ আমাকে সব সময় এড়িয়ে চলতেন৷
তবুও দাদী একদিন সঙ্গে গিয়ে আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন৷
আব্বু আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন ৷
আমি খেতে বসলে আব্বু খেতেন না৷ আমাকে সব সময় এড়িয়ে চলতেন৷
ক্লাস এইটের শেষের দিকে প্রবাসী ফেরত এক দূর সম্পর্কের মামা একজনের মাধ্যমে বিশাল এক প্রেম পত্র পাঠালেন, প্রেম পত্রের মূল বিষয় ছিলো "তিনি ছুটি শেষে তার কর্মস্থলে ফিরে যাবেন,বছর দুইপর দেশে ফিরবেন বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে যদি আমি রাজি থাকি তাহলে দুই বছর প্রেম চলবে"
সে সময়ে সম্বোধন/সম্পর্ক বিষয়গুলো আমার কাছে বেশ পবিত্র আর গুরত্বপূর্ন মনে হত যেমন— যাকে কাকা বলে ডাকবো সে নিজের বাবার ভাইয়ের মতই হবে৷ যাকে মামা ডাকবো সে মায়ের ভাইয়ের মতই হবে৷ কাকা/মামাদের কাছে আমি মা-মেয়ে সমতুল্যই হবো, এমন অদ্ভূত চিন্তায় বিশ্বাসী ছিলাম৷
সে সময়ে সম্বোধন/সম্পর্ক বিষয়গুলো আমার কাছে বেশ পবিত্র আর গুরত্বপূর্ন মনে হত যেমন— যাকে কাকা বলে ডাকবো সে নিজের বাবার ভাইয়ের মতই হবে৷ যাকে মামা ডাকবো সে মায়ের ভাইয়ের মতই হবে৷ কাকা/মামাদের কাছে আমি মা-মেয়ে সমতুল্যই হবো, এমন অদ্ভূত চিন্তায় বিশ্বাসী ছিলাম৷
দাদী একটা প্রবাদ বলতেন "হোল ওলা পুরুষ কখনো মামা কাকা হয়না" সময়ের ব্যবধানে তার সত্যতা পেয়েছি৷
সেই মামাকে বেশ অপমান করেছিলাম স্কুলের মাঠে ডেকে নিয়ে, সে সেদিন বলেছিলো সে ছাড়া জগতের কারোর কাছে আমাকে বিয়ে বসতে দিবে না৷এর জন্য সে যা কিছু করার করবে৷
বিষয়টা বাড়িতে বলতে চেয়েও পারিনি৷কারন আব্বুর ভয়, সে এসব বিষয় জানলে আবার বেকে বসবে৷
বিষয়টা বাড়িতে বলতে চেয়েও পারিনি৷কারন আব্বুর ভয়, সে এসব বিষয় জানলে আবার বেকে বসবে৷
নতুন বইয়ের পৃষ্ঠার মাঝে নাক ডুবে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে বেশ লাগে!
গন্ধটা আমাকে খুব টানতো৷
তখন ক্লাস নাইনে উঠলাম নতুন বই নিয়ে বেশ মগ্ন ৷
বাড়ি যাবার ছয় মাসের মাথায় বড় আপুর বিয়ে হয়ে যায়, হাসবেন্ড আমাদের ফুপাতো ভাই, তিনি একজন মাওলানা৷বিয়ের পর আপুর হাসবেন্ড কর্মস্থলে যাবার আগে আপুকে আবার মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে যায়, পড়ালেখাটা শেষ করার জন্য৷
গন্ধটা আমাকে খুব টানতো৷
তখন ক্লাস নাইনে উঠলাম নতুন বই নিয়ে বেশ মগ্ন ৷
বাড়ি যাবার ছয় মাসের মাথায় বড় আপুর বিয়ে হয়ে যায়, হাসবেন্ড আমাদের ফুপাতো ভাই, তিনি একজন মাওলানা৷বিয়ের পর আপুর হাসবেন্ড কর্মস্থলে যাবার আগে আপুকে আবার মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে যায়, পড়ালেখাটা শেষ করার জন্য৷
সেদিন চাচাতো বোন আর আমি একসাথে নদীতে গেলাম গোসল করার জন্য, যদিও আব্বুর কড়া নিষেধ ছিলো নদীতে গোসল করা৷
মূল বাড়ী থেকে নদীর দূরত্ব ১৪/১৫ গজ হবে৷ নদীর পাড় দিয়ে বাজারে যাতায়াতের রাস্তা তাই আব্বুর নিষেধ ছিলো নদীতে স্নান করার৷
সেদিন আমি বুক পানিতে দাড়িয়ে, আর কাজিন নদীর ঘাটের গাছের খাটিয়ার উপর বসে শরীর মাজন করছে৷ দুজন স্কুলের বিষয় নিয়েই কথা বলছিলাম ৷
ইতিমধ্যে দুটো লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে-তার মধ্যে একজন বার বার আমাকে দেখছিলেন!
মূল বাড়ী থেকে নদীর দূরত্ব ১৪/১৫ গজ হবে৷ নদীর পাড় দিয়ে বাজারে যাতায়াতের রাস্তা তাই আব্বুর নিষেধ ছিলো নদীতে স্নান করার৷
সেদিন আমি বুক পানিতে দাড়িয়ে, আর কাজিন নদীর ঘাটের গাছের খাটিয়ার উপর বসে শরীর মাজন করছে৷ দুজন স্কুলের বিষয় নিয়েই কথা বলছিলাম ৷
ইতিমধ্যে দুটো লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে-তার মধ্যে একজন বার বার আমাকে দেখছিলেন!
কিছুটা দুরে গিয়ে লোক দুজন একটা গাছের নিচে দাড়ালো,নজর তখনও আমার দিকে!
আমরা গোসল শেষ করে বাড়ী চলে এলাম৷
আমি পড়ার টেবিলে বসে বইয়ের মলাটে আঁকাআঁকি করছিলাম তখনি দাদী রুমে ঢুকলেন,উচ্চস্বরে আম্মু কে ডাকলেন-আম্মু তখন রান্না ঘরে রান্না করছিলেন৷আম্মু রুমে ঢুকতেই দাদী আম্মুকে বল্লেন তোর একটা শাড়ী বের করে দে এক্ষুনি, আম্মু কিছু না বলেই বাধ্য মেয়ের মত শাড়ি বের করে দিলেন ৷দাদীর এক হাতে শাড়ী অন্য হাত দিয়ে আমার বাম হাতটা ধরে বল্লেন উঠ, আমি উঠে দাড়ালাম, বল্লো মাথায় উড়না দে, দিলাম! তারপর সে আগে যাচ্ছে আর আমাকে টেনে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে৷
আমরা গোসল শেষ করে বাড়ী চলে এলাম৷
আমি পড়ার টেবিলে বসে বইয়ের মলাটে আঁকাআঁকি করছিলাম তখনি দাদী রুমে ঢুকলেন,উচ্চস্বরে আম্মু কে ডাকলেন-আম্মু তখন রান্না ঘরে রান্না করছিলেন৷আম্মু রুমে ঢুকতেই দাদী আম্মুকে বল্লেন তোর একটা শাড়ী বের করে দে এক্ষুনি, আম্মু কিছু না বলেই বাধ্য মেয়ের মত শাড়ি বের করে দিলেন ৷দাদীর এক হাতে শাড়ী অন্য হাত দিয়ে আমার বাম হাতটা ধরে বল্লেন উঠ, আমি উঠে দাড়ালাম, বল্লো মাথায় উড়না দে, দিলাম! তারপর সে আগে যাচ্ছে আর আমাকে টেনে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে৷
চারটা বাড়ির পর একটা প্রতিবেশী কাকার বাড়ী নিয়ে গেলেন৷ সামনের দরজা দিয়ে না ঢুকে পিছনের দরজা দিয়ে আমাকে নিয়ে ঢুকলেন ৷
তারপর সে নিজেই আমাকে শাড়ি পরাতে শুরু করলেন একহাত ঘোমটা টেনে সামনের বারান্দায় নিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলেন ৷
এতক্ষন যা হল তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না ৷ রোবটের মত যা যা করালো তাই তাই করলাম৷
একজন প্রশ্ন করলো তোমার নাম কি?
বল্লাম:
কোন ক্লাসে পড়ি? ক'ভাই বোন? সব জেনে আমার ডান হাতটা টেনে নিয়ে কিছু একটা গুজে দিলেন৷ তখন আমি ঘোমটা নামিয়ে ফেল্লাম, দেখলাম নদীর পাড়ের সেই দুজন!
আমি উঠে দাড়ালাম তারপর ভিতরে চলে এলাম ৷
দাদী ধমক দিয়ে বল্লেন তারা না বলতেই উঠে এলি কেন ??
আমি বল্লাম এসব কি হচ্ছে ? আমি এখন বিয়ে করবো না ৷
দাদী বল্লো দেখলেই কি বিয়ে হয়ে যায় ??
হাতের টাকাটা দাদীর হাতে গুজে দিয়ে শাড়ি পাল্টিয়ে তাদের সামনে দিয়েই হনহন করে বেড়িয়ে গেলাম...
তারপর সে নিজেই আমাকে শাড়ি পরাতে শুরু করলেন একহাত ঘোমটা টেনে সামনের বারান্দায় নিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলেন ৷
এতক্ষন যা হল তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না ৷ রোবটের মত যা যা করালো তাই তাই করলাম৷
একজন প্রশ্ন করলো তোমার নাম কি?
বল্লাম:
কোন ক্লাসে পড়ি? ক'ভাই বোন? সব জেনে আমার ডান হাতটা টেনে নিয়ে কিছু একটা গুজে দিলেন৷ তখন আমি ঘোমটা নামিয়ে ফেল্লাম, দেখলাম নদীর পাড়ের সেই দুজন!
আমি উঠে দাড়ালাম তারপর ভিতরে চলে এলাম ৷
দাদী ধমক দিয়ে বল্লেন তারা না বলতেই উঠে এলি কেন ??
আমি বল্লাম এসব কি হচ্ছে ? আমি এখন বিয়ে করবো না ৷
দাদী বল্লো দেখলেই কি বিয়ে হয়ে যায় ??
হাতের টাকাটা দাদীর হাতে গুজে দিয়ে শাড়ি পাল্টিয়ে তাদের সামনে দিয়েই হনহন করে বেড়িয়ে গেলাম...
সোমবার দিন দুপুরে তারা আমাকে দেখে গিয়েছিলেন, সেদিন রাতে আবার আমাকে দেখতে আসে ছেলের অন্য ভাই আর চাচা৷ আবার বাধ্য হই তাদের সামনে যেতে৷
পরদিন সকালে আবার ছেলের ভাবিরা আসে আমাকে দেখার জন্য ৷
সেদিন রাত বারোটার পর আবার ছেলের বড় ভাই আসে আমাকে দেখতে, সেই রাতে আবার জোর করে আমাকে তার সামনে নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে দেখার পর নিজের গলার চেইন খুলে আমাকে পড়িয়ে দেয়, দাদী বারণ করার পরও পড়িয়ে দিলো আর বল্লো বড় ভাই হিসেবে ছোট বোন কে দিলাম,বিয়ে হোক বা না হোক সেটা পরের বিষয় ৷
আলোচনার এক পর্যায় সে রাতেই আমার বিয়ে ফাইনাল হয়ে যায় ৷
ছেলে প্রবাসী; ছুটির সময় খুব কম তাই বিয়ে যত দ্রুত হয় ততই ভালো দুদিন বাদেই শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য হয়৷
পরদিন সকালে আবার ছেলের ভাবিরা আসে আমাকে দেখার জন্য ৷
সেদিন রাত বারোটার পর আবার ছেলের বড় ভাই আসে আমাকে দেখতে, সেই রাতে আবার জোর করে আমাকে তার সামনে নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে দেখার পর নিজের গলার চেইন খুলে আমাকে পড়িয়ে দেয়, দাদী বারণ করার পরও পড়িয়ে দিলো আর বল্লো বড় ভাই হিসেবে ছোট বোন কে দিলাম,বিয়ে হোক বা না হোক সেটা পরের বিষয় ৷
আলোচনার এক পর্যায় সে রাতেই আমার বিয়ে ফাইনাল হয়ে যায় ৷
ছেলে প্রবাসী; ছুটির সময় খুব কম তাই বিয়ে যত দ্রুত হয় ততই ভালো দুদিন বাদেই শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য হয়৷
এত অল্প সময়েই আত্মীয় স্বজন কেউ বাদ পরেনি সবাই চলে এলেন বিয়ে বাড়িতে৷ আমি মন মরা হয়ে চুপচাপ পড়ে থাকি এক কোণে,শত চেষ্টা কান্নাকাটি করেও দাদীকে মানাতে পারিনি৷ যত দ্রুত আমাকে তাড়াতে পারে ততই যেন তাদের মুক্তি মেলে ৷
বৃঃপতিবার সকালে সবাই খুব ব্যস্ত কেউ ব্যস্ত হলুদ,মরিচ,মসলা বাটা নিয়ে, কেউ ব্যস্ত থালাবাটি গোছাতে,কেউ ব্যস্ত গায়ে হলুদের ব্যবস্থা করতে৷
হঠাৎ আম্মু, দাদী, আর আব্বু এক সাথে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন সবার চেহারা ভয়ঙ্কর হিংস্র হয়ে রয়েছে,মনে হচ্ছিলো এখনি আমাকে টেনে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে! আব্বু আমাকে উদ্দেশ্য করে বল্লো তুই আসলে কি চাস ?
আব্বুর কথার মানে বুঝতে পারলামনা ৷
সাথে সাথে আম্মুও বলতে শুরু করলো আগে যদি জানতাম তুই এমন হবি তাহলে লবন খাইয়ে তোকে ছোট বেলাতেই মেরে ফেলতাম৷
আবার আব্বু বলতে শুরু করলেন মেয়েদের গায়ে হাত তোলা ঠিক নয় তাই কোনদিন তোদের আঘাত করিনি কিন্তু এখন ইচ্ছে করছে তোকে বটি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলি ৷
আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না তবুও অঝরে চোখ থেকে পানি পড়ে যাচ্ছে ৷ আম্মু দরজা খুলে বের হলেন, একটু বাদে বটি নিয়ে ঢুকলেন,আব্বুর দিকে বটি ধরে বল্লেন তাই করেন ওকে জবাই করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন এমন মেয়ের দরকার নেই, যে বাবার সম্মান রাখেনা ৷
তখন দাদী মুখ খুল্লেন আম্মুকে আর আব্বুকে সরিয়ে দিয়ে সামনে এসে দাড়ালেন, বল্লেন এটা কেন করলি ?
আমি বল্লাম আমি কি করেছি ??
আব্বু বল্লেন মা আপনি সরেন তো এখনো বলছে আমি কি করেছি ৷আব্বুকে থামিয়ে দিয়ে দাদী আবার জিজ্ঞেস করলেন কারে দিয়ে বিয়ে ভাঙ্গালি ?
তখন আমার চোখ কপালে উঠে গেলো৷বল্লাম কি বলেন এসব ? আমি কিছু করিনি,কি হয়েছে আমি জানিনা৷আমি কাউকে দিয়ে কিছু করাইনি৷
দাদী আবার জিজ্ঞেস করলেন তুই সত্যি কিছু করিসনি ?
বল্লাম, না আমি কিচ্ছু করিনি, আমি কিছুই জানিনা ৷রুম থেকে সবাই বের হয়ে গেলেন ৷
হঠাৎ আম্মু, দাদী, আর আব্বু এক সাথে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন সবার চেহারা ভয়ঙ্কর হিংস্র হয়ে রয়েছে,মনে হচ্ছিলো এখনি আমাকে টেনে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে! আব্বু আমাকে উদ্দেশ্য করে বল্লো তুই আসলে কি চাস ?
আব্বুর কথার মানে বুঝতে পারলামনা ৷
সাথে সাথে আম্মুও বলতে শুরু করলো আগে যদি জানতাম তুই এমন হবি তাহলে লবন খাইয়ে তোকে ছোট বেলাতেই মেরে ফেলতাম৷
আবার আব্বু বলতে শুরু করলেন মেয়েদের গায়ে হাত তোলা ঠিক নয় তাই কোনদিন তোদের আঘাত করিনি কিন্তু এখন ইচ্ছে করছে তোকে বটি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলি ৷
আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না তবুও অঝরে চোখ থেকে পানি পড়ে যাচ্ছে ৷ আম্মু দরজা খুলে বের হলেন, একটু বাদে বটি নিয়ে ঢুকলেন,আব্বুর দিকে বটি ধরে বল্লেন তাই করেন ওকে জবাই করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন এমন মেয়ের দরকার নেই, যে বাবার সম্মান রাখেনা ৷
তখন দাদী মুখ খুল্লেন আম্মুকে আর আব্বুকে সরিয়ে দিয়ে সামনে এসে দাড়ালেন, বল্লেন এটা কেন করলি ?
আমি বল্লাম আমি কি করেছি ??
আব্বু বল্লেন মা আপনি সরেন তো এখনো বলছে আমি কি করেছি ৷আব্বুকে থামিয়ে দিয়ে দাদী আবার জিজ্ঞেস করলেন কারে দিয়ে বিয়ে ভাঙ্গালি ?
তখন আমার চোখ কপালে উঠে গেলো৷বল্লাম কি বলেন এসব ? আমি কিছু করিনি,কি হয়েছে আমি জানিনা৷আমি কাউকে দিয়ে কিছু করাইনি৷
দাদী আবার জিজ্ঞেস করলেন তুই সত্যি কিছু করিসনি ?
বল্লাম, না আমি কিচ্ছু করিনি, আমি কিছুই জানিনা ৷রুম থেকে সবাই বের হয়ে গেলেন ৷
ছেলে পক্ষ জানালো কেউ একজন বলেছে মেয়ের অন্য এক ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে,মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে তাই এ বিয়ে হবে না ৷ আব্বু খুব আত্মবিশ্বাসের সহিত বল্লেন না আমার মেয়ের সাথে কারুর সম্পর্ক নেই ৷তারপরও এমন কথা কে বলেছে তার নাম বলতে হবে৷ ছেলে বলতে নারাজ নাম বলা যাবে না ৷ অনেক চাপে পড়ে নাম বের হলো, বিকেলে দু পক্ষ বসলো উঠোনে৷
দাদীকে মূল ঘটনা বল্লাম, খুব বকাঝকা করলেন আগে কেন এই কথা বলিনি৷ সেদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেই মামাকে পাওয়া গিয়েছিলো , সেই উঠোনে সবার সামনে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিলো৷
ভেবেছিলাম বিয়েটা হয়ত হবেনা ৷ ভাবনার ব্যতিক্রম হলো সেদিন বৈঠক শেষেই কাজী ডেকে তখনি বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হলো.......
ভেবেছিলাম বিয়েটা হয়ত হবেনা ৷ ভাবনার ব্যতিক্রম হলো সেদিন বৈঠক শেষেই কাজী ডেকে তখনি বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হলো.......
EmoticonEmoticon