গ্রামদেশে যারা বসবাস করেন, বিষয়টি তাদের অজানা নয়, আমাদের দেশের অনেক জায়গায় মুরগি দিয়ে হাসের বাচ্চা ফুঁটানো হয়। মুরগি হাসের ডিমে তা দেয়, ডিম ফুঁটে বাচ্চা হয়, মুরগি তা নিজের বাচ্চা মনে করে প্রতিপালন করে, হাসের বাচ্চারাও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মুরগিকে তাদের মা মনে করে। মুরগি হাসের বাচ্চাগুলোকে খাবার খাওয়ায়, বাচ্চাগুলো তার পিছনে পিছনে ঘুরে, বলা ভালো, মুরগিটা হাসের বাচ্চাগুলোর পিছনে পিছনে ঘুরে, বাচ্চাগুলো যেখানে যায় মুরগিটাও সেখানে যায়। হাসের ধর্ম অনুসারে বাচ্চাগুলো যখন বৃষ্টির পানিতে ভিজে খেলা করে, মুরগিও তার স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করে বাচ্চাগুলোর সাথে ভিজতে থাকে, বাচ্চাগুলোকে নিরাপত্তা দেবার তাগিদে। এরপর যখন বাচ্চাগুলো পূর্ণ হাসে পরিণত হয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তখন কে মা আর কে ছা তার খবর থাকেনা। কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার খবরটাও কারো অজানা নয়। তবু যদি আওয়ামীলীগ দেশদ্রোহী জামায়াতের ছানা-পোনাকে দলে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেবার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। ওকা কাগু আর হাসিনা বুর মনে রাখা দরকার, গোবরে পদ্ম ফুল ফুঁটলে তাতে গোবরের ঘ্রাণই বেরুবে। আর ঝাড়ের বাঁশগুলো সাধারণত একই জাতের হয়, তফাত শুধু, কোনটা একটু বেশি বাঁকাচোরা আর কোনটি লম্বা! মনে রাখা ভালো, জামায়াতের ছানা-পোনারা বাইরে যতই আওয়ামীলীগ প্রীতি দেখাক না কেন, রক্ত তাদের জামায়াতের/দেশদ্রোহীদের, অন্তরে তাদের পাকিস্তান প্রেম। যা জাতি এবং আওয়ামীলীগ কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়।
শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon