দেশে যখন কোন বিরোধী দল কিংবা সমালোচক আওয়ামীলীগ সহ্য করে না ; আমি গত দুই বছর আগে বলেছিলাম আওয়ামীলীগ নিজেরাই কামড়াকামড়ি করে শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীর অতীত ইতিহাস অন্তত তাই বলে। ডাইনোসররা নিজেরাই কামড়াকামড়ি করে মরেছিল। গতকাল আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি রাজাকার, জামাত-শিবিরের পূনর্ভাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন জনাব ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করায় ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মী কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিটাই এমন।
একটা উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করা যাক।
এখন সংসদে যদি শেখ হাসিনা বিল আনেন যে সংসদে কেউ সাদা শার্ট পড়তে পারবে না। আওয়ামীলীগের ২০০+ এমপির একজনো এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবে না। যদিও সবাই জানে এটা একদম অযৌক্তিক, খামখেয়ালি আর বেকুব মার্কা বিল। ভোট দিলেই তার দলীয় সদস্যপদ সহ সাংসদ সদস্যপদও বাতিল হয়ে যাবে। এই সদস্যপদ বাতিলের ভয়ে কেউ একজনও যদি ন্যায্য কথা বলতে চায়, সে পারবে না। গতকাল যে ছাত্রলীগের ছেলেরা ওবায়দুল কাদেরে রাজাকার প্রীতির সমালোচনা করেছে তারা এই ভণ্ড রাজনীতিকে সরাসরি মধ্যমা আংগুলি দেখিয়েছে। যা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ কেউ সহ্য করতে পারেনি। তাই ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেও ছেলে গুলো বহিষ্কার হয়েছে।
এটা আওয়ামীলীগ পতনের পূর্ভাবাস।
নিবেদিত এসব ছেলেদের শূন্যস্থান দখল করে নিবে জামাত-শিবিরের ছেলেরা।
কাউয়া তত্বের মহান আবিষ্কারক ওবায়দুল কাদেররা হচ্ছেন মহামতি মোস্তাকদের জন্মদাতা।
দেশের বিভিন্ন ছাত্রলীগ কওমটিতে দেখা গেছে শিবিরের চিহ্নিত ছেলেরা পদ পেয়েছে। এসব নিয়ে অনেক লেখা লেখি করেও তাদের সরানো যায়নি। তারা যে উদ্দেশ্যে এসেছে ওবায়দুল কাদেররা সেটা বাস্তবায়নে সব পথ খুলে দিচ্ছেন। জামাত-শিবিরের কেউ মারা যাওয়ার ১০০ বছর পরেও তার হাড্ডি যদি ডিএনএ পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়, তাতেও জামাতের ডিএনএ পাওয়া যাবে। তাহলে ওবায়দুল কাদের কীভাবে সার্টিফাই করে যে চার বছরে এক রাজার কন্যা ও শিবিরের নিবন্ধিত সদস্যা এমপি স্ত্রী হওয়ার কারণে খাঁটি আওয়ামীলীগ হয়েগেছে ?
আমি এখন থেকে আওয়ামীলীগের আর কোন বিরোধিতা করব না।
কারণ, আওয়ামীলীগ এসব রাজাকার, জামাত-শিবিরের দংসনেই মারা যাবে।
জাস্ট ওয়েট এন্ড সি ।
EmoticonEmoticon