শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে বাঙ্গালীদের সঠিক সিদ্ধান্তে আসা উচিত।রাধিকার প্রতি তার প্রেমটা সভ্যতার পরিপন্থি।গরুর প্রতি তার ভক্তি আত্মমর্যাদার পরিপন্থি।অনেকেই ভাবতে পারেন মুসলিম হয়ে হিন্দুদের অবতার নিয়ে লিখছি কেন?
কারন হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ হিন্দুদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেন নি।মুসলিমদের বাউল সম্প্রদায়ের কাছেও তিনি একজন অবতার।কবর পুজারীদের কাছে তিনি একজন মহাপুরুষ।ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমদের কাছে তিনি অহিংসার প্রতিক।গরু প্রেমিক, হিন্দু প্রেমিক ও নাস্তিকপ্রেমিক মুসলিমদের কাছে তিনি গুরুদেব।জাফর ইকবাল স্যার ত কৃষ্ণপ্রেমে গদগদ হয়ে লিখেই ফেললেন, যারা গরুর মাংস খায় তারা নিম্ন প্রজাতির প্রাণী।পতিতালয়ের মহিলাদের কাছে তিনি একজন ব্রহ্মসাধক।নাস্তিকদের কাছে তিনি একজন স্বাধীনচেতা,মুক্তমনা উন্নত রুচির অধিকারী।বিদআতি হুজুরদের কাছে তিনি একজন লুচ্চা।
আমার কথা হলো শুধু রাধিকার সাথে অবৈধ যৌনাচার আর গরুভক্তিই কৃষ্ণের শেষ পরিণতি নয়।তাকে জানার জন্য পড়তে হবে গীতা।পড়তে হবে মহাভারত।মহাভারতে রয়েছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ঘটনা।সেই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী করার ক্ষেত্রে কৃষ্ণের ভূমিকাই বেশী।
আর গীতা হচ্ছে অর্জুনকে যুদ্ধে লিপ্ত রাখতে কৃষ্ণের উপদেশমালা।কেবলই রক্ত আর রক্ত।তবে গীতার মধ্যে খুজে পেলাম মনছুর হাল্লাজের হুলুল।ইবনে আরাবির ওয়াহদাতুল ওযুদ।শ্রীকৃষ্ণের আদর্শই বাস্তবায়ন করে গেলেন গিরিশ চন্দ্র সেন।তাইতো বাংলাদেশের ৯০% মুসলিমের বিশ্বাস "আল্লাহ নিরাকার ও সবকিছুতেই বিরাজমান।"চলে যাচ্ছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।জানতেই পারছে না যে মুসলিম হয়েও তারা লালন করছেন শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ।নিকট ভবিষ্যতে জানতে পারবে বলেও মনে হয় না।বাঙ্গালী মুসলিমরা আজও শ্রীকৃষ্ণের বাঁশী সুরে বিমোহিত।দেওয়ানবাগী হুজুরের আত্মার বাণী,চরমোনাই হুজুরের ভেদে মারেফত ইয়াদে খোদা ও আশেক মাশুক কিতাব পড়লে মনে হয় রামায়ন-মহাভারত পড়ছি।কতটুকু বেহায়া আর নির্লজ্জ হলে আল্লামা শফি ও নুরুল ইসলাম ওলিপুরীরা শ্রীকৃষ্ণের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে পারে "আল্লাহ সবখানেই বিরাজমান"?কতবড় ধর্মব্যবসায়ী হলে শ্রীকৃষ্ণের ভাবশিষ্য মনছুর হেল্লাজের মতো নিকৃষ্ট কাফেরকে আল্লাহর অলী বলে ঘোষনা দেয়??
রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭
শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে...

Tags
Artikel Terkait
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon