মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

রামপাল নিয়ে সরকারের নির্লজ্জ মিথ্যাচার !

রামপাল নিয়ে সরকারের নির্লজ্জ মিথ্যাচার আবার ও প্রমাণ হয়েছে। সুন্দরবন বিষয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনেস্কো কোন অনুমোদন দেয় নাই। শুধু সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছে ওরিয়েন্ট পাওয়ার প্লান্ট না করা বা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। নিচে সুন্দরবন নিয়ে ইউনোস্কোর বক্তব্য উল্লেখ করলাম। লেখাটি সিপিবি নেতা রোহিন্স হোসেন প্রিন্স এর টাইমলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি।
"ইউনেস্কো কি বলছে ;
১) অরিয়ন পাওয়ার প্ল্যান্ট ও রামপাল বিদ্যুৎ প্লান্টের দ্বিতীয় পর্যায় অনুমোদন না করার, এবং সুনন্দরবনসহ, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জন্য একটি কৌশলগত পরিবেশগত মূল্যায়ন (এসইএ) চালানোর জন্য রাষ্ট্রীয় (বাংলা‌দেশ) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় । এবং রাষ্ট্র‌কে এ‌টি নি‌শ্চিত কর‌তে অনুরোধ জানায় যে এসইএ  সম্পন্ন করার আ‌গে কোন বৃহৎ প‌রিস‌রে শিল্প এবং / বা অবকাঠামো উন্নয়ন (রামপাল বিদ্যুৎ প্লান্ট সহ) কাজ চা‌লি‌য়ে যাওয়ার অনুমতি পাবে না এবং ঐ এসইএ  রি‌পো‌র্টের একটি কপি বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রে আইইউ‌সিএন কতৃক অপারেশনাল নির্দেশিকা অনুচ্ছেদ ১৭২ অনুযায়ী পর্যালোচনা করার জন্য জমা দিতে হবে।  যত তাড়াতাড়ি এটি পাওয়া যায়; " (পৃষ্ঠা ৫৬);
" ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ২০১৮ সালে তার ৪২ তম সেশনে পরীক্ষার জন্য সম্পত্তি ( সুন্দরবন)সংরক্ষণ এবং উপরে উ‌ল্লি‌খিত প্রস্তাবনাসমূ‌হের বাস্তবায়ন সম্পর্কে একটি হালনাগাদ প্র‌তি‌বেদন ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে জমা দিতে হবে। উপ‌রোক্ত প্রস্তাবনার  উ‌ল্লেখ‌যোগ্য অগ্রগ‌তির  অনুপস্থিতিতে বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকা় ‌থে‌কে বাদ দেয়ার সম্ভাব্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। " (পৃষ্ঠা ৫৮)।
http://whc.unesco.org/archive/2017/whc17-41com-7B-en.pdf
"Welcomes the State Party’s decision not to approve the Orion power plant and Phase II of the Rampal power plant, and to carry out a Strategic Environmental Assessment (SEA) for the South-West region of Bangladesh, including the property, and requests the State Party to ensure that any large-scale industrial and/or infrastructure developments (including the Rampal power plant) will not be allowed to proceed before the SEA has been completed, and to submit a copy of the SEA to the World Heritage Centre for review by IUCN, in accordance with Paragraph 172 of the Operational Guidelines, as soon as it is available;" (পৃষ্ঠা ৫৬);
"Finally requests the State Party to submit to the World Heritage Centre, by 1 February 2018, an updated report on the state of conservation of the property and the implementation of the above, for examination by the World Heritage Committee at its 42nd session in 2018, with a view to considering, in the absence of substantial progress in the implementation of the above-mentioned recommendations, the possible inscription of the property on the List of World Heritage in Danger." (পৃষ্ঠা ৫৮)।"
ইউনেস্কোর কোথাও উল্লেখ নাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে বলেছে। আমার মনে হয় সরকারের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোকে জানানো হয়েছে তারা সুন্দরবনের পরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতন। এ বিষয়ে তাদের উদ্দ্যোগের কথা হয়তো বলেছে। সেই অনুসারে ইউনেস্কো বলছে ২০১৮ সালের মধ্যে চূড়ান্ত রির্পোট প্রদান করার জন্য। সেই অনুসারে বিশ্ব ঐতিহ্য থাকবে কিনা স্বিদ্ধান্ত নিবে তারা। এখন বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদীদের মিথ্যাচারের জবাব দিন?


EmoticonEmoticon