যা সহজে পাওয়া যা তা গ্রহণ করা ঠিক নয়। সেটা ফাঁদ হতে পারে। কথাটা টাকা পয়সা ধার করার ক্ষেত্রে
খুবই সত্য। ব্যাঙ্ক থাকতেও কথায় কথায় কাবুলিওলা, প্রাইভেট লেণ্ডার, হাওয়ালা অপারেটরের কাছে যায় বাঙালি, লোভী বাঙালি। মেয়ের বিয়ের জন্য কাবুলির থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার করেছিল এক বাঙালি বাবু। সুদই দিতে পারে না তো আসল কিভাবে দেবে? শেষে আত্মহত্যা করে বাঁচল নির্বোধ লোকটা। এটা গল্প, তবে জীবনের গল্প। বাঙালি কেরানী জাতি ফুটানি করতে ওস্তাদ, ধার করতে লজ্জা নেই তার। বাপ মা শিক্ষা দেয় নি সঞ্চয় করতে, আয়ের কিছুটা ক্যাপিটালাইজ করতে। ব্যবসা করতে গিয়ে, অর্ডার সাপ্লাই করতে গিয়ে এমন সব লোকের থেকে অত্যন্ত চড়া হারে টাকা নেয় ছেলেরা। ভাবে না লাভের চেয়ে দায় বেশি হয়ে গেলে কি হবে। ব্যাঙ্ক কিছু শর্তে ঋণ দেয়। শর্ত মানব না কেন? সরকারি ব্যবস্থায় যা আছে তা অবশ্যই ভাল। আমার ছেলেকে এমন ঋণের ফাঁদ থেকে বাঁচিয়েছি। সকল বাপ মা তো তা পারবেন না। তৃণমূল দলের লোকেরা প্রকাশ্যে চাকরি বিক্রি করছে। দালালে ভরে গেছে গ্রাম গঞ্জ। সহজ, নিশ্চিত পথে পেতে ঘুষ দিয়ে, জমি বেচে নি:স্ব হয়ে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। সেগুলো খবর হয় না। গণতন্ত্রে ঘেন্না ধরে গেল। জাতীয়তাবাদী দলটাকে এ জন্যই চাই।
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭
গণতন্ত্রে ঘেন্না ধরে গেল !

Tags
Artikel Terkait
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon