রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

গল্প নয় সত্যি—১১

আংকেল কে যখন আন্টির মুখোমুখি হতে হলো, তখন তিনি আরো হিংস্র হয়ে উঠলেন৷
আমাকে বারবার ফোন করে বলতে শুরু করলেন আমি যেন আন্টিকে বলি - আমি তাকে যে সব কথা বলেছি তা সব মিথ্যে বানোয়াট!
আমি তাকে সরাসরি বল্লাম সম্ভব নয়৷
তিনি আমার ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে পিছু নিলেন৷
নিজেকে আড়ালে রেখে এলাকার কিছু ছেলেকে আমার পিছু লেলিয়ে দিলেন!

সে সময়ের পরিস্থিতি কারো সাথে শেয়ার করার মত পাশে তেমন কেউ ছিলো না,  প্ৰথম প্রথম ছেলেগুলো ফোনে জ্বালাতন  করতো, তারপর আমার গতিপথ ফলো করতে লাগলো৷
বুঝতে পারলাম ভয়ানক কিছু একটা ঘটবে, মানসিক ভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলাম৷ ঘর থেকে বের হওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলাম,  তবুও মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক সব সময় কাজ করত ৷
প্রায় ছয় মাসের মত গৃহ বন্দি হয়ে পড়ে ছিলাম,  যখন তিনি কোন ভাবেই আমার ক্ষতি করতে পারেনি তখন তিনি অন্য পথ বেছে নিলেন ৷
আমি যে বাড়িটি জোর করে দখল নিয়েছিলাম, সে বিড়িটি মেয়ের বাবা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্রয় করেছিলেন,  বাড়ির দলিল ছাড়া আর কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নাম চেঞ্জ করা হয়নি সময় সল্পতার কারনে ৷

মেয়ের বাবা বাড়িটি যাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন তারা ঐ আংকেলের ই পরিচিত, আংকেলের মাধ্যমেই বাড়িটি কেনা হয়েছিলো৷
একদিন বিকেলে পূর্বের বাড়িঅলি আর তার বর আসলেন এবং অনেক কথার পর জানালেন আমি যেন খুব দ্রুত গ্যাস আর বিদ্যুৎ এর লাইনের তাদের নাম চেঞ্জ করে নিজেদের নামে করে নেই, তারা যাবার সময় আমাকে দু মাসের টাইম দিয়ে গেলেন ৷
এটা আমার জন্য বেশ ঝামেলার ছিলো, তখন বুঝতে পারলাম যখন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বল্লাম, তারা জানালো এ সব পাল্টানোর জন্য বাড়ীর কাগজপত্রের প্রয়োজন আছে, যা আমার কাছে ছিলো না ৷

অবশেষে দু মাস পর তারা এসে লাইন কেটে দিয়ে গেলেন !  দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুধু  দেখলাম এছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না ৷
এরপর বাড়িটি সম্পূর্ন ফাঁকা হয়ে গেলো ৷
এগারো মাস বাদে আমিও বাড়িটি ছেড়ে  চলে এলাম......

এরপর কয়েক মাস বাদেই  ডিভোর্সের ব্যাপারে ফাইনাল স্বিদ্ধান্ত নিলাম........


EmoticonEmoticon