শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

এই যে দিদি ।

ভারত বাঙলাদেশের অভিন্ন ৫৪ টি নদীর ৪৭ টিতে ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক বাঁধ নির্মাণ করে বাঙলাদেশকে প্রাপ্য পানি হতে বঞ্চিত করছে। শুকনো মৌসুমে তারা আমাদেরকে শুঁকিয়ে মারছে, ভরা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি দিয়ে ডুবিয়ে মারছে! একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের প্রতিদান বোধহয় এভাবেই আমাদেরকে মেটাতে হবে আজীবন। যাইহোক, তিস্তা চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে কম জল ঘোলা হয়নি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তিতে গররাজি হলেও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বুয়ার অজুহাতে  চুক্তি সম্পাদন করতে চাইছে না। কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে মমতা বুয়া বাঙলাদেশের জনগণের সাথে চরম একটা রসিকতা করেছিলেন, আর সেটা হল, তিস্তার বদলে দু দুটো মরা খালের পানি বাঙলাদেশকে দেবার জন্য তিনি প্রস্তাব করেছিলেন! মমতা বুয়ার মাথায় কি আছে সেটা তিনিই ভালো জানেন। বাহ্মণ হয়েও তিনি যেভাবে মাওলানা বরকতির পাঞ্জাবির বাতাস খান, তাতে এই মহিলার চেতনাটা আসলে কি সেটা নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে। সম্প্রতি তিনি আত্রাই নদী নিয়ে নতুন  কেচ্ছা বানিয়েছেন। বাঙলাদেশ নাকি আত্রাইয়ের উজানে বাঁধ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করছে! উল্লেখ্য যে, আত্রাই হল একমাত্র নদী যেটি ভারতে উত্‍পন্ন হয়ে বাঙলাদেশে ঢুকে আবারো ভারতে প্রবেশ করেছে। তো, মমতা বুয়া আত্রাই নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ চেয়ে কেন্দ্রের সাথে দেন-দরবার করছেন। চেয়েছেন, যাতে, বাঙলাদেশ বাঁধ ভেঙে দিয়ে আবারো আত্রাইয়ের পানির প্রবাহকে স্বাভাবিক করে।

ওগো মমতা বুয়া,
আমরা আত্রাইয়ের পানি তোমায় দিয়ে দেবো। তুমি অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি করে আমাদের ন্যায্য/প্রাপ্য পানি প্রদান কর। কারণ আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রবাহকে বাঁধা গ্রস্থ করার অধিকার তোমার দেশের নেই। তবু তোমরা সেটা করেছো, আমরা  ও ইতিপূর্বে যতটুকু মানার মেনে নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি, বাঁধ দিয়ে তোমরা যা ইচ্ছে কর, কিন্তু আমাদের পানি আমাদের দিয়ে দাও। কিন্তু তা না দিয়ে এবার যখন তুমি আত্রাইয়ের জল নতুন করে ঘোলা করতে চাচ্ছো! তখন তা করতে পারো। জেনে রেখো, আমরাও তখন একে একে ৪৭ টি নদী সহ অভিন্ন ৫৪ টি নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের জোর দাবি জানাবো। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবো।


EmoticonEmoticon