(এই পোস্টের উদ্দেশ্য দল বা ব্যক্তির মূল্যায়ন নয়, আমার সে ক্ষমতাও নেই। সীমিত তথ্য ও পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এই মন্তব্য। তথ্যটুকু হিমশৈলের চূড়ামাত্র। সারাদেশের কিছু উচ্চস্তরের কেন্দ্র বা রাজ্য নেতাদের খবর বেরোয়। তার ভিত্তিতেই এই পোস্ট।)
অধঃপতন কি শুধু নেতা-কর্মীর? দীর্ঘদিন দলে থেকেও, শিবদাস ঘোষ বা আরো কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে গড়া বৃহৎ সংখ্যায় নেতা কর্মীর যদি সত্যই অধঃপতন বা মানসিক ভারসাম্যহীনতা হয়, তাহলে রোগ কোথায়?
নিচে উল্লেখিত কেন্দ্র বা রাজ্যস্তরের নাম ছাড়াও আমার জানা রাজ্যে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মী দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবংগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মী 'অধঃপতিত' হয়ে বেরিয়ে গেছেন বা বেরিয়ে 'অধঃপতিত' হয়েছেন। অত্যন্ত দু:খের যে নিষ্ঠা, সততা, আত্মনিয়োগের অভাব এনাদের ছিলনা, কেরিয়ার,পরিবারের স্বার্থও এরা গৌণ করেছেন।
সংগ্রাম, সংগঠনী ক্ষমতাও প্রশ্নাতীত।
যারা দলে রয়েছেন তাদের এসব তথ্য জানানো হয় না।অন্ধতাকে আশ্রয় করে দল ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কালস্রোতে অধঃপতন, মানসিক ভারসাম্যহীন সংখ্যা প্রবাহ বাড়বে। বহিষ্কার বা উপেক্ষায় বাঁচা যাবে তো ? )
মূল পোস্ট এরপর।
একে একে নিভিছে দেউটি।
অধঃপতন কি শুধু নেতা-কর্মীর? দীর্ঘদিন দলে থেকেও, শিবদাস ঘোষ বা আরো কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে গড়া বৃহৎ সংখ্যায় নেতা কর্মীর যদি সত্যই অধঃপতন বা মানসিক ভারসাম্যহীনতা হয়, তাহলে রোগ কোথায়?
নিচে উল্লেখিত কেন্দ্র বা রাজ্যস্তরের নাম ছাড়াও আমার জানা রাজ্যে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মী দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবংগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মী 'অধঃপতিত' হয়ে বেরিয়ে গেছেন বা বেরিয়ে 'অধঃপতিত' হয়েছেন। অত্যন্ত দু:খের যে নিষ্ঠা, সততা, আত্মনিয়োগের অভাব এনাদের ছিলনা, কেরিয়ার,পরিবারের স্বার্থও এরা গৌণ করেছেন।
সংগ্রাম, সংগঠনী ক্ষমতাও প্রশ্নাতীত।
যারা দলে রয়েছেন তাদের এসব তথ্য জানানো হয় না।অন্ধতাকে আশ্রয় করে দল ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কালস্রোতে অধঃপতন, মানসিক ভারসাম্যহীন সংখ্যা প্রবাহ বাড়বে। বহিষ্কার বা উপেক্ষায় বাঁচা যাবে তো ? )
মূল পোস্ট এরপর।
একে একে নিভিছে দেউটি।
এক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কমরেড কৃষ্ণ চক্রবর্তী নাকি অধঃপতিত। পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অপসারিত। গোপনীয়তার দামি প্যাকেজে মোড়া খবর।
ছায়া জমছে, দীর্ঘতর হচ্ছে।
গভীরতর অসুখ এখন।
মূল্যবান পোড়খাওয়া দীর্ঘ সংগ্রামের শরিক নেতা ও সংগঠকদের অধঃপতন, দল থেকে অপসারণ, বহিষ্কার বেড়েই চলেছে।
ক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখার জন্য হোক, বা দলে সমালোচনার কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য।
কেউ অধঃপতিত, কেউ কোনঠাসা, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থা দিনে দিনে বাড়ছে। কী ঘটল, যে দলের এত গৌরব, একমাত্র সংস্কৃতিবান বলে এত ঢক্কানিনাদ, সেই দল ও শিবদাস ঘোষের হাতেগড়া একাধিক কেন্দ্রীয় রাজ্য কমিটির নেতার এত অধঃপতন!
ছাত্রাবস্থায় চিত্ত বেহেরার নাম শুনতাম। ওড়িশা রাজ্যের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, র্যাভেনশ কলেজের GS, এআইডিএসও-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলে থাকতে পারলেন না, বলা চলে, বার করে দেওয়া হল।
ওই রাজ্যেরই সুকিন্দা মাইন্স-এর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন আমাদের উদ্বেল করত। তাও আজ নেই। সেখানের দুরন্ত শ্রমিক নেতা মায়াধর নায়েক আজ নেই। দলে যতদিন থাকেন ততদিন তাঁর খুব সুনাম। দল ছাড়লেই সেল্ফ স্টাইলড, ব্যক্তিবাদী, অধঃপতিত।
পশ্চিমবংগের আর এক শ্রমিক নেতা ফটিক ঘোষ যিনি প্রভাস ঘোষদের সাথে একসাথে শিবদাস ঘোষের কাছে রাজনীতি শিখেছেন কলকারখানায় দুর্বার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করেছেন, তিনিও জানিনা কিভাবে অধঃপতিত, দল থেকে বহিষ্কার হলেন।
তাঁর স্ত্রী শিখা মুখার্জী, যিনিও এনাদের মতই শিববাবুর সান্নিধ্যে সেন্ট্রাল কমিউনের বাসিন্দা ছিলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী তিনিও 'রেনেগেড' হলেন।
প্রতিষ্ঠালগ্নের কেন্দ্রীয় কমিটির আর এক বলিষ্ঠ নেতা জ্ঞানে, সাংগঠনিক ক্ষমতায় উজ্জ্বল, শিবদাস ঘোষের সহযোগী শংকর সিং পলিটব্যুরোতে থাকাকালীন তিনিও অধঃপতিত হলেন। চলে গেলেন দলের বাইরে।
তার মাত্র বছর চারেক আগে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবীণ সদস্য, হরিয়াণার রাজ্য সম্পাদক, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান জ্ঞান সিং অধঃপতিত হলেন। চলে গেলেন বিহারে দলের একমাত্র এবং দাপুটে বিধায়ক নলিনীরঞ্জন সিং। তাঁকে নিয়েও এক সময় কত মিস্টি গল্প প্রচলিত ছিল যে দলের আনাচে কানাচে।
বিহার রাজ্যের বলিষ্ঠ ছাত্র যুব নেতা বিপিন মাহাতো দল ছাড়লেন। অধ:পতন।
প্রায় একসাথে কেরালার রাজ্য সম্পাদক জেমস জোসেফ, মহারাষ্ট্রের পি আর হারনে, নাগপুরের ড: লাঘভে, সহ সাত রাজ্যের সম্পাদক (বা ভারপ্রাপ্ত) অধ:পতিত, বা কোনঠাসা হয়ে দল ছাড়লেন।
এরপর আরো পোস্ট।
মধ্যপ্রদেশ সাগরের তিন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট নেতারা দল ছাড়লেন। শঙ্কর সিং-এর সাথে তাঁদেরও অধ:পতন।
হরিয়ানা থেকে শ্যামসুন্দর সিং-কে বিতাড়িত করতে হল, সেই অধঃপতনেরই কারণে।
তামিলনাড়ুর জগন্নাথন, অলুনানন্দন, অন্ধ্রের রমেশ পট্টনায়েক ... তালিকা দীর্ঘতর হয়েই চলেছে। দিল্লিতে কয়েক বছর আগে ছজনকে অধঃপতন দেখে বের করে দিতে হল। প্রতিবাদে দিল্লির একজন এবং রাজস্থানের রাজ্য নেতৃত্বের এগার জনের ছজনই দল থেকে বেরিয়ে গেলেন! মানে তাঁদেরও নিশ্চয়ই পতন হল!
কিছুদিন আগেই কর্নাটকের ডাঃ মঞ্জুনাথ, যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, রাজ্যে দলের দু নম্বর নেতা, ও ডাঃ জয়লক্ষ্মী, মহিলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, দল ছাড়লেন। পতন কিংবা অধঃপতন – জানা যায়নি।
প্রভাস ঘোষ যাঁর সাহায্য নিয়ে অনেককে সরিয়ে দলকে অধঃপতনের হাত থেকে বাঁচালেন সেই কন্ট্রোল কমিশন চেয়ারম্যান অনিল সেনও শেষে ছাড় পেলেন না। অধ:পতিত হলেন।
বর্ষীয়ান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুকোমল দাশগুপ্ত মানসিক ভারসাম্য হারানো অবস্থায় নাকিঅধঃপতিত হলেন।
শুনেছি প্রবীণ নেত্রী সর্বভারতীয় সংগঠক প্রতিভা মুখার্জী শেষজীবনে অধঃপতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বেশ কয়েক বছর আগেকার রাজ্য কমিটি সদস্য বিধান চ্যাটার্জী কিছু গুরুতর অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করলেন। তবু সেই সব অভিযোগের তদন্ত হয়নি বা হলেও ফলাফল কেউ জানে না!
এসইউসি আই এর অত্যন্ত গর্বের জয়নগর, কুলতলি বিধানসভা রইল না, যেখানে সিপিএমের মধ্যগগনের দিনেও তাদের জামানত জব্দ হয়েছে। কিন্তু সেখানেই তৃণমূল সমর্থনে জয়নগর লোকসভা জেতা ম্যালিগন্যান্ট হয়ে দাঁড়াল। আজ সেখানে পঞ্চায়তে জেতা এসইউসি সদস্য অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন।সর্বগ্রাসী ক্ষয়।
হ্যাঁ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এসইউসির দুটি মাত্র আসন ছিলনা। দুবার সাতজন করে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমে কমে দুই দাঁড়িয়েছিল।
প্রতিবেশী রাজ্য আসাম, বিহার,ওড়িশা বিধানসভাতেও এসইউসির প্রতিনিধি ছিল। তাও চলে গেছে।
অবশ্য ভোটে জেতা-হারা বা নেতাকর্মী হ্রাসবৃদ্ধি দিয়ে বিপ্লবী ক্ষমতা বিচার চলেনা। এটা হোমিওপ্যাথি পোটেন্সি থিওরি। সংখ্যা যত কম শক্তিবৃদ্ধি তত বেশি। ফলে শক্তিবৃদ্ধি ক্রমশ অসীমে পৌঁছাবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
৯০-উত্তর এসইউসির এরকমই অগ্রগতি অব্যাহত।
অদ্ভুত ব্যাপার, একজনের ক্ষেত্রেও অপরাধ নির্ণয় ও শাস্তি প্রদানের সাংগঠনিক প্রক্রিয়াটি কেউ জানে না। সাধারণ সদস্যরা শুধু বিচারের শেষ ধাপে প্রদত্ত রায়টা জানতে পারে। আর তাদের এক আশ্চর্য ক্ষমতা। এই না জানাটাকেই তারা বিপ্লবী শিক্ষা বলে মনে করে। ব্রুনো আমলের রোমান চার্চের শৃঙ্খলার মতোই তার দৃঢ়তা।
১৯৪৮ সাল থেকে যদি দলের সাংগঠনিক শক্তি ও গুণমানের বৃদ্ধি হয়ে থাকে, মানতেই হচ্ছে, ১৯৯০ থেকে দলের শক্তি এবং গুণমানের হ্রাস ঘটে চলেছে।
রহস্যটা কী?
ছায়া জমছে, দীর্ঘতর হচ্ছে।
গভীরতর অসুখ এখন।
মূল্যবান পোড়খাওয়া দীর্ঘ সংগ্রামের শরিক নেতা ও সংগঠকদের অধঃপতন, দল থেকে অপসারণ, বহিষ্কার বেড়েই চলেছে।
ক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখার জন্য হোক, বা দলে সমালোচনার কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য।
কেউ অধঃপতিত, কেউ কোনঠাসা, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থা দিনে দিনে বাড়ছে। কী ঘটল, যে দলের এত গৌরব, একমাত্র সংস্কৃতিবান বলে এত ঢক্কানিনাদ, সেই দল ও শিবদাস ঘোষের হাতেগড়া একাধিক কেন্দ্রীয় রাজ্য কমিটির নেতার এত অধঃপতন!
ছাত্রাবস্থায় চিত্ত বেহেরার নাম শুনতাম। ওড়িশা রাজ্যের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, র্যাভেনশ কলেজের GS, এআইডিএসও-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলে থাকতে পারলেন না, বলা চলে, বার করে দেওয়া হল।
ওই রাজ্যেরই সুকিন্দা মাইন্স-এর ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন আমাদের উদ্বেল করত। তাও আজ নেই। সেখানের দুরন্ত শ্রমিক নেতা মায়াধর নায়েক আজ নেই। দলে যতদিন থাকেন ততদিন তাঁর খুব সুনাম। দল ছাড়লেই সেল্ফ স্টাইলড, ব্যক্তিবাদী, অধঃপতিত।
পশ্চিমবংগের আর এক শ্রমিক নেতা ফটিক ঘোষ যিনি প্রভাস ঘোষদের সাথে একসাথে শিবদাস ঘোষের কাছে রাজনীতি শিখেছেন কলকারখানায় দুর্বার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করেছেন, তিনিও জানিনা কিভাবে অধঃপতিত, দল থেকে বহিষ্কার হলেন।
তাঁর স্ত্রী শিখা মুখার্জী, যিনিও এনাদের মতই শিববাবুর সান্নিধ্যে সেন্ট্রাল কমিউনের বাসিন্দা ছিলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী তিনিও 'রেনেগেড' হলেন।
প্রতিষ্ঠালগ্নের কেন্দ্রীয় কমিটির আর এক বলিষ্ঠ নেতা জ্ঞানে, সাংগঠনিক ক্ষমতায় উজ্জ্বল, শিবদাস ঘোষের সহযোগী শংকর সিং পলিটব্যুরোতে থাকাকালীন তিনিও অধঃপতিত হলেন। চলে গেলেন দলের বাইরে।
তার মাত্র বছর চারেক আগে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবীণ সদস্য, হরিয়াণার রাজ্য সম্পাদক, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান জ্ঞান সিং অধঃপতিত হলেন। চলে গেলেন বিহারে দলের একমাত্র এবং দাপুটে বিধায়ক নলিনীরঞ্জন সিং। তাঁকে নিয়েও এক সময় কত মিস্টি গল্প প্রচলিত ছিল যে দলের আনাচে কানাচে।
বিহার রাজ্যের বলিষ্ঠ ছাত্র যুব নেতা বিপিন মাহাতো দল ছাড়লেন। অধ:পতন।
প্রায় একসাথে কেরালার রাজ্য সম্পাদক জেমস জোসেফ, মহারাষ্ট্রের পি আর হারনে, নাগপুরের ড: লাঘভে, সহ সাত রাজ্যের সম্পাদক (বা ভারপ্রাপ্ত) অধ:পতিত, বা কোনঠাসা হয়ে দল ছাড়লেন।
এরপর আরো পোস্ট।
মধ্যপ্রদেশ সাগরের তিন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট নেতারা দল ছাড়লেন। শঙ্কর সিং-এর সাথে তাঁদেরও অধ:পতন।
হরিয়ানা থেকে শ্যামসুন্দর সিং-কে বিতাড়িত করতে হল, সেই অধঃপতনেরই কারণে।
তামিলনাড়ুর জগন্নাথন, অলুনানন্দন, অন্ধ্রের রমেশ পট্টনায়েক ... তালিকা দীর্ঘতর হয়েই চলেছে। দিল্লিতে কয়েক বছর আগে ছজনকে অধঃপতন দেখে বের করে দিতে হল। প্রতিবাদে দিল্লির একজন এবং রাজস্থানের রাজ্য নেতৃত্বের এগার জনের ছজনই দল থেকে বেরিয়ে গেলেন! মানে তাঁদেরও নিশ্চয়ই পতন হল!
কিছুদিন আগেই কর্নাটকের ডাঃ মঞ্জুনাথ, যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, রাজ্যে দলের দু নম্বর নেতা, ও ডাঃ জয়লক্ষ্মী, মহিলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, দল ছাড়লেন। পতন কিংবা অধঃপতন – জানা যায়নি।
প্রভাস ঘোষ যাঁর সাহায্য নিয়ে অনেককে সরিয়ে দলকে অধঃপতনের হাত থেকে বাঁচালেন সেই কন্ট্রোল কমিশন চেয়ারম্যান অনিল সেনও শেষে ছাড় পেলেন না। অধ:পতিত হলেন।
বর্ষীয়ান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুকোমল দাশগুপ্ত মানসিক ভারসাম্য হারানো অবস্থায় নাকিঅধঃপতিত হলেন।
শুনেছি প্রবীণ নেত্রী সর্বভারতীয় সংগঠক প্রতিভা মুখার্জী শেষজীবনে অধঃপতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বেশ কয়েক বছর আগেকার রাজ্য কমিটি সদস্য বিধান চ্যাটার্জী কিছু গুরুতর অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করলেন। তবু সেই সব অভিযোগের তদন্ত হয়নি বা হলেও ফলাফল কেউ জানে না!
এসইউসি আই এর অত্যন্ত গর্বের জয়নগর, কুলতলি বিধানসভা রইল না, যেখানে সিপিএমের মধ্যগগনের দিনেও তাদের জামানত জব্দ হয়েছে। কিন্তু সেখানেই তৃণমূল সমর্থনে জয়নগর লোকসভা জেতা ম্যালিগন্যান্ট হয়ে দাঁড়াল। আজ সেখানে পঞ্চায়তে জেতা এসইউসি সদস্য অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন।সর্বগ্রাসী ক্ষয়।
হ্যাঁ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এসইউসির দুটি মাত্র আসন ছিলনা। দুবার সাতজন করে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমে কমে দুই দাঁড়িয়েছিল।
প্রতিবেশী রাজ্য আসাম, বিহার,ওড়িশা বিধানসভাতেও এসইউসির প্রতিনিধি ছিল। তাও চলে গেছে।
অবশ্য ভোটে জেতা-হারা বা নেতাকর্মী হ্রাসবৃদ্ধি দিয়ে বিপ্লবী ক্ষমতা বিচার চলেনা। এটা হোমিওপ্যাথি পোটেন্সি থিওরি। সংখ্যা যত কম শক্তিবৃদ্ধি তত বেশি। ফলে শক্তিবৃদ্ধি ক্রমশ অসীমে পৌঁছাবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
৯০-উত্তর এসইউসির এরকমই অগ্রগতি অব্যাহত।
অদ্ভুত ব্যাপার, একজনের ক্ষেত্রেও অপরাধ নির্ণয় ও শাস্তি প্রদানের সাংগঠনিক প্রক্রিয়াটি কেউ জানে না। সাধারণ সদস্যরা শুধু বিচারের শেষ ধাপে প্রদত্ত রায়টা জানতে পারে। আর তাদের এক আশ্চর্য ক্ষমতা। এই না জানাটাকেই তারা বিপ্লবী শিক্ষা বলে মনে করে। ব্রুনো আমলের রোমান চার্চের শৃঙ্খলার মতোই তার দৃঢ়তা।
১৯৪৮ সাল থেকে যদি দলের সাংগঠনিক শক্তি ও গুণমানের বৃদ্ধি হয়ে থাকে, মানতেই হচ্ছে, ১৯৯০ থেকে দলের শক্তি এবং গুণমানের হ্রাস ঘটে চলেছে।
রহস্যটা কী?
5 মন্তব্য(গুলি)
খুব সুন্দর লিখেছ ।
সত্যি সত্যি যদি সংগ্রামী নেতৃত্ব দলের নেতৃত্বে আসীন হত তাহলে আমাদের মত ভূষিমালগুলোর আস্তাকুর ছাড়া কোন জায়গা ছিল !
খুব ভালো লেখা তবে এর বাইরে বহু নাম যোগ করা দরকার।
স্যার আমি একান্ত ভাবে জানতে আগ্রহী যে ভারত বর্ষের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব করার জন্য কোনো দল কি রয়েছে, থাকলে সেটা কোন দল
আপনার পড়ার এক বদমাশ লোকের শুধুমাত্র একটি গুন আপনি বলতে পারবেন
EmoticonEmoticon