যারা সুযোগ পেলেই ইন্ডিয়াকে রেন্ডিয়া বলেন তাদের জানা দরকার ২রা আগষ্ট ১৯৭১ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এই ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। ইন্দিরা গান্ধী তার বক্তব্যে বলেন, "মুক্তিযোদ্ধা ভাইলোঁগ, আপ লোঁগকে তাকলীফ হাম দেক রাহে। খানেকা বর্তন নেহি হ্যায়, রাত কো শোনেকে লিয়ে সাফিশিয়েন্ট কম্বল -তাকিয়া নেহি হ্যায়। লেকিন ক্যায়া করু? হামারি মজবুরি বহুতই হ্যায়"।।
এই বক্তব্যের সাথে সাথে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা সমস্বরে চীৎকার দিয়ে উঠলো .......
"না, না ম্যাডাম -- আমরা ভাত -খাবার -বর্তন চাইনা, আরামে ঘুমুতে চাইনা, আমরা শুধু অস্র চাই। আপনি শুধু আমাদের অস্র দিন, আর একটু আধুনিক উন্নত ট্রেনিং চাই। "
--উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের চোখেমুখে তখন প্রতিশোধের আগুন। প্রত্যেকের চোখেমুখে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ঠিঁকরে বের হয়ে আসছিলো।
শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধী আশ্বাস দিলেন ......
"বাংলাদেশকে লিয়ে ভারত সরকারকি জ্যায়সা সিমপ্যাথি হ্যায়, উতনাহি হ্যায় ভারত জনগনকি। ম্যায়নে ওয়াদা কারতি হু, আপ লোগোকা হার তারেকা মদদ করনেকা কোশিশ ম্যায় করুঙ্গী। "
--সাথে সাথে গগনবিদারী শ্লোগান উঠলো, "জয়_বাংলা"।
-- হ্যা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছিলেন। অত্যন্ত শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে।
স্মরন করি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রানের প্রিয় বাংলাদেশ।
স্মরন করি সেই অমর কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন-
তারেক রহমান একজন জীবন্ত উন্মাদ।
তাকে অর্ধ উন্মাদ বললেও সম্মান করা হবে।
এই উন্মাদ অবস্থাতেই তার শেষ পরিণতি ঘটবে।
লন্ডনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তারেক রহমানের কটূক্তি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তারেক রহমান বীরত্বের সঙ্গে দেশে চেহারা দেখাতে পারেন না। জামায়াতের লোক নিয়ে তিনি লাখ পাউন্ড খরচ করে বিদেশে সভা করেন। আর পালিয়ে বেড়ান। তাঁকে চিৎকার করতে দিন। তাঁর চিৎকারে বঙ্গবন্ধুর কিছু হবে না। একদিন জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখি—তিনি তারেককে বেল্ট খুলে প্রহার করছেন। রক্তাক্ত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়াও। শাহীন কলেজে এক মেয়েকে টিজ করার কারণে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘‘জয় পাকিস্তান’’ বলেছিলেন বলে এ কে খন্দকারের প্রকাশিত বইয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের
গণপরিষদের সদস্যপদের শপথ নেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছিলেন। তবে ৭ মার্চের ভাষণে নয়।
এমনকি ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেখানে ‘‘পাকিস্তান’’ শব্দটি ব্যবহারের দরকার ছিল, সেখানে ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’’ অথবা ‘‘বাংলাদেশ’’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। এ কে খন্দকারকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। যারা করেছে, তারা জামায়াতে ইসলামীর কেউ না। তারা আমাদেরই লোক। তারা নানা সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব কথা বলে। তাদের প্যাথলজিক্যাল হেট্রেট আছে, বঙ্গবন্ধুর ওপর, আওয়ামী লীগের ওপর । ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর নিজ গুণে আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুইবার স্বাধীন করেছেন। একবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে। আরেকবার ভারতের সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যেতে বলে।
এটা আরেকটা স্বাধীনতার সমান।
জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে যা-ই করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু দেশে না এলে ইন্ডিয়ান আর্মিদের তাড়াতে পারত না।
সে নিজেই বিদেশে পালিয়ে যেতো ।
(তথ্য সূত্র --"স্বাধীনতা আমার রক্ত ঝরা দিন, বেগম মুশতারী শফি)
EmoticonEmoticon