মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একটি মাদ্রাসা কমিটি...

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একটি মাদ্রাসা কমিটি গঠিত হওয়ার ছবি ফেসবুকে দেখলাম। পাঞ্জাবি পরা টুপি মাথায় কয়েকটি ছেলে শপত করার মত হাত উঠিয়ে শপত করছে। এটাকে কেউ কেউ নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। দারিদ্র পীরিত গরীব ঘরের সন্তানরা সাধারণ মাদ্রাসায় পড়তে যায়। নানাবিধ কারণের মধ্যে ঐসব ছেলেদের মা-বাবার খেয়াল থাকে সন্তান ধর্মের পরহেজগার হলে নিজেদের বেহেস্তের রাস্তা পরিস্কার হবে। যদিও মিথ হলেও অল্প শিক্ষিত খেটেখাওয়া মানুষ এমন মনে করে।

এদেশের বামপন্তী বা কমিউনিস্ট চিন্তাধারার লোকদের মাদ্রাসা নিয়ে হেজিট্রেড আছে। ফলে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আড়ালে থেকে যায় এবং সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন শক্তি সঞ্চয় করে। এই দায় কখনই এই দরিদ্র ঘরের শিশুদের নয়; একটি সিস্টেম তাঁদের এই অবস্থায় রেখেছে। এজন্য সেখানে ঢুকতে হবে ভিতরে আঘাত করতে হবে। একদিনে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ বা সংস্কার করা যাবে না। কিন্তু যারা সেখানে পড়তে যায় তাঁদেরকে যদি নিজেদের অধিকার এবং শিক্ষার ইহজাগতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যায় পরিবর্তন সম্ভব। শুধু মাদ্রাসা দেখে নাক না সিটকিয়ে তাঁদেরকে অধিকার সচেতন করতে হবে। আর আজকের দিনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আর মাদ্রাসার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই বোধয়। তাহলে মাদ্রাসার ছেলেদের প্রতি হীনমন্যতা থাকবে কেন? ছাত্রফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানাই মাদ্রাসার ভিতরে এই আঘাত করার জন্য।


EmoticonEmoticon