আজ নিউজিল্যাণ্ডের ক্রাইষ্টচার্চের দু’টি মসজিদে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় অর্দধশত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাটি একটি মুসলিম-বিদ্বেষী গণহত্যা। এই গণহত্যা বস্তুতঃ পাশ্চাত্যের (ভৌগলিক নয়, সাংস্কৃতিক অর্থে) দেশসমূহের খ্রিষ্টীয় সমাজে মুসলিম হিসেবে জ্ঞাত ও প্রত্যক্ষিত মানুষদের জন্যে এক নতুন মাত্রায় অস্তিত্বের হুমকির বার্তা দিলো।
আমি মনে করি, পাশ্চাত্যের খ্রিষ্টীয় সমাজে, যে-কারণেই হোক না কেনো, যে 'মুসলিমোফোবিয়া' (Muslimophobia) বা মুসলিম-বিদ্বেষ গড়ে উঠেছে, তারই সঘন ভয়ঙ্কর প্রকাশ ঘটেছে নিউজিল্যাণ্ডের ক্রাইষ্টচার্চের গণহত্যায়। ফলে, এটিই হয়তো শেষ ঘটনা নয়।
পৃথিবী ক্রমশঃই একটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে, তাতে নিউজিল্যাণ্ডের ক্রাইষ্টচার্চ কাণ্ডের মতো আরও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা পাশ্চত্য বলে পরিচিত দেশগুলোতে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে, মুসলিম-জ্ঞাত ও মুসলিম-প্রত্যক্ষিত মানুষদের জন্যে পাশ্চাত্যের খ্রিষ্টীয় সমাজে এমনকি বসবাস করাই অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে।
উপরে যে-আশঙ্কার কথা বললাম, তা যদি বাস্তবে ঘটতে থাকে, তখন পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে মুসলিম-জ্ঞাত ও মুসলিম-প্রত্যক্ষিত মানুষের ‘নাগরিকত্ব’ অসার প্রতিভাত হবে। আর, তাই যদি হয়, তখন নাগরিকত্ব অসার করে আইন তৈরি হওয়া হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
EmoticonEmoticon