শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

বাসদের ঠুনকো কান্ড !

বাসদের ভাঙ্গন হয়েছে এদেশে অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে অযথা কারণে এবং নেতাদের ভুলে! যে কারণে দলটার বিভক্তি গঠেছে ২০১৩ সালে এই কারণগুলো নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের কোন আগ্রহ নেই! মানুষের অধিকার আদায় না করে বাসদ গেল অথরিটির অধিকার আদায়ে, অথচ এখানকার মানুষ বুঝেই না অথরিটি খায় নাকি মাথায় দেয়। এখন যদি বাসদ এক হয় তাহলে ভালও হতে পারে খারাপও হতে পারে ! আপাদত সবাই এখন মাঝা ভাঙ্গা! তবে সকল বাসদের একত্রিত হয়ে যদি মানুষের চাহিদা,অবস্থা,আচার-আচরণ, করণ-দরণ বুঝে দেশের স্বার্থে মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করে তাহলে হয়তো বাসদের পক্ষেই সম্ভব এই দেশকে নিরাপদ ও সভ্য সমাজের রোল মডেল করা।
সমস্যা হলো কে শুনে কার কথা সবাইতো মহাপন্ডিত তাত্বিকের বাপ, আরেকজনকে টেনে এনে অথরিটি কেন নিজেরা অথরিটির মত কাজ করে অথরিটি হলে কি হয়?
বাংলার মাটিতে কমিউনিস্ট রাজনীতি আজ থেকে না তারপরেও কতজন মানুষ বুঝে শ্রেণী সংগ্রাম,শ্রেণি শত্রু, বুর্জোয়া, পেটি বুর্জোয়া, সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ,পুঁজির বিকাশ,বিপ্লব, জণগণতান্ত্রীক বিপ্লব, বিজ্ঞান মনস্ক,সেক্যুলা সমাজ কি? গাও গ্রামে একটি কথা আছে, মাস্টার তুমি ছাত্রের আক্কেলের গুঁড়ায় পানি না দিয়ে গেছ মাতব্বরের হোল টিপতে! ঠিক এমনটাই হয়েছে বাসদের অধিকাংশ নেতাদের ক্ষেত্রে।
বাসদের ভাঙ্গনে সাধারণ কর্মী সমর্থক শুভাকাঙ্ক্ষীদের চিন্তাধারা ইতিবাচক না নীতিবাচক অবস্থানে আছে বাসদ সম্পর্কে এর কোন সুরাহা কি নেতারা করতে পারবে? পারবে না তাই এখনো বহু সময় আছে সকল বাসদ একত্রিত হওয়ার মানুষের মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে । বাসদ পথ চলুক কমিউনিস্ট ইশতেহার আর চলমান সমস্যা সমাধানের পথধরে ।


EmoticonEmoticon