শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিশ্ব-রাজনীতিতে আদর্শঃ কোথাও কিছুই নেই !

বিশ্ব-রাজনীতিতে 'আদর্শ' বলে কিছু নেই। যা আছে, তা হলো পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সহযোগিতা কিংবা প্রতিযোগিতা; আর এই সহযোগিতা কিংবা প্রতিযোগিতাকে ন্যায্য প্রতিপন্ন করার কথামালা বা রেটোরিক।

এমন মনে করার কারণ নেই যে, আদর্শবাদী বলে দাবীদার কোনো রাষ্ট্র অন্য যে-কোনো রাষ্ট্রেই সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত হলে আদর্শ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করবে। বস্তুতঃ প্রতিবাদ করা কিংবা চুপ থাকার বিষয়টি আদর্শের সাথে নয় - স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট।

আদর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব-রাজনীতির মেরুকরণ ঘটলে ডেমোক্র্যাসীর চ্যাপম্পিয়ান আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের সহায়ক বন্ধু রাষ্ট্র  হতো না। একইভাবে, সমাজতন্ত্রের যৌবন-কালে ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে চীনের, কিংবা ১৯৭৯ সালে চীনের সাথে ভিয়েতনামের যুদ্ধ হতো না।

যারা আদর্শের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিকতাবাদের কথা বলেন, তারা হয়তো মূর্খ, নয়তো দুষ্ট। আন্তর্জাতিকতাবাদ কথাটি স্বয়ং জাতির অস্তিত্ব ও স্বার্থ স্বীকৃতিপূর্বক আন্তঃসম্পর্ক নির্দেশক। জাতিস্বার্থের ঊর্ধ্বে আন্তর্জাতিকতাবাদ বলে কিছু নেই।

'আদর্শ'বাদীরা অকর্মন্য কেনো? কারণ, তারা দেশ-জাতি-রাজনীতি-পৃথিবী তথা বৈশ্বিক বাস্তবতাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে বুঝার পরিবর্তে বিশ্বাসের ভিত্তিতে বুঝতে চায় বলে বাস্তবতার ওপর ক্রিয়া করতে পারে না, বরং প্রতিক্রিয়া করতে করতেই জীবন পার করে দেয়।

১৬/০৯/২০১৭
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড


EmoticonEmoticon