বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

পশুবলি সেই প্রাগতৈহাসিক কাল থেকেই ছিল ।

পশুবলি সেই প্রাগতৈহাসিক কাল থেকেই ছিল। সভ্যতা পূর্ব সময়ে মানুষ জীবন ধারণের তাগিদে পশু শিকার করতো। এরপর যখন তারা সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করল/সমাজের পত্তন ঘটালো, তখন থেকেই মূলত ধর্মীয় ধারণার উত্‍পত্তি। এর আগে মানুষ শিকারের জন্য/ক্ষিদে মেটাতে পশু শিকার করলেও তখন থেকে কল্পিত দেব দেবী এবং প্রাকৃতিক বস্তুসমূহকে সন্তুষ্ট করতে পশু বলি করতে শুরু করল। কাপালিক জাতির কথা কে না শুনেছে! পৃথিবীতে কাপালিক জাতির মতো বহু জাতি বা ধর্ম ছিল যারা পশুর বদলে মানুষ বলি দিতো! বর্তমানে নরখাদকদের অস্তিত্ব মোটামুটি লুপ্ত হলেও মাঝে মধ্যে দুয়েকজন বিকৃত মস্তিস্ক নরখাদকদের কথা পত্রিকার পাতায় উঠে আসে। এখন কোরবানীর মৌসুম চলছে, মোটা/তাজা/দামী/সস্তা উট/ভেড়া/গরু/ছাগল/দুম্বা কেনার ধুম চলছে মুসলমান সমাজে। বলা ভালো, কোরবানী আর পশু বলি দুটোই কিন্তু মোটামুটি এক, আর তাদের উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ/দেবীকে উত্‍সর্গ করা! পার্থক্য শুধু একটাকে গলা কেটে জবাই করা হয়, আরেকটাকে খাঁড়ায় মাথা রেখে ঘাড় থেকে গর্দাণ আলাদা করে ফেলা হয়। রক্তপাত এবং নৃশংসতার ক্ষেত্রে দুটোর মধ্যে কোন তফাত নেই। সুতরাং কোরবানী ভালো না বলি ভালো প্রশ্ন তোলা মূর্খতা। কোরবানীর সময় এলেই একশ্রেণীর হিন্দু যারা ফেসবুকে মানবতাবাদী সেজে ঘাঁপটি মেরে বসে আছে তারা মাতম শুরু করে, তাদের মৌসুমী পশু প্রেম চেঁগিয়ে উঠে। কিন্তু বলির সময় তারা কুলুপঁ এঁটে থাকে যেন কিছুই হয়নি। আবার কোরবানীকে সাপোর্টকারীরা বলির সময় হৈ চৈ করে। এই দুই গোত্রের প্রাণী হতে সাবধান! এরা ভন্ড কাপুরুষ। প্রত্যেকে উপরে নাস্তিকতা দেখালেও ভেতরে ধর্মের দাসত্ব লালন করে। আমি বলি/কোরবানী দুটোরই বিরোধী। পশু/প্রাণী যেহেতু মানুষের খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পরে, সুতরাং খাদ্যের জন্য পশু হত্যা চলতেই পারে। কিন্তু ধর্মীয় কারনে কোন কল্পিত দেবী/স্রষ্টাকে  সন্তুষ্ট করার কল্পে পাইকারী হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।


EmoticonEmoticon