শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯

দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান :

একজন সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতি হয়েই সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ ' প্রবর্তন করেছিলেন। আর একজন সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতি হয়ে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিলেন। আমি যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নিতে পারি, তাহলে আমি বিশেষ কী করে দেখাতে পারি? আমি অবশ্যই বাংলাদেশের সুন্নতে খতনাটা করে ফেলতে পারি। ধর্ম থাকা মানেই খতনা অপরিহার্য।
অবশ্যই খতনার কাজটা করতে হবে বিশাল উৎসবের মধ্য দিয়ে। সেই মুসলমানী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে দেশ বিদেশের বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। সারাদেশে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়া হবে। প্রত্যেক পুরুষকে বিনামূল্যে লুঙ্গি বিতরণ করা হবে আর প্রতিটা নারীর জন্য বরাদ্দ করা হবে পাকিস্তানি বোরকা।
সংসদ ভবনের চত্বরে নির্মাণ করা হবে খতনা করা দন্ডায়মান পুরুষাঙ্গের বিশাল ভাস্কর্য। ইসলামী বাংলাদেশের মূর্ত প্রতিক।
সারা দেশেই স্থানে স্থানে স্থাপন করা হবে এটা। স্কুল কলেজে চলবে সেই ভাস্কর্য নির্মাণ কিংবা অংকনের প্রতিযোগিতা। এটা ইসলামী শিল্পকলা বিকাশে দারুন ভুমিকা রাখবে।
খতনা করা দন্ডায়মান পুরুষাঙ্গই হবে মুসলমান বাংলাদেশের মূল প্রতিক। খতনাকে একটি মৌলিক অধিকার বিবেচনা করে রাষ্ট্রের প্রতিটি পুরুষের মুসলমানী নিশ্চিত করা হবে। ( প্রয়োজনে নারীদেরও! )
পাকিস্তানি মহান ও বীর সৈনিক ভাইদের  মতো আর বলতে হবে না, ( একাত্তরে যেমন বলেছিল! ), "এই শালা বাঙালি,  কুত্তার বাচ্চা, বেজন্মা মালাউন,  লুঙ্গী খোল! দেখি, তোর নোংরা পুরুষাঙ্গটা বের কর! খতনা করিয়েছিস?"

জয়মদিনা বলে আগে বাড়ো!


EmoticonEmoticon