সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

বিশ্বজিতের রায় !!

আমরা দেখলাম বহুল আলোচিত, নিষ্ঠুর হত্যাখাণ্ড, নিরপরাধ বিশ্বজিৎ দাশের বিচারের নামে প্রহসন নাটকের! আইন বিচার ব্যবস্থা কিভাবে ক্রীড়নক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, সুবিধাবাদী বিচারকরা কিভাবে নীতিহীন হন তার প্রমাণ বিশ্বজিতের এই আপিল বিভাগেরর রায়। নিম্ন আদালত যেখানে আটজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সেখানে উচ্চ আদালত আটজনের মধ্যে পলাতক দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে, দুইজনকে খালাস করে দিয়ে বাকি চারজনের যাবজ্জীবন। মানে কেউই শাস্তি পায়নি। কারণ যে দুইজন পলাতক এরা বিদেশ পালিয়ে গেছে। কোনদিন দেশে না গেলে বা ধরা না খেলে শাস্তি পাবে না। যাবজ্জীবন চারজনের কোন এক সুযোগে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি দিয়ে দেওয়া হবে। কারণ কিছুদিন আগে ১৫৬ জন টেররকে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এরা পাবে কারণ এরাও যে সোনার ছাত্রলীগার!

কিছুদিন আগে যখন উচ্চ আদালত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছিল তখন দেখলাম চারিদিকে কত লেখালেখি আমাদের বিচার বিভাগ কত স্বাধীন! তাহলে আজ কেন সেই বিচার বিভাগ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এই রায়কে উলটে দিল? এর পিছনে অবশ্যই ক্ষমতার কলকাঠি আছে এবং আসামীরা ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা যে। বিশ্বজিৎ একজন নিরীহ শ্রমিক যিনি টেইলারীর কাজ করতেন। কিন্তু এই চাপাতিলীগের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হলেন তিনি।

কেউ কেউ বিশ্বজিতের হিন্দু পরিচয়কে বড় করে দেখছেন যে মুসলমান প্রধান দেশে হিন্দুর উপর এই বিচার হয়েছে। আমি বলতে চাই এভাবে মনে করলে আসল আপরাধী ক্ষমতাশীল লীগের কুকৃর্তি ঢেকে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করা হয় সত্য। কিন্তু এখানে বিচারের রায়ে যে সত্য ফুঁটে উঠেছে তা হল বিশ্বজিৎ একজন ক্ষমতাহীন নিরীহ শ্রমিক আর তার বিপরীতে বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় অসীন আওয়ামীলীগ এবং তাদের সহযোগী ছাত্রলীগের অপকর্ম কে রক্ষা করার জন্য প্রহসনের বিচার। এই ধরণের বিচার বাংলাদেশের আইনের শাসন কে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে আবারো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। আমি শত শত বিশ্বজিতের পক্ষে আমার অবস্থান ব্যক্ত করছি এবং এই লুটেরা দখলদার খুনিদের বিরুদ্ধে অব্যাহত কলম যুদ্ধের ঘোষণা করলাম।


EmoticonEmoticon