অতি বর্ষণের ফলে কাপ্তাই লেকের জল বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুত্ কেন্দ্র রক্ষার্থে বেশ কিছু পরিমাণ জল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে রাউজান সহ পার্বত্য চট্রগ্রামের বেশ কিছু নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেটা মরার উপর খাড়ার ঘাঁ! এদিকে দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোঁয়া দাম অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করে গিনেস বুকে নাম লেখাবার পায়তারা করছে । খাদ্য দ্রব্য/জ্বালানি সংকট/যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হবার ফলে সেখানে নীরব দূর্ভিক্ষ চলছে। অনেকেই টাকা দিয়েও কোন খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছেন না। যাদের এতো বেশি টাকা নেই তাদের অবস্থা? রাষ্ট্র আবার উপদ্রুত এলাকার মানুষের সাথে তামাশা করছে। পর্যাপ্ত ত্রান/সেবা সহায়তা পৌছানোর বদলে রাষ্ট্রীয় কর্তা ব্যক্তিদের কেউ দূর্যোগের কারণের পেছনে বিএনপির হাত খুজেঁ পেয়েছেন, কেউ আবার চালের দাম বাড়ার পেছনে বিএনপির ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন। কিন্তু কেউই তাদের ন্যারো মাইন্ড আর ব্যর্থতার কথা স্বীকার করছেন না! আর এটা বাঙলাদেশের সংস্কৃতিও নয়। সে যাইহোক, অনেকে পার্বত্য চট্রগ্রামে অর্থ সহায়তা পাঠাতে চান। তবে আমার মনে হয়, অর্থের পাশাপাশি সেখানে খাদ্য সহায়তা ও পাঠানো খুব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে খুব ভালো হতো। তারা যদি অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা না হোক অন্তত ন্যায্য মূল্যে অথবা অপেক্ষাকৃত কম দামে সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ করতো, সেটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ হতো। অনেকে ইভেন্ট খুলে বিকাশ নাম্বার দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করার চেষ্টা করে একটা মানবিক কাজ করছেন। তবে কাজটা আরো বেশি মানবিক হবে যদি সেই সংগ্রহকৃত টাকা নিজেদের ঈদ খরচে ব্যয় না হয়ে অসহায় লোকদের উপকারে আসে। আর একটা কথা, টাকা যদি পাঠাতেই হয়, তাহলে বিশ্বস্ত ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া কোন স্বেচ্ছাসেবী অথবা বাম সংগঠনের কাছে দেওয়াই উত্তম যারা পার্বত্য চট্রগ্রামের অসহায় মানুষদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে! আর এতে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বেহাত হবার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon