প্রাচীন বার্মা বা বর্তমান মিয়ানমারে পাঁচ/ছয় জাতির মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকে। সবচেয়ে বড় মুসলিম গ্রুপ হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। এছাড়াও আছে চীনা বংশোদ্ভূত মুসলিম, মালয় বংশোদ্ভূত মুসলিম, বাঙালি বংশোদ্ভূত মুসলিম, স্থানীয় বার্মিজ মুসলিম, আরব বংশোদ্ভূত মুসলিম এবং অন্যান্য। আশ্চর্যের বিষয় হল এতোগুলো মুসলিম জাতির মধ্যে বার্মার সরকার শুধুমাত্র বাঙালি বংশোদ্ভূত মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপরই হামলা চালায়, নির্যাতন করে। অন্যান্য মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, নাগরিক অধিকার ঠিকই ভোগ করছে কিন্তু রোহিঙ্গাদের কোন অস্তিত্বই স্বীকার করছে চাইছে না মিয়ানমার রাষ্ট্র।
এইবার জানি রোহিঙ্গাদের কিছু ইতিহাস;
১৭৮৪ সালে বার্মার তৎকালীন রাজা আরাকান দখলের পর থেকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ ভাগ্যবিড়ম্বনার শুরু। ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। ওই সময় আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়।
ব্রিটিশরা এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর ১৯৬২ সালে বার্মার সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে। মূলত এরপর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
১৯৭০ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বার্মিজ কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৪ সালে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালে অপারেশন নাগামিন বা ড্রাগন কিং নামে একটি অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সরকার। তখন দাবি করা হয়েছিল এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনও বিদেশি মিয়ানমারে অবস্থান করছেন কিনা; তা যাচাই করা। তবে প্রকৃতপক্ষে এটি রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানে পরিণত হয়। সে সময় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি প্রত্যাবসন চুক্তি হয়। এর অধীনে প্রায় সব রোহিঙ্গা ফেরত চলে যান।
১৯৮২ সালে মিয়ানমার নাগরিক আইন জারি করে। ওই আইনে দেশটিতে বসবাসরত ১৩৫টি জাতিকে স্বীকার করে নিলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়। এই আইন এখনও বলবৎ আছে। রোহিঙ্গারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন না। জমির মালিকানা অর্জন করতে পারেন না। দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।
১৯৯১ সালে ‘রাখাইনে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে’ সরকারিভাবে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান। সে সময় প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা আবার বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
১৯৯২ সালের শেষদিকে এবং ১৯৯৩ সালের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে প্রায় দুই লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যান। রোহিঙ্গাদের শেষ ব্যাচটি ২০০৫ সালে ফেরত যায়। সে সময় থেকে বাংলাদেশে থেকে ফিরে যায় প্রায় ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
২০১২ সালের রোহিঙ্গাবিরোধী দাঙ্গায় নিহত হন শতাধিক রোহিঙ্গা। গৃহহীন মানুষের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বার্মিজ পুলিশ অভিযোগ করে, শতাধিক জঙ্গি (রোহিঙ্গা) তাদের সীমান্তবর্তী তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৯ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। এ সময় পাল্টা হামলায় আট হামলাকারীও নিহত হয়। পুলিশের দাবি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন নামের একটি সামরিক গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে। পরদিন ১০ অক্টোবর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিভিন্ন শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়।
একই বছরের ৩ নভেম্বর স্থানীয় অমুসলিম বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানায় বার্মিজ পুলিশ।
৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় স্বাধীনতাকামী রোহিঙ্গাদের দায়ী করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় নতুন করে জাতিগত নিধনযজ্ঞ। সে সময় জীবন বাঁচাতে দলে দলে বাংলাদেশে ছুটে আসে রোহিঙ্গারা। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বর্তমানে চার লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের জানুয়ারির গোড়ার দিকে বার্মিজ পুলিশ কর্তৃক রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সারি বেঁধে বসে থাকা রোহিঙ্গাদের ঘিরে আছে পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক রোহিঙ্গাকে মারধর করতে শুরু করে। আরেক কর্মকর্তা এসে লাথি মারে তার মুখে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও মারধর করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। এক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণ করা এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার সরকার। চাপের মুখে আইন ভঙ্গকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিশন জানায়, রাখাইন প্রদেশের মংডুতে কোনও ধরনের গণহত্যা বা ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জানুয়ারির শেষ দিকে সফররত কফি আনান কমিশনের সদস্যরা জানান, রাখাইন প্রদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ নারী মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর এক প্রতিবেদনেও একই রকমের তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে রোহিঙ্গা নারীরা এমন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
২১ জানুয়ারি মিয়ানমারের মংডু’তে কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তিন রোহিঙ্গা মুসলিমের মরদেহের সন্ধান মিলে। এ ঘটনায় নাগরিক অধিকারের জন্য লড়াই করা রোহিঙ্গা দলগুলোকে দায়ী করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মার্চে বার্মিজ পুলিশের হাতে আটক ৪২৩ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর থেকে আটক হওয়া এসব ব্যক্তিদের ১৩ শিশুও ছিল। ছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধও। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।
এই হল রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ইতিহাস ।
এইবার জানি রোহিঙ্গাদের কিছু ইতিহাস;
১৭৮৪ সালে বার্মার তৎকালীন রাজা আরাকান দখলের পর থেকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ ভাগ্যবিড়ম্বনার শুরু। ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। ওই সময় আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়।
ব্রিটিশরা এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার পর ১৯৬২ সালে বার্মার সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে। মূলত এরপর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
১৯৭০ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বার্মিজ কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৪ সালে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালে অপারেশন নাগামিন বা ড্রাগন কিং নামে একটি অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সরকার। তখন দাবি করা হয়েছিল এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনও বিদেশি মিয়ানমারে অবস্থান করছেন কিনা; তা যাচাই করা। তবে প্রকৃতপক্ষে এটি রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানে পরিণত হয়। সে সময় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি প্রত্যাবসন চুক্তি হয়। এর অধীনে প্রায় সব রোহিঙ্গা ফেরত চলে যান।
১৯৮২ সালে মিয়ানমার নাগরিক আইন জারি করে। ওই আইনে দেশটিতে বসবাসরত ১৩৫টি জাতিকে স্বীকার করে নিলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়। এই আইন এখনও বলবৎ আছে। রোহিঙ্গারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন না। জমির মালিকানা অর্জন করতে পারেন না। দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।
১৯৯১ সালে ‘রাখাইনে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে’ সরকারিভাবে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান। সে সময় প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা আবার বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
১৯৯২ সালের শেষদিকে এবং ১৯৯৩ সালের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে প্রায় দুই লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যান। রোহিঙ্গাদের শেষ ব্যাচটি ২০০৫ সালে ফেরত যায়। সে সময় থেকে বাংলাদেশে থেকে ফিরে যায় প্রায় ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
২০১২ সালের রোহিঙ্গাবিরোধী দাঙ্গায় নিহত হন শতাধিক রোহিঙ্গা। গৃহহীন মানুষের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বার্মিজ পুলিশ অভিযোগ করে, শতাধিক জঙ্গি (রোহিঙ্গা) তাদের সীমান্তবর্তী তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৯ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। এ সময় পাল্টা হামলায় আট হামলাকারীও নিহত হয়। পুলিশের দাবি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন নামের একটি সামরিক গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে। পরদিন ১০ অক্টোবর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিভিন্ন শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়।
একই বছরের ৩ নভেম্বর স্থানীয় অমুসলিম বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানায় বার্মিজ পুলিশ।
৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় স্বাধীনতাকামী রোহিঙ্গাদের দায়ী করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় নতুন করে জাতিগত নিধনযজ্ঞ। সে সময় জীবন বাঁচাতে দলে দলে বাংলাদেশে ছুটে আসে রোহিঙ্গারা। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বর্তমানে চার লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের জানুয়ারির গোড়ার দিকে বার্মিজ পুলিশ কর্তৃক রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সারি বেঁধে বসে থাকা রোহিঙ্গাদের ঘিরে আছে পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক রোহিঙ্গাকে মারধর করতে শুরু করে। আরেক কর্মকর্তা এসে লাথি মারে তার মুখে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও মারধর করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। এক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণ করা এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার সরকার। চাপের মুখে আইন ভঙ্গকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিশন জানায়, রাখাইন প্রদেশের মংডুতে কোনও ধরনের গণহত্যা বা ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জানুয়ারির শেষ দিকে সফররত কফি আনান কমিশনের সদস্যরা জানান, রাখাইন প্রদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ নারী মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর এক প্রতিবেদনেও একই রকমের তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে রোহিঙ্গা নারীরা এমন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
২১ জানুয়ারি মিয়ানমারের মংডু’তে কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তিন রোহিঙ্গা মুসলিমের মরদেহের সন্ধান মিলে। এ ঘটনায় নাগরিক অধিকারের জন্য লড়াই করা রোহিঙ্গা দলগুলোকে দায়ী করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মার্চে বার্মিজ পুলিশের হাতে আটক ৪২৩ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর থেকে আটক হওয়া এসব ব্যক্তিদের ১৩ শিশুও ছিল। ছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধও। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।
এই হল রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ইতিহাস ।
EmoticonEmoticon