রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

কোন্‌ সাংবাদিকের হিম্মত আছে শেখ হাসিনাকে উত্তেজক প্রশ্ন করার?

সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে রাজনীতিকদেরকে উত্তেজক প্রশ্ন করে বিব্রত, অপ্রস্তুত ও রাগিয়ে দেওয়া। আর রাজনীতিকের কাজ হচ্ছে শান্ত থাকা, এবং সক্ষম হলে উত্তর দেওয়া, না হলে এড়িয়ে যাওয়া।

প্রস্তুতির বাইরে প্রশ্ন করলেই একজন রাজনীতিকের প্রকৃত ব্যক্তিত্ব, মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রকাশ পাওয়া যায় তার উত্তর থেকে, যেটি জনস্বার্থে জরুরি বলে সাংবাদিকের জন্যে একটি চমৎকার কৌশল। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন কোনো সাংবাদিক এই কৌশলটি কারও ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন এবং কারও ক্ষেত্রে করে্ন না।

সাংবাদিকতায় জগতে মাসুদা ভাট্টি তো রূপতঃ চুনোপুঁটি! ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে তিনি তেমন কোনো কঠিন প্রশ্ন করেননি। শুধু জানতে চেয়েছেন তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করেন কিনা। এতেই তিনি রেগে "চরিত্রহীন" বলে গাল দিলেন!

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার জগতে এই মাসুদা ভাট্টি-সহ এমন কোনো চুনোপুঁটি,  রুই-কাতলা কিংবা রাঘব বোয়াল সাংবাদিক আছেন কি, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিম্নলিখিত তিনটির মধ্যে এক বা একাধিক প্রশ্ন করার হিম্মত রাখেন?

(১) লোকে বলে আপনি বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং ভারতের কৃপায় দেশের ক্ষমতায় টিকে আছেন; আপনি কি বলবেন এবিষয়ে আপনার উত্তর কী?

(২) যিনি বলেছেন নারী দেখলে পুরুষের মুখে তেঁতুল দেখে জল আসার মতো জল আসে, এবং সে-কারণে আপনি যাঁকে "তেঁতুল হুজুর" বলেছেন, সেই তেঁতুল হুজুরের সাথে যখন আপনি দেখা করতে গেলেন, তখন আপনার কী অনুভূতি হয়েছে?

(৩) যে সৌদি আরব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং আপনার পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের আগে পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি, বরং তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরদিন দিয়েছে, সেই সৌদি আরবের যুবরাজ যখন আপনাকে "হাফ-সৌদি" বলে এবং সেটি আপনি গর্বের সাথে সাংবাদিকদের বলেন, তখন আপনার মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কীভাবে কাজ করে?


EmoticonEmoticon