মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জেগে ওঠো বহ্নিশিখা!

নারীদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর রাষ্ট্রনায়ক আছে।
বৈজ্ঞানিক আছে।
সাহিত্যিক আছে।
যোদ্ধা আছে।
ব্যবসায়ী আছে।
ভাস্কর আছে।
নভোচারী আছে।
শিল্পী আছে।
সবকিছু আছে। সব।
হাজার বছর ধরে পুরুষদের দমন নিপীড়ন অবদমন বৈষম্যের মধ্যে থেকেও পাথরের ফুলের মতো অদম্য হয়ে ওঠেছে অনেক নারী। শত কোটি প্রতিকুলতার মধ্যেও এগিয়ে এসেছে সভ্যতার মিছিলে।
যদি পুরুষ তন্ত্রের শেকল ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে পারত, তবে নিশ্চিতভাবেই নারী দেখাতে পারত আরো বহু কিছু।
এ যুগে গায়ের জোর অচল হয়ে যাচ্ছে। জানোয়ারদের মতো গায়ের জোরে কুক্ষিগত করার পৌরুষত্ব এখন ধ্বংসের শুরুতে। শিক্ষিত হয়ে ওঠছে নারীরা। ধর্মের বাঘ ধরা পড়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের জালে। পুরুষদের ইতরামির প্রধান অস্ত্র ধর্ম দ্রুত প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ছে পুরুষতন্ত্রের স্টীমরোলার।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি মিডিয়া উলঙ্গ করে দিচ্ছে সব রকমের ভন্ডামি নির্যাতন আর আধিপত্যের মুখোশ। এটা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগ। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সবক্ষেত্রে। কোনো কোনো দেশে এখনই পুরুষদের চেয়ে নারী শিক্ষিতের হার বেশি। দুএকটি দেশে নারী সাংসদদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি।
সবকিছু এভাবে চললে আগামী পঞ্চাশ থেকে পচাত্তুর বছরের মধ্যে ভেঙে পড়বে পুরুষতন্ত্র ও তার প্রধান সহযোগী ধর্ম।  দুইশত বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পৃথিবী হয়ে ওঠতে পারে নারী শাসিত।
হ্যাঁ, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা, মমতা, সমতা এবং নারীশিশুই হয়ে ওঠবে আস্থা ও কর্তৃত্বের প্রধান নিয়ামক।
নারী সব পারে। সব পারবে। করে দেখিয়েছে এবং করে দেখাবে। আমরা অপেক্ষায় একটি মানবিক সমাজের।


EmoticonEmoticon