বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

জানিনা লজ্জাটা কার!

আগুন লাগার ৪ ঘণ্টাতেও জীবন্ত মানুষদের উদ্ধার করতে পারি না, এতটাই উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি।
কোন বিকল্প জরুরী বহির্গমন রাস্তা সিড়ি কি ভবনে ছিল না?
বাঁচার জন্য,  একটু নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য ভবনের উপর থেকে লাফিয়ে আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে মানুষ। নীচে একটা নেট বা শক্ত কাপড়ও দিতে পারলাম না আমরা।
লাফিয়ে পড়ে আহত নিহত হবার পর কি বাহিনীর আগমন নেট হাতে!!
বিমানবাহিনীর হেলিকাপ্টারে পানি ছিটালে ভবনের ভেতরের আগুনের তো কিছু যায় আসে না, তবে হেলিকাপ্টরের পাখার বাতাসে আগুন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কি বেশি না?
আর হেলিকাপ্টার যদি উদ্ধার কাজে গিয়ে থাকেন, তবে দ্রুত ছাদে আটকে পড়া মানুষদের কি উদ্ধার যায় না?
লজ্জা, অসহায়ত্ব আর ক্ষোভ নিজের প্রতি। ভালবাসা একমাত্র বাহিনী ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রতি আর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া জনগণের প্রতি। যাদের প্রাণন্তকর চেষ্টা না থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা হয়তো অনেক বাড়তো।
তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসার পর অনেকেরই বা অনেক বাহিনীর কিন্তু আগমন ঘটবে ক্রেডিট নেয়ার জন্য।


EmoticonEmoticon