বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭

রাজনীতির সুযোগ সুবিধা !

আওয়ামীলীগ/বিএনপি/জাতীয় পার্টি/জামায়াত প্রভৃতি টাইপের দলগুলো মূলত ধনী ব্যবসায়ীদের টাকায় চলে। ব্যবসায়ীরা নানা সুযোগ সুবিধা/ট্যাক্স মওকুফের আশায় নিজেদের সুবিধামতো পার্টি ফান্ডে টাকা দান/খয়রাত করে। সেই টাকাতেই পার্টি চলে/সারাদেশে তাদের কার্যক্রম চালায়। তবে পার্টির খরচের বাদে নেতাদের টেন্ডারবাজি/চাঁদাবাজী/দূর্ণীতি মারফত আয়ের হিসেবটা ভিন্ন বিষয়। বলছিলাম,  দেশে কোটিপতি রাজনীতিবিদের অভাব না থাকলেও কোটিপতি কম্যুনিস্টের বড়ই অভাব। অবশ্য যদি আপনি ইনু/মেননকে কম্যুনিস্ট বলেন তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারন আপনি কম্যুনিস্টদের অপমান করছেন। মনে রাখবেন, কোটিপতিরা সাধারণত কম্যুনিস্ট হয় ও না। কারন, পুঁজিবাদীরা পুঁজির চিন্তা/আয় বাড়াবার চিন্তা করে। দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবার সময় তাদের কম। আর কোন রাজনীতিবিদ যদি কোটিপতি না ও হয় তথাপি কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার সম্পদ কয়েকশো গুণ বেশি বৃদ্ধি পাবার সুযোগ/সম্ভাবনা থাকে। আর বাঙলাদেশে এটা অবশ্যই সম্ভব। আর এরাই কেউ সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমায়, কেউবা মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কিনে। আর আওয়ামীলীগ/বিএনপিতে এর উদাহরণ ও অসংখ্য। আমাদের কম্যুনিস্ট পার্টিগুলো কোন ব্যবসায়ীদের টাকায় চলেনা। আমাদের যারা কর্মী অথবা প্রতিষ্ঠিত সমর্থক আছেন তারা তাদের সাধ্যমতো পার্টিফান্ডে দান করেন, আর  পত্রিকা/সাময়িকি বিক্রির টাকাই বাকি ব্যয়ের জোগান দেয় আর সেই পত্রিকা/সাময়িকিও আমাদের কর্মী/সমর্থকেরাই বিক্রি করে দেয়। তাই আমাদের কম্যুনিস্ট পার্টিগুলো নিতান্তই গরীব! আর গরীবই গরীবের কথা ভাবে, বড়লোকেরা নয়।
তবু বলি, ভরসা রাখুন ডানপন্থি শোষক দলগুলোর প্রতি যারা আপনাদের শোষন করে খায়। আমাদেরকে আপনারা ভোট দেন না, ফিরিয়ে দেন বারেবারে। নাক সিঁটকান, বলেন, এরা আবার কি করবে? তবু আমরা আপনাদের কাছে যাবো, আপনাদের কথা ভাববো, সুখে দুঃখে পাশে দাড়াবো, প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঝরাবো। কারন বুকের ভেতর লেখা মানবতার গান, একটাই ব্রত, করবো মানবতার সংগ্রাম।


EmoticonEmoticon