আমাদের দেশে এখন সবাই দ::শাষনের বিরুদ্ধে বামপন্থী দলগুলির ঐক্য চায়।বিভক্ত বামপন্থি দলগুলি খুব ছোট ছোট হয়ে গিয়েছে যা দেখতে এবং সর্মথন করতে দৃষ্টিকটু লাগে, বেমানান ও লাগে। তাই মধ্যবৃত্ত মন চায় যে দলটা সর্মথন করি তা এত ছোট হলে নিজের ও তো লজ্জা লজ্জা লাগে । ফলে বড় হতে হবে ।বড় হওয়া র্দীঘমেয়দি কষ্টকর কাজের মাধ্যমে দলে সদস্য বাড়ানোর মাধ্যমে সম্ভব। বড় হওয়ার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় মাধ্যমে দুইদলের অল্প অল্প সদস্য একত্র হলে বেশী দেখা যায়। এটাই সব নয়-এটা একটা বিবেচনা। এ ছাড়াও অনেক সময় কার্যকর আন্দোলন করতে বা র্নিবাচন করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার হয় ।ফলে ঐক্য কেন চাইছি ,একা মিটিং মিছিল করার জমায়েত করতে পারিনা বলে ,না আন্দোলনের জন্য না র্নিবাচনের জন্য তা ভেবে দেখার দাবী রাখে । মধ্যবৃত্ত মন এমনই জটিল মন যে, সে সারা জীবন অভিনয়ের কোন র্চচা না করে একটা ছবিতে উত্তম কুমারের ভাল অভিনয় দেখে মন উত্তম কুমার হতে চায়।আবার সারা জীবনে কোনদিন খেলাধুলা না করে একদিন মাত্র খেলা দেখে দিয়াগো মেরাডোনা হতে চায় । বামপন্থি রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা তীব্র কষ্টকর সংগ্রাম করার মাধ্যমে শ্রমজীবি মানুষকে সংগঠিত করার যে র্দীঘমেয়াদি পথ তা অবলম্বন করার বদলে যদি জোড়া তালি দিয়ে দৃশ্যমান হওয়া যায়,নেতা হওয়া যায় তবে মন্দ কি ? উপরের কথাগুলি তেতো কথা হলেও বললাম এ কারনে নয়, যে আমরা বামপন্থিদের ঐক্য চাই না । আমরা বামপন্থিদের ঐক্য চাওয়া সত্যেও স্ব স্ব সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রতিই প্রধান মনোযোগ সকলেরই দেওয়া উচিৎ মনে করি।সেটা আমার মত অবশ্য সবাই মনে করেন,সেজন্য ব্যানারে ফেষ্টুনে নিজের দলের নাম প্রচারের প্রবনতা স্বাভাবিকতা ছাড়িয়ে দলবাজির র্পযায়ে অনেক সময়ই চলে যায়।এতে যে দলের সব সময় খুব লাভ হয় তেমনও নয়।তবুও ঐ ঘোরে আচ্ছন্ন থাকা এবং কাজ না করে ফল পাবার মানসিকতা থেকে মনে করা যে এই পথে বুঝিবা দল জনপরিচিতি পাবে । এবার যদি আমরা ভালভাবে ঐক্যের সমস্যা ও সম্ভবনাগুলি একে একে দেখতে থাকি তবে আমরা কি দেখবো ? যতটুকু মাত্রায় ফ্যাসিবাদ আছে,দু:শাষন আছে,স্বৈরাচার আছে ,ততটুকু মাত্রায় ঐক্যের প্রয়োজন ও আছে বিপুল সম্ভবনাও আছে ।সেই সম্ভবনা লালন করতে করতেই আমরা ঐক্যের সমস্যার দিকে যদি তাকাই তাহলে আমরা কি দেখতে পাব ? প্রথমত আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি আন্দোলনের জন্য ঐক্য চাই না র্নিবাচনের জন্য ঐক্য চাই ? নিশ্চয় আমরা সকলেই একমত হতে পারবো যে আন্দোলনের ঐক্য আর র্নিবাচনের ঐক্য এক রকম নয় ? বামপন্থি বা কমিউনিষ্টরা র্পালামেন্টারী গনতন্ত্রের পথে সমাজতন্ত্র হবে না এ বিষযে আজ একমত হতে পারবো কি ? একথা ঠিক একটা সময়ে আমাদের দেশেও পৃথিবীর অপরাপর দেশের মতই মস্কোপন্থি কমিউনিষ্টরা মনে করতেন অধনবাদী বিকাশের মধ্য দিয়ে ধনিকশ্রেনীর সাথে শান্তিপুর্ন সহঅবস্থানের ভিত্তিতে সমাজতন্ত্র সম্ভব ,র্পালামেন্টকে জনগনের ইচ্ছার যন্ত্রে রুপান্তর সম্ভব। আজো যদি তা মনে করেন,তবে র্নিবাচনকে যেকোন মুল্যে জিতবার জন্য প্রয়োজনে শাষক দলের সাথে বোঝাপরায়ও র্নিবাচনে অংশ নেবার জন্য নির্বাচনী ঐক্য চাইবেন। যারা র্পালামেন্টকে জনগনের ইচ্ছার যন্ত্রে রুপান্তর সম্ভব নয় মনে করেন,এবংএকমাত্র বিপ্লবের পথেই সমাজতন্ত্র আসবে মনে করেন তারা আন্দোলনকে মুখ্য এবং নির্বাচনকে গৌন মনে করেন র্সবদাই। তারা আন্দোলনের জন্য ঐক্য করেন নির্বাচন যদি করতেও হয় তবে তা আর্দশ প্রচারের জন্যই করা দরকার মনে করেন ? এপথে এমপি সাব হওয়া যায় না, যদিবা কদাচিৎ যায়ও তবুও এমপি টেকে না অতীতে এমন বাম এম. পি. আওয়ামী লীগ বি এন পি তে ঠাই পাওয়ার মেলা নজির আছে। তাই বামদলগুলির প্রথম বিবেচনা হওয়া চাই আন্দোলনের জন্য ঐক্য চাই- –র্নিবাচনের জন্য নয় । নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করে দেখুনতো ঐক্য কি আন্দোলনের জন্যই চান না র্নিবাচনের জন্য চান।আর এখানে যদি মতভেদ থাকেই তবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে লাভ কি?
ধরে নিলাম কোন মতভেদ নেই এবং আন্দোলনের জন্যই ঐক্য চান। বিকল্প শক্তি হয়ে উঠতে চান । সত্যিকারভাবে বিকল্প শক্তি হতে হলে একটা বিকল্প রাজনীতি লাগবে-একই রাজনীতি দিয়ে কোন ক্রমেই কিংবা রাজনীতি ছাড়া কোন ক্রমেই বিকল্প শক্তি হওয়া যাবে না । এখন রাজনীতি যদি হয় লিবারেল ডেমোক্রাটদের রাজনীতি বা লিবারেল বুর্জোয়াদের রাজনীতি তবে তা কি জাতের বাম বলয় বা বৃহত্তর বলয় গড়ে তুলবে তা আমাদের বিদ্যা বুদ্ধিতে বোঝা সম্ভব নয়। আমরা যা বুঝি তা হলো আজকের দিণে ক্ষমতার বাইরে থাকলে বুর্জোয়ারা লিবারেল- আর ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার । খালেদা জিয়া যে ভিশন ৩০ ঘোষনা করেছে তার চেয়ে বেশী কি গনতন্ত্রর কথা কাদেরসিদ্দিকী, মান্না,ড: কামালদের আছে তা আমি জানিনা ।তবে এটা জানি ক্ষমতার বাইরে থাকার এই কথা খালেদা ক্ষমতায় গেলে ভুলে যাবে । যেমন করে আমরা এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে এরশাদের পতন ঘটানোর পরেও তার উত্থান ঘটতে, তার সাথে হাত মেলাতে কোন দেরী হয়নি র্বুজোয়াদের। আজ আবার সকালে যাদের লিবারেল বলবো বিকালে এম.পি.র সিট নমিনেশন, প্রতিমন্ত্রি পদ পেলে আর লিবারেলও থাকবে না বলয়ও ভেঙ্গে যাবে এমন বলয় করে কি র্অজন করবো ? আমাদের আসল সমস্যার জায়গা হলো আমরা একদল শ্রমিকশ্রেনীর বিকাশে ধনিক শ্রেনীর ভুমিকা আছে এরকম মনে করি আর অন্যদল শ্রমিকশ্রেনীর বিকাশে ধনিক শ্রেনীর উচ্ছেদই একমাত্র প্রয়োজন মনে করি । দৃষ্টিভঙ্গির মুল র্পাথক্য সেই জায়গায় যে,যারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব চাই তারা মনে করি শ্রমিক শ্রেনী ধনিক শ্রেনীকে উচ্ছেদ করবে।আর যারা জাতিয় গনতান্ত্রিক বা জনগনতান্ত্রিক বিপ্লব করতে চাই তারা ধনিক শ্রেনীর আপেক্ষিক প্রগতিশীল ভ’মিকা খুজি । এ খুজতে গিয়ে কখনো লিবারেল পাই কখনো,মৌলবাদ বিরোধী পাই- আবার পরদিনই দেখি মৌলবাদের প্রধান দোষর হয়ে বসে আছে। আজকের যুগ হলো তীব্র আর্দশগত সংগ্রামের যুগ ।এখানে একটা দল বাজার অর্থনীতি চায়।আর এক দল পরিকল্পিত র্অথনীতি চায়- কেমন করে এই দুই দলের ঐক্য ও বৃহত্তর বলয় সম্ভব ?এদের নিয়ে কোন একটা র্কমসুচি ভিত্তিক ঐক্যের মধ্যে যাওয়া যে সম্ভব নয় তা নিশ্চয় করে বলা যায় । এখন আসে ইসুভিত্তিক ঐক্যের কথা, ইসু নিয়েও আমাদের কাজ খুব কমই হয়েছে। যা হয়েছে তা হলো প্রতিকিৃয়া ব্যাক্ত করা ।প্রতিকিৃয়া ব্যাক্ত বা মানব বন্দন মতো প্রচার ধর্মী কাজেও আজকাল আর তেমন প্রচার পাওয়া যায় না।কমিউনিষ্টদের আজ সিদ্ধান্ত নেবার প্রশ্ন আছে যে সে নিজে ঘটনা ঘটাবে না অন্যের ঘটানো ঘটনায় সে শুধু প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেই চলবে । ফলে বামপন্থিদের উচিৎ কি র্কমসুচী বা কোন ইসুর ঐক্যেও র্দীঘমেয়াদী কাজ করার চেষ্টা করা । তেমন চেষ্টা নিয়েও আগানোর ক্ষেত্রে কিন্তু মতভিন্নতার হোচট খেতে হয়েছে। তেল গ্যাস বিদ্যুত বন্দর রক্ষা কমিটিতে কাজের আমাদের র্দীঘ অভিজ্ঞতা আছে । আমরা সেখানে নিজেরা সরকারী বাম এবং দরকারী বাম এর ডির্মাকেশন করতে পারিনি । সৌভাগ্য ,পরে সরকারী বামেরাই নিজেদের ডির্মাকেট করে আমাদের বাচিয়েছে। আমরা একটা জিনিষ ভেবে দেখতে হবে যেমন করে জাতিয়তাবাদীরা সংগঠন, আন্দোলন, র্নিবাচন করে তেমন করে কমিউনিষ্টরা সংগঠন আন্দোলন নির্বাচন করতে চাইলে হবে কেন ? জাতিয়তাবাদীদের সমস্ত কাজের মূল ভিত্তি হলো পুজি। তারা যখন হেলিকপ্টারে সুনামগঞ্জ গিয়ে নামে তার পুর্বেই এক কোটি টাকা সুনামগঞ্জে নামে। ফলে ,পোষ্টার, লিফলেট ,গেইট মাইকে একটা সাজ সাজ রব পড়ে যায়। নেত্রি কে একনজর দেখার জন্য লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটে যায় ।নেএী এলেন, দেখলেন, হাত নাড়লেন, জয় করলেন , ফিরে গেলেন। বাম দলের কোন নেতা কি এভাবে পারবেন ? কোটি টাকা খরচ ও জয় করতে ? না যদি পারেন তবে তাদের আলাদা ধরনে কাজ করতে হবে ? তারা হাওড়ে তিন মাস/ছয় মাস মাটি কামড়ে পড়ে থেকে মিডিয়া থেকে হারিয়ে গিয়ে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে । বামপন্থিদের রাজনৈতিক ঐক্য যদি আজ আমরা নাও করতে পারি তবুও বেশী ক্ষতি নেই ।প্রত্যেকে ঝেড়ে কেসে খোলাসা করতে হবে কেন পারছি না ? কোন কোন মতের মত পার্থক্যের জন্য হচ্ছে না তা খোলাশা করে বলতে হবে । রাজনৈতিক ঐক্যে সমস্যা হলেও ট্রেড ইউনিযনে কেন ঐক্য হচ্ছে না । হাওড়ের বন্যা থেকে হাওড় বাচানোর সংগ্রামে কেন কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠনের ঐক্য হচ্ছে না । একেবারে হচ্ছে না তা নয় হচ্ছে তবে এক্ষেত্রে দরকারী বামের চেয়ে সরকারী বামের সাথে তড়িৎ ঐক্য হয়ে যাচ্ছে । আন্দোলনের হাতিয়ার হিসাবে যে সব ক্ষেত্রে ঐক্য করে আন্দোলনের ইনষ্টিটিউশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখা যায় সেসব ক্ষেত্রে যদি উদাসিন থেকে শুধু রাজনৈতিক ঐক্য চাই এবং তা রাজনীতি বাদ দিয়ে চাই তবে সদিচ্ছা কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হয় । তার পড়েও কখনো রাজনৈতিক ঐক্যের ক্ষেত্রেও কি ধরনের র্নিবাচন ব্যাবস্থা বামেরা চায় তার কোন রুপরেখা, কি করে র্নিবাচনে কালো টাকার দৌরাত্ব দুর করা যায় এসবের কোন অভিন্ন কর্মসুচী নেবার চেষ্টা বামদলগুলির আলোচনার টেবিলে আসেনি । অথচ ঐক্য চাই ঐক্য চাই আওয়াজটা চলছে ।আমাদের মনে রাখা দরকার ঐক্যর জন্যও একটা রাজনীতি লাগবে ,আমাদের এমন রাজনীতি জানা নেই যা একযোগে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়কে তুষ্ট করে। ফলে আমরা সরকারী বাম ও দরকারী বামের ঐক্য বুঝি না আবার শ্রমিক ও ধনিক(লিবারেল) শ্রেনীর ঐক্যও বুঝি না ।এতে যদি কোন মধ্যবৃত্ত ঐক্য আকাংখা আহত হয় আমাদের কি করার থাকে ? ।তবে আমরা অবশ্যই সরকারী নয় এমন সব বামপন্থি দলের র্দীঘমেয়াদী আন্দোলনের ঐক্য চাই ই চাই।
জীবনের সবচেয়ে কঠিন এক সময় আমরা আজ পার করছি তা আপনারা সবাই জানেন ।একবিংশ শতাব্দীর এই প্রান্তিকে এসে আমরা নুতন যা দেখতে পেয়ে ভড়কে যাচ্ছি তা মার্কসবাদের অথরিটিরা, মার্কস লেনিনরা দেখেননি। তারা দেখেননি,সরকারই বিরোধী দল গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করছে ।আমরা দেখছি।গৃহপালিত বিরোধীদল শব্দটার সাথে আমরা পরিচিত হলাম ।এমন ধারনা আগের পৃথিবীতে বিরল ।আবার বিরোধী দলেরা সরকারেও থাকতে চান মন্ত্রিও থাকতে চান আবার একই যোগে বিরোধী দলও করতে চান।এ শুধু এরশাদের প্রধানমন্ত্রির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়া নয়,গতচারদিন আগেও প্রধানমন্ত্রি ইনু-মেননদের পদত্যাগ করে তার সমালোচনা করতে বলেছেন ।ইনু-মেননরাও সরকার ও বিরোধীদল দুটোই একযোগে করতে চান ।বামেদের মধ্যেও এমন এমন অদ্ভুত চিন্তার দল আছে যারা একই সাথে বামপন্থি ও ডানপন্থি দুইই হতে চান। একইসাথে নাস্তিকও ধার্মিক দুইই হতে চান। যখন যা কাজে লাগে তাই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চান। এমন ঘোর অন্ধকারে যেখানে পরস্পরের মুখ দেখতে পাওয়া খুব কঠিন সেখানে পথের সাথী খুজে পেয়ে তার সাথে ঐক্য করার যর্থাথ কঠিন কাজটাই আমরা করতে চাইছি।
আমার ধারনা ঐক্য সুদৃঢ় হয় সমালোচনায়, পরস্পরকে বোঝাও যায় সমালোচনায় ।আমরা তা শুরু করলাম অভিজ্ঞতার দুর্বলতায়, ভাষাজ্ঞানের র্দুলতায় কেউ ব্যাক্তিগতভাবে আক্রান্ত বোধ করলে বিনীতভাবে বলতে চাই কাউকে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমন করা আমার লক্ষ্য ছিল না ।কাদা ছোড়াছোড়ি থেকে সমালোচনাকে আলাদা করার একটা চেষ্টা সবসময় আমাদের দিক থেকে থাকবে। তবে কথা চলছে । চলবে
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭
বাম ঐক্যের সমস্যা-১

Tags
Artikel Terkait
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon