আমার মুসলমান কলেরা হয়েছে !
আমার হিন্দু বসন্ত হয়েছে !
আমার খ্রিষ্টান জ্বর হয়েছে !
আমার ইহুদি ক্যানসার হয়েছে !
আমার বোদ্ধ জন্ডিস হয়েছে !
আমরা কী এভাবে আমাদের অসুখের কথা বলতে পারি?অথবা আমরা এভাবে ভাবতে পারি কী?
হিন্দু গাভীর দুধ !
মুসলমান মাটির ফসল !
বোদ্ধ নদীর পানি !
ইহুদী মেঘের বৃষ্টি !
খ্রিষ্টান বৃক্ষের ফল !
অথবা আপনজনের জরুরী রক্তের প্রয়োজনে কখোনো কি মিলিয়ে দেখেছি, রক্তের কোন ধর্ম?
আমি অবাক হই,যখন দেখি একমাত্র মানুষের বেলায় ধর্ম খোঁজা হয়। মানুষের বেঁচে থাকতে ধর্ম লাগেনা, লাগে খাবার। মানুষ সামাজিক জীব,ধার্মীয় জীব না। ধর্ম মানুষের কোন পরিচয় হতে পারেনা। মুসলিম রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী হিন্দু,রেডইন্ডিয়ান আমেরিকান, ভারতীয় মুসলমান, ইয়েমেনীয় হুতি,আরবীয় শিয়া এসব পরিচয়ে সংখ্যালঘুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা এক ধরনের মুর্খামি।
পৃথিবীর নানান প্রান্তে সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত। এটা বর্তমান সমাজ তথা পুঁজিবাদী সমাজের সীমাবদ্ধতা। সংখ্যালঘু নির্যাতন হওয়া এই সমাজে স্বাভাবিক ঘটনা এটা অনিবার্য। ইতিহাস সাক্ষী রুশ সমাজতন্ত্রে ১৫৭ টি জাতি উপজাতি ছিলো।সেখানে জাতিগত নিপীড়ন ছিলো না।আমরা মানুষের মুক্তি চাই,শারীরিক, মানসিক এবং আদ্ধ্যাতিক সব ভাবেই মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।মানুষ তার মনুষ্যেতর পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকুক।এই আমার বাসনা।
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
আমার বাসনা ।

Tags
Artikel Terkait
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
EmoticonEmoticon