, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালথা থানা ও সালথা উপজেলা'র সর্বস্তরের সুধীজন,
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা । রাজনৈতিক মতাদর্শ বা হিংসা-প্রতিহিংসা'র ঊর্ধ্বে থেকে সকলের বিবেচনার জন্য নিবেদন করছি------------
এক. গত ২৪'শে অক্টোবর-২০১৭ খ্রীঃ তারিখ সকাল আনুমানিক আটটা'র সময় বল্লভদী ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক রহমান সর্দারের অ-স্বাভাবিক মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার একটি পক্ষ হাতে একটি লাশ পাবার আনন্দে আত্মহারা হ'য়ে ওঠে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ফন্দী-ফিকির শুরু হয় ! লাশ ব্যবসায়ী ধান্দাবাজদের মুখে চুন-কালী লেপন ক'রে রহমান সর্দার না ম'রে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুস্থ্য হ'য়ে উঠে জানায়----------
"পাশের বাড়ীর একজন আমাকে রাতের বেলা ঘর থেকে ডেকে বাগানে নিয়ে যায় এবং অন্য আরেকজনের সহযোগীতায় আমাকে এলোপাথাড়ী আঘাত করে আর আমি বেহুঁশ হ'য়ে পড়ি.........।"
আর রহমানের পাড়া বা গ্রামের সমস্ত মানুষের বক্তব্য হলো-----------
"নিঃসন্তান ভবঘুরে মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তানহীন বেকার এবং অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক অ-স্বচ্ছল রহমান রাতের বেলা অন্যের কলা কঁচু, সুপারী, ক্ষেতের শব্জী ইত্যাদী চুরি ক'রে জিবীকা নির্বাহ করে। ঘটনার রাতে কলা আর সুপারী চুরি ক'রে ফেরার সময় অন্ধকারে ধাক্কা খেয়ে দুর্বল শরীর নিয়ে উপুড় হ'য়ে পড়ে যাবার কারণে তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়..........।"
এই বক্তব্যের স্বপক্ষে স্থানীয়রা রহমানের পার্শ্বে পড়ে থাকা কলা আর সুপারি'র থোকার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কোন্ বর্ণনা সঠিক সেটা জানিনা, তবে ঘটনা'র ৪/৫ দিন পরে সালথা থানায় মোট ষোল জনকে অভিযুক্ত ক'রে পেনাল কোডের ৩২৫/৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি হত্যা-চেষ্টা মামলা FIR হয় যার অভিযোগে রহমানের ভাই সোলাইমান সর্দার বর্ণনা করেন---------
"বেলায়েত মৃধা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা' দিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ তাহার মাথায় লাগিয়া গুরুতর হাড়-কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। রিপন মোল্যা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বাঁশের লাঠি দিয়া আঘাত করিলে রহমান তাহার ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত বাড়ি রহমানের হাতের কব্জীতে লাগিয়া হাত ভাঙিয়া যায়। মোশারেফ মৃধা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া হাতে থাকা রামদা' দিয়া কোপ মারিলে রহমান বাম হাত দিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করিলে রহমানের বাম হাতের আঙুল কাটিয়া যায়.....।" ইত্যাদী ইত্যাদী ।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো----------
শুধু মাত্র নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ ছাড়া মামলা'র ভিকটিম রহমান সর্দারের শরীরে একটি সামান্য পিঁপড়া'র কামড়ের আঁচড় পর্যন্ত নাই এবং এ সত্যতার স্বাক্ষ্য ভিকটিম রহমানের শরীর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । তারপরও মামলা'র ধারা ৩২৫, ৩২৬ এবং ৩০৭ !!!
ওসি সাহেবের চোখ তারপরও লাল ।
এখানেই শেষ নয়। পরিকল্পণা চলছে রহমানকে হত্যা বা গুম ক'রে মামলায় অভিযুক্ত স্থানীয় প্রতিপক্ষকে হত্যা বা গুমের মামলায় ফাঁসানো হবে এবং এ কাজে থানা কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতা'রও সমর্থণ আছে (মামলাবাজদের ভাষ্য মতে) !!
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা । রাজনৈতিক মতাদর্শ বা হিংসা-প্রতিহিংসা'র ঊর্ধ্বে থেকে সকলের বিবেচনার জন্য নিবেদন করছি------------
এক. গত ২৪'শে অক্টোবর-২০১৭ খ্রীঃ তারিখ সকাল আনুমানিক আটটা'র সময় বল্লভদী ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক রহমান সর্দারের অ-স্বাভাবিক মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার একটি পক্ষ হাতে একটি লাশ পাবার আনন্দে আত্মহারা হ'য়ে ওঠে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ফন্দী-ফিকির শুরু হয় ! লাশ ব্যবসায়ী ধান্দাবাজদের মুখে চুন-কালী লেপন ক'রে রহমান সর্দার না ম'রে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুস্থ্য হ'য়ে উঠে জানায়----------
"পাশের বাড়ীর একজন আমাকে রাতের বেলা ঘর থেকে ডেকে বাগানে নিয়ে যায় এবং অন্য আরেকজনের সহযোগীতায় আমাকে এলোপাথাড়ী আঘাত করে আর আমি বেহুঁশ হ'য়ে পড়ি.........।"
আর রহমানের পাড়া বা গ্রামের সমস্ত মানুষের বক্তব্য হলো-----------
"নিঃসন্তান ভবঘুরে মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তানহীন বেকার এবং অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক অ-স্বচ্ছল রহমান রাতের বেলা অন্যের কলা কঁচু, সুপারী, ক্ষেতের শব্জী ইত্যাদী চুরি ক'রে জিবীকা নির্বাহ করে। ঘটনার রাতে কলা আর সুপারী চুরি ক'রে ফেরার সময় অন্ধকারে ধাক্কা খেয়ে দুর্বল শরীর নিয়ে উপুড় হ'য়ে পড়ে যাবার কারণে তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়..........।"
এই বক্তব্যের স্বপক্ষে স্থানীয়রা রহমানের পার্শ্বে পড়ে থাকা কলা আর সুপারি'র থোকার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কোন্ বর্ণনা সঠিক সেটা জানিনা, তবে ঘটনা'র ৪/৫ দিন পরে সালথা থানায় মোট ষোল জনকে অভিযুক্ত ক'রে পেনাল কোডের ৩২৫/৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি হত্যা-চেষ্টা মামলা FIR হয় যার অভিযোগে রহমানের ভাই সোলাইমান সর্দার বর্ণনা করেন---------
"বেলায়েত মৃধা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা' দিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ তাহার মাথায় লাগিয়া গুরুতর হাড়-কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। রিপন মোল্যা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বাঁশের লাঠি দিয়া আঘাত করিলে রহমান তাহার ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত বাড়ি রহমানের হাতের কব্জীতে লাগিয়া হাত ভাঙিয়া যায়। মোশারেফ মৃধা রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া হাতে থাকা রামদা' দিয়া কোপ মারিলে রহমান বাম হাত দিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করিলে রহমানের বাম হাতের আঙুল কাটিয়া যায়.....।" ইত্যাদী ইত্যাদী ।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো----------
শুধু মাত্র নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ ছাড়া মামলা'র ভিকটিম রহমান সর্দারের শরীরে একটি সামান্য পিঁপড়া'র কামড়ের আঁচড় পর্যন্ত নাই এবং এ সত্যতার স্বাক্ষ্য ভিকটিম রহমানের শরীর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । তারপরও মামলা'র ধারা ৩২৫, ৩২৬ এবং ৩০৭ !!!
ওসি সাহেবের চোখ তারপরও লাল ।
এখানেই শেষ নয়। পরিকল্পণা চলছে রহমানকে হত্যা বা গুম ক'রে মামলায় অভিযুক্ত স্থানীয় প্রতিপক্ষকে হত্যা বা গুমের মামলায় ফাঁসানো হবে এবং এ কাজে থানা কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতা'রও সমর্থণ আছে (মামলাবাজদের ভাষ্য মতে) !!
দুই. প্রায় বছর খানেক আগে বল্লভদী ইউনিয়নের রায় বল্লভদী গ্রামের দরিদ্র কৃষক লিয়াকত শেখ এর ছেলে সাইফুল শেখ ৫/৬ লক্ষ টাকা খরচ ক'রে বিদেশ পৌঁছানোর পরে বুঝতে পারে যে, আদম ব্যবসায়ী তাকে ধোঁকা দিয়েছে। ট্যুরিস্ট ভীসা নিয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়, ৪/৫ মাস জেল খেঁটে বাড়িতে ফিরে আসে শুন্য হাতে। মাস দুই আগে পৈত্রিক জমি বিক্রয় ক'রে বৈধ ওয়ার্ক পারমিটে বিদেশ যাবার জন্য সব কিছু ঠিকঠাক করে, ফ্লাইটের বাঁকি ১৪/১৫ দিন, এবারে সব মিলিয়ে খরচ প্রায় আট লক্ষ টাকা। কিন্তু সব স্বপ্নের মূলে পানি ঢেলে দিলো সালথা থানা প্রশাসন ! বল্লভদী বিশ্বরোড হ'তে সাইফুলকে সন্দেহমূলক অজুহাতে আটকের পর তিনদিন থানা হাজতে আটকে রেখে সাইফুলদের স্থানীয় দলকে চাপ দেয়া হয় স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর আনুগত্য স্বীকার করতে। কিন্তু সেটা না করায় চার দিনের মাথায় সাইফুলকে ৫১ পিস্ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হয় ! সাইফুলের নির্বাক আত্মীয়-স্বজন প্রতিবাদ তো দূরে থাক পুলিশের ভয়ে চোখের পানি ফেলতেও ভয় পাচ্ছেন !
তিন. গত ৩'রা নভেম্বরের ঘটনা। বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের জনৈক দাউদ মোল্যা(২৫) প্রতিবেশী হান্নু শেখ(৫৫) কে দুপুর বেলা প্রচন্ড ভাবে হাতুড়ী পেটা ক'রে আহত করে । হান্নু'র ছেলে বাড়িতে ফিরে নিজ পিতা'র শারীরিক লাঞ্ছনার কথা জানতে পেরে অপরাধী দাউদকে উদ্দেশ্য ক'রে মৌখিক বকা-ঝকা করে। অপরাধ এইটুকু।
দিন গত রাতে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় সঙ্গীয় ফোর্স ও অফিসার সহযোগে আলমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে হান্নু শেখের ছেলে নুর ইসলাম(২২) এবং হান্নু'র স্থানীয় দলনেতা সিদ্দিক মেম্বারের ছেলে লিটন(৩০) কে গ্রেফতার ক'রে থানায় নিয়ে যান। পরের দিন ওসি সাহেব সিদ্দিক মেম্বারের নিকট থেকে এই মর্মে মুচলকা গ্রহণ করেন যে, যতোদিন স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী ফরিদপুর-২ এ রাজনীতি করবেন ততোদিন তার অবাধ্য হওয়া যাবেনা ! সিদ্দিক মেম্বার স্ব-দলবলে মুচলকা দিয়ে আটককৃত দুইজনকে জামিনে মুক্ত ক'রে নিয়ে আসেন।
দিন গত রাতে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় সঙ্গীয় ফোর্স ও অফিসার সহযোগে আলমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে হান্নু শেখের ছেলে নুর ইসলাম(২২) এবং হান্নু'র স্থানীয় দলনেতা সিদ্দিক মেম্বারের ছেলে লিটন(৩০) কে গ্রেফতার ক'রে থানায় নিয়ে যান। পরের দিন ওসি সাহেব সিদ্দিক মেম্বারের নিকট থেকে এই মর্মে মুচলকা গ্রহণ করেন যে, যতোদিন স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী ফরিদপুর-২ এ রাজনীতি করবেন ততোদিন তার অবাধ্য হওয়া যাবেনা ! সিদ্দিক মেম্বার স্ব-দলবলে মুচলকা দিয়ে আটককৃত দুইজনকে জামিনে মুক্ত ক'রে নিয়ে আসেন।
চার. বল্লভদী ইউনিয়ন জেলার সীমান্তবর্তী এবং ঢাকা খুলনা মহাসড়কের লাগোয়া হওয়ায় উপজেলার অনান্য ইউনিয়নের তুলনায় এখানে অপরাধ প্রবণতা বেশী, বিশেষ ক'রে মাদক, জুয়া, চুরি । দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ইউনিয়নে কুখ্যাত কিছু ডাকাতের বসবাসও রয়েছে। মাদক ব্যবসায় এবং চুরি-ডাকাতি'র সাথে জড়িতদেরকে সাধারণ মানুষে যেমন চেনেন পুলিশও তাদের সম্পর্কে জানেন।
চরমতম হতাশার বিষয় হলো--------
স্থানীয় চিহ্নি মাদক ব্যবসায়ী এবং চোর-ডাকাতদের সাথে সালথা থানা পুলিশের চরম সখ্যতা, মানিক জোড় চলা-ফেরা, আর এই সব মাদক ব্যবসায়ী চোর-ডাকাতদের সাথে নিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষ গুলোকে গ্রেফতার ক'রে মাদকসেবি বা মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে মামলায় কোর্টে চালান হচ্ছে ! জেলের ঘানি টানছে নিরপরাধ অসহায় গরীব মানুষ গুলো আর খোলা বাজারে মাদক সেবন আর ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে চোর, ডাকাত মাদক ব্যবসায়ীরা !
কেন এমন হচ্ছে ? কারণ, চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীরা সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী'র অনুগত পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষ তার অনুগত নয় !
চরমতম হতাশার বিষয় হলো--------
স্থানীয় চিহ্নি মাদক ব্যবসায়ী এবং চোর-ডাকাতদের সাথে সালথা থানা পুলিশের চরম সখ্যতা, মানিক জোড় চলা-ফেরা, আর এই সব মাদক ব্যবসায়ী চোর-ডাকাতদের সাথে নিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষ গুলোকে গ্রেফতার ক'রে মাদকসেবি বা মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে মামলায় কোর্টে চালান হচ্ছে ! জেলের ঘানি টানছে নিরপরাধ অসহায় গরীব মানুষ গুলো আর খোলা বাজারে মাদক সেবন আর ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে চোর, ডাকাত মাদক ব্যবসায়ীরা !
কেন এমন হচ্ছে ? কারণ, চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীরা সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী'র অনুগত পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষ তার অনুগত নয় !
পাঁচ. সাত/আট দিন আগের ঘটনা। আমাদের স্থানীয় জমা-জমি সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালথা থানার ওসি তদন্ত জনাব ফায়েকুজ্জামান সাহেব উভয় পক্ষকে থানায় নোটিশ করেছেন সমস্যা সমাধানের জন্য। অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার প্রতিবেশী। তার আহ্বানে অনান্য আরও গণ্যমান্যের সাথে আমিও গেলাম থানায়। একজন এসআই আমাকে ইঁশারা দিয়ে থানার গোল ঘর থেকে থানার বাইরে ডেকে নিয়ে বললেন---------
"ভাই, আপনি এই শালিশে থাকতে পারবেন না সমস্যা আছে.......!"
"কেন ভাই ? ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা মামলার FIR ভুক্ত তিন চারজন আসামী এখানে আপনাদের সামনে বসা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত বসা অথচ আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, আমার নামে কোনও ওয়ারেন্ট তো নাই, আমি থাকতে পারবোনা ? একটু বুঝিয়ে বলবেন ?"
"আমি মেসেজটা দিলাম, বাঁকি আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন ।" বলে দারোগা সাহেব চলে গেলেন। আমি বুঝলাম------
মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হলেও তারা স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর অনুগত চোর, ডাকাত আর মাদক ব্যবসায়ী কিন্তু আমি চেয়ারম্যান হলেও তার অনুগত নই, সুতারাং এখানে শালিশ করার অধিকার আমার নেই, আমি বেরিয়ে আসলাম !
"ভাই, আপনি এই শালিশে থাকতে পারবেন না সমস্যা আছে.......!"
"কেন ভাই ? ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা মামলার FIR ভুক্ত তিন চারজন আসামী এখানে আপনাদের সামনে বসা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত বসা অথচ আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, আমার নামে কোনও ওয়ারেন্ট তো নাই, আমি থাকতে পারবোনা ? একটু বুঝিয়ে বলবেন ?"
"আমি মেসেজটা দিলাম, বাঁকি আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন ।" বলে দারোগা সাহেব চলে গেলেন। আমি বুঝলাম------
মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হলেও তারা স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর অনুগত চোর, ডাকাত আর মাদক ব্যবসায়ী কিন্তু আমি চেয়ারম্যান হলেও তার অনুগত নই, সুতারাং এখানে শালিশ করার অধিকার আমার নেই, আমি বেরিয়ে আসলাম !
ছয়. স্থানীয় সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী'র অনুগত বাহিনী চায়ের দোকানে বসে আলাপ করছে-------
"আজ রাতে ওসি সাহেব থানা থেকে টিম পাঠাবে, আমাদেরকে সাথে থেকে এ্যান্টি পক্ষের লোকজন ধ'রে দিতে হবে........!"
এমন আলোচনা শুনে বাবলুর প্রতিপক্ষ গ্রুপের টার্গেটেট লোকজনকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতেই হয়। পুলিশ আসে, বাবলু বাহিনীর লোকজনের সহযোগীতায় কিছু নিরীহ মানুষ গ্রেফতার হয়, পরদিন গাঁজা, ইয়াবা বিক্রয়ের অপরাধে মামলা সহ চালান হয়। কখনও পেন্ডিং মামলা, আর সালথা থেকে পেন্ডিং মামলা না দিলেও চালান হবার পরে ফরিদপুর-২ এর অপর থানা নগরকান্দা থেকে পেন্ডিং মামলার ফরোয়ার্ডিং ঠিকই পৌঁছে যায় কোর্টে !
অপরাধ হলো-----------
এইসব নিরপরাধ মানুষ বাবলু চৌধুরীর আনুগত্য স্বীকার করেন না !!
"আজ রাতে ওসি সাহেব থানা থেকে টিম পাঠাবে, আমাদেরকে সাথে থেকে এ্যান্টি পক্ষের লোকজন ধ'রে দিতে হবে........!"
এমন আলোচনা শুনে বাবলুর প্রতিপক্ষ গ্রুপের টার্গেটেট লোকজনকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতেই হয়। পুলিশ আসে, বাবলু বাহিনীর লোকজনের সহযোগীতায় কিছু নিরীহ মানুষ গ্রেফতার হয়, পরদিন গাঁজা, ইয়াবা বিক্রয়ের অপরাধে মামলা সহ চালান হয়। কখনও পেন্ডিং মামলা, আর সালথা থেকে পেন্ডিং মামলা না দিলেও চালান হবার পরে ফরিদপুর-২ এর অপর থানা নগরকান্দা থেকে পেন্ডিং মামলার ফরোয়ার্ডিং ঠিকই পৌঁছে যায় কোর্টে !
অপরাধ হলো-----------
এইসব নিরপরাধ মানুষ বাবলু চৌধুরীর আনুগত্য স্বীকার করেন না !!
সাত. এলাকার যে কোনও সমস্যার জন্য থানা পুলিশের সহযোগীতা'র জন্য ফোন করা হলে শুরুতেই কিছুক্ষণ বাবলু মামা নামক নেতার অনুগত হবার বিজ্ঞাপন শুনতে হবে, সমস্যা'র কথাটি তাড়াহুঁড়ো ক'রে বলার পরে আবারও মামা নামক নেতা'র বিজ্ঞাপণ চলবে। ফিনিশিংয়ে সরকারী নাম্বারটি থেকে বলা হবে---
মামা'র সাথে কাজ করেন, কোনও সমস্যাই থকবেনা !!
মামা'র সাথে কাজ করেন, কোনও সমস্যাই থকবেনা !!
আট. ফুলবাড়ীয়া গ্রামের দরিদ্র কিশোরী সতেরো বছরের জিয়াসমিন কে একই গ্রামের জনৈক দিপু মোল্যা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে গণধর্ষণ করে ৫/৬ মাস আগে। থানায় মামলা করার পর থেকেই লাগাতার চাপ আসতে থাকে জিয়াসমিনের পরিবারের উপর। মামলা প্রত্যাহার না করায় মাস দেড়েক পূর্বে ধর্ষক দিপু মোল্যা'র নেতৃত্বে রাতের বেলায় মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয় জিয়াসমিনকে! প্রায় এক মাস যাবৎ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাড়িতে আসলে আবার শুরু হয় ধর্ষকের চাপ আর হুমকি! আসামীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক তাদের হুমকি থেকে নিরাপত্তার জন্য সালথা থানার ওসি দেলোয়ার সাহেবের স্মরণাপন্ন হ'লে জিয়াসমিনের পরিবারকে এলাকা ছেড়ে দিয়ে শহরে ভাড়া বাসায় থাকার সু-পরামর্শ দেন ওসি সাহেব আর অপরাধীদেরকে পাশে বসিয়ে গাড়ি ক'রে ঘুরে বেড়ান এলাকায় ! নিরুপায় জিয়াসমিনের পরিবার প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর ধর্ষক দিপু বহাল তবীয়তে আছে ওসি সাহেবের আশ্রয়ে !!
এমনই শত শত অমানবিক নির্যাতনের চিত্র, এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি সালথা থানা পুলিশের বিমাতা সূলভ আচরণের লম্বা কাহিনী আছে, ধৈর্য্য হারিয়ে যাবে কাহিনী ফুরোবে না ! মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে------
সালথা থানা'র নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব দেলোয়ার হোসেন সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন যে, খুব অল্প দিনের মধ্যেই সালথা থানা এলাকার প্রতিটি দূর্বা ঘাঁস পর্যন্ত বাবলু মামা, বাবলু মামা জিকির করবে । ঘোষণা'র সত্যতা জানিনা কিন্তু তাঁর কর্মকান্ডে জিকিরের প্রমাণ স্পস্ট । আশঙ্কার বিষয় হলো দূর্বা ঘাঁসের মামা মামা জিকির উপভোগ করার জন্য মানুষ নামের প্রাণী গুলো অবশিষ্ট থাকবে কিনা !
রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর জনসমর্থণ বাড়ানোর জন্য যদি বিশেষ বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওসি দেলোয়ার সাহেবকে সালথার রাজনৈতিক মিশনে পাঠিয়ে থাকেন তবে নিশ্চিত ভাবেই আশা করা যায় যে, এখানকার আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নির্যাতিত নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মনে বাবলু'র প্রতি জমে থাকা ক্ষোভ আর ঘৃণার কারণ গুলোও নিশ্চিত ভাবে ওনাকে উদ্ঘাটন করতে বলেছেন, বলতেই হবে কারণ, বিএনপি জামাতের দলছুট দালাল দিয়ে বাবলু চৌধুরীর কাজ চললেও আ'লীগের চলেনা, শেখ হাসিনার চলেনা । তাহলে ওসি সাহেব অর্ধেক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাছুর মেরে গাভী কেন দোহাচ্ছেন এটাই তো বুঝলাম না !
যেসব নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে ধ'রে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অমানবিক নির্যাতন ক'রে মিথ্যা মামলায় চালান দেয়া হচ্ছে ওইসব মানুষদেরও তো ওসি সাহেবের মতো পরিবার পরিজন আছে, মা বাবা সন্তান স্ত্রী আছে, সুখ দুঃখের অনুভূতি আছে । বলার ক্ষমতা তাদের কেড়ে নেয়া হয়েছে কিন্তু ক্ষমতাহীন, অসহায়, নিস্পাপ মানুষ গুলোর বুকে দিনে দিনে জমে ওঠা দীর্ঘশ্বাসের ভার বহনের ক্ষমতা কি সালথা থানার ওসি মহোদয়ের আছে ? দিন শেষে পোশাকটি খুললে তিনিও তো রক্ত মাংসের মানুষ এবং কোনও ভাবেই সর্বময় ক্ষমতার মালিক তিনি নন ! কোনও বিশেষ নেতার দল ভারী করার যে অমানবিক প্রকৃয়া ওসি সাহেব শুরু করেছেন তাতে নেতার প্রতি সাধারণের শ্রদ্ধা কতোটুকু জমা হচ্ছে আর ঘৃণা কতোটুকু তাকি তিনি হিসেব করেছেন একবারও ? না করলে করা উচিত ।
সালথা থানার ওসি জনাব দেলোয়ার সাহেবের প্রিয় নেতা বাবলু চৌধুরী যদি আগামী নির্বাচনে রেডিমেড এমপি নির্বাচিত হবার ক্ষমতা রাখেন তাহলে সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহার ক'রে ওনার নেতার দল ভারী করার তো কোনও দরকার নাই। আর এমপি হ'তে হ'লে যদি ভোটের দরকার হয় তাহলে যে অমানবিক চাপের মুখে তিনি তাঁর নেতার দলে জনসংখ্যা বাড়ানোর মিশন শুরু করেছেন প্রয়োজনের সময় এই জনসংখ্যা জন-দুর্ভোগে পরিণত হবে না এই গ্যারান্টী কি দিতে পারেন ওসি সাহেব ? আমি সহ বাবলু বিরোধী সকল নেতা-কর্মীকে তিনি চতুর্দিক থেকে বিশেষ দক্ষতায় শুন্য ক'রে আনছেন ভালো কথা, কিন্তু মাত্র একটি সপ্তাহ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন ক'রে ওসি সাহেব ট্রাই করতে পারেন যে, তাঁর মামা চৌধুরী আসলে কার গোহালের গরু !!
সালথা থানা'র নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব দেলোয়ার হোসেন সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন যে, খুব অল্প দিনের মধ্যেই সালথা থানা এলাকার প্রতিটি দূর্বা ঘাঁস পর্যন্ত বাবলু মামা, বাবলু মামা জিকির করবে । ঘোষণা'র সত্যতা জানিনা কিন্তু তাঁর কর্মকান্ডে জিকিরের প্রমাণ স্পস্ট । আশঙ্কার বিষয় হলো দূর্বা ঘাঁসের মামা মামা জিকির উপভোগ করার জন্য মানুষ নামের প্রাণী গুলো অবশিষ্ট থাকবে কিনা !
রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর জনসমর্থণ বাড়ানোর জন্য যদি বিশেষ বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওসি দেলোয়ার সাহেবকে সালথার রাজনৈতিক মিশনে পাঠিয়ে থাকেন তবে নিশ্চিত ভাবেই আশা করা যায় যে, এখানকার আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নির্যাতিত নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মনে বাবলু'র প্রতি জমে থাকা ক্ষোভ আর ঘৃণার কারণ গুলোও নিশ্চিত ভাবে ওনাকে উদ্ঘাটন করতে বলেছেন, বলতেই হবে কারণ, বিএনপি জামাতের দলছুট দালাল দিয়ে বাবলু চৌধুরীর কাজ চললেও আ'লীগের চলেনা, শেখ হাসিনার চলেনা । তাহলে ওসি সাহেব অর্ধেক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাছুর মেরে গাভী কেন দোহাচ্ছেন এটাই তো বুঝলাম না !
যেসব নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে ধ'রে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অমানবিক নির্যাতন ক'রে মিথ্যা মামলায় চালান দেয়া হচ্ছে ওইসব মানুষদেরও তো ওসি সাহেবের মতো পরিবার পরিজন আছে, মা বাবা সন্তান স্ত্রী আছে, সুখ দুঃখের অনুভূতি আছে । বলার ক্ষমতা তাদের কেড়ে নেয়া হয়েছে কিন্তু ক্ষমতাহীন, অসহায়, নিস্পাপ মানুষ গুলোর বুকে দিনে দিনে জমে ওঠা দীর্ঘশ্বাসের ভার বহনের ক্ষমতা কি সালথা থানার ওসি মহোদয়ের আছে ? দিন শেষে পোশাকটি খুললে তিনিও তো রক্ত মাংসের মানুষ এবং কোনও ভাবেই সর্বময় ক্ষমতার মালিক তিনি নন ! কোনও বিশেষ নেতার দল ভারী করার যে অমানবিক প্রকৃয়া ওসি সাহেব শুরু করেছেন তাতে নেতার প্রতি সাধারণের শ্রদ্ধা কতোটুকু জমা হচ্ছে আর ঘৃণা কতোটুকু তাকি তিনি হিসেব করেছেন একবারও ? না করলে করা উচিত ।
সালথা থানার ওসি জনাব দেলোয়ার সাহেবের প্রিয় নেতা বাবলু চৌধুরী যদি আগামী নির্বাচনে রেডিমেড এমপি নির্বাচিত হবার ক্ষমতা রাখেন তাহলে সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহার ক'রে ওনার নেতার দল ভারী করার তো কোনও দরকার নাই। আর এমপি হ'তে হ'লে যদি ভোটের দরকার হয় তাহলে যে অমানবিক চাপের মুখে তিনি তাঁর নেতার দলে জনসংখ্যা বাড়ানোর মিশন শুরু করেছেন প্রয়োজনের সময় এই জনসংখ্যা জন-দুর্ভোগে পরিণত হবে না এই গ্যারান্টী কি দিতে পারেন ওসি সাহেব ? আমি সহ বাবলু বিরোধী সকল নেতা-কর্মীকে তিনি চতুর্দিক থেকে বিশেষ দক্ষতায় শুন্য ক'রে আনছেন ভালো কথা, কিন্তু মাত্র একটি সপ্তাহ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন ক'রে ওসি সাহেব ট্রাই করতে পারেন যে, তাঁর মামা চৌধুরী আসলে কার গোহালের গরু !!
দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম ক'রে রাস্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী'র বদনাম করা বা ব্যক্তিগত আক্রোশ বশতঃ বিষোদ্গার করা অবশ্যই আমার উদ্দেশ্য নয় । তাছাড়া মিথ্যা দোষ দিয়ে নিজের অপরাধের বোঝাও ভারী করতে চাইনা কারণ, সাজানো মাদক মামলায় চালান দেবার ঘটনায় সালথা থানা'র ওসি সাহেবের বিকট রুদ্রমূর্তি যেমন দেখেছি অপরদিকে এই নিষ্ঠুর অমানবিকতায় একই থানা'র অসহায় অফিসারদের চোখের কোণে বেদনাশ্রুও দেখেছি! সুতরাং ঢালাও মিথ্যা অভিযোগ ক'রে নিজের কাছে নিজে অপরাধী সাজার সুযোগটুকু নাই।
অনিয়ম গুলো নিয়মে পরিণত হওয়া আমাদের বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ আছে এটা মানি। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া একজন অবিবেচক খেয়ালী ব্যক্তির অবৈধ ইঁশারায় নির্লজ্জভাবে জন জীবনের শান্তি নষ্ট করার কি কোনও জবাবদিহিতা নাই ? এক অবিবেচক নেতা নামের হিংস্র প্রাণী'র খেয়াল খুশী মতো একটি জনপদের শান্তি ছিনিয়ে নেবার অধিকার কি কারও আছে ?
ফরিদপুর-২ এর রাজনৈতিক অভিশাপ সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর বহু অপকর্মের ফিরিস্তি দিতে দিতে আঙুল ব্যাথা হয়ে গেছে কিন্তু তাতে তার বিন্দু মাত্র বোধোদয় হয়নি বা সালথা-নগরকান্দা'র জেগে জেগে ঘুমানো চামচা জাতীয় প্রাণীদের মনেও বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনি তাই ঘৃণা আর হতাশায় সাথে যখন প্রশাসনের বাড়তি চাপ যোগ হলো তখন লেখা বাদ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় ধ'রে বাবলু দ্বারা নির্যাতিত সালথা'র আওয়ামীলীগের সর্বহারা নেতা-কর্মীদের প্রতি বাবলু প্রেমে মাতোয়ারা সালথা থানা'র বর্তমান ওসি সাহেবের কর্মকান্ডের যে সামান্য বর্ণনা আজ দিলাম এটা তাঁর(ওসি) দৃষ্টি গোচর হ'লে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়, ছিনতাই, জালিয়াতি, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, গুম বা অন্য যে কোনও অপরাধের অতীত রেকর্ড আমার না থাকলেও মুহূর্তে দুই দশটা জঘণ্য অপরাধে গ্রেফতার হ'য়ে লাল দালানের বাসিন্দা আমাকে হতে হবে এটা খুব স্বাভাবিক। বাড়তি হিসাবে শরীরের হাড়গোড় ভাঙতে পারে আবার আমার দেখানো মতে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকালীন আমার বাহিনী'র সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে আমার গুলিবিদ্ধ লাশ মর্গে গেলেও খুব আশ্চর্য হবার কিছু নেই, কারণ ক্ষমতায় কি না হয় ?
তাও দুঃখ নাই কারণ ছোট্র জীবনে অনেক কিছুই তো দেখলাম, পেলামও । একটি সত্য প্রকাশের জন্য আমার এই অপ্রয়োজনীয় জীবনের বিনিময়ে যদি একটি জনপদের মানুষ এক হিংস্র নিপীড়কের নিপীড়ন থেকে মুক্ত হ'তে পারে সেটা আমার একটি মাত্র জীবনের চেয়ে লক্ষ কোটিগুন বেশী দামী আর দরকারী ।
মানুষের ভিন্নমুখী চাহিদার কারণে রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবে, নেতৃত্বে নূতনত্ব আসবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু এই নৃশংসতা'র শেষ কোথায় ?
আর কতোজন ধর্ষিতার আর্তণাদ,
কতোজন সন্তানহারা মায়ের চিৎকার,
কতোজন নিরপরাধের বুকফাঁটা দীর্ঘশ্বাস,
অসহায়ের আরও কতো রক্তস্রোত বয়ে গেলে সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী'র এমপি হবার পথ কন্টকমুক্ত হবে ?
কেউ কি জবাব দেবেন ?
নাকি নীরব দর্শক হ'য়ে ধ্বংসযজ্ঞে ঘি ঢালতে থাকবেন ধার ক'রে ক'রে ?
অনাচারের নীরব দর্শক হ'য়ে আজন্ম আত্মগ্লানি'র দহনের চেয়ে একবার উলঙ্গ চীতায় জ্বলে দেখুন, সে জ্বালা স্বর্গীয় সুখ এনে দেবে ।।
অনিয়ম গুলো নিয়মে পরিণত হওয়া আমাদের বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ আছে এটা মানি। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া একজন অবিবেচক খেয়ালী ব্যক্তির অবৈধ ইঁশারায় নির্লজ্জভাবে জন জীবনের শান্তি নষ্ট করার কি কোনও জবাবদিহিতা নাই ? এক অবিবেচক নেতা নামের হিংস্র প্রাণী'র খেয়াল খুশী মতো একটি জনপদের শান্তি ছিনিয়ে নেবার অধিকার কি কারও আছে ?
ফরিদপুর-২ এর রাজনৈতিক অভিশাপ সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরীর বহু অপকর্মের ফিরিস্তি দিতে দিতে আঙুল ব্যাথা হয়ে গেছে কিন্তু তাতে তার বিন্দু মাত্র বোধোদয় হয়নি বা সালথা-নগরকান্দা'র জেগে জেগে ঘুমানো চামচা জাতীয় প্রাণীদের মনেও বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনি তাই ঘৃণা আর হতাশায় সাথে যখন প্রশাসনের বাড়তি চাপ যোগ হলো তখন লেখা বাদ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় ধ'রে বাবলু দ্বারা নির্যাতিত সালথা'র আওয়ামীলীগের সর্বহারা নেতা-কর্মীদের প্রতি বাবলু প্রেমে মাতোয়ারা সালথা থানা'র বর্তমান ওসি সাহেবের কর্মকান্ডের যে সামান্য বর্ণনা আজ দিলাম এটা তাঁর(ওসি) দৃষ্টি গোচর হ'লে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়, ছিনতাই, জালিয়াতি, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, গুম বা অন্য যে কোনও অপরাধের অতীত রেকর্ড আমার না থাকলেও মুহূর্তে দুই দশটা জঘণ্য অপরাধে গ্রেফতার হ'য়ে লাল দালানের বাসিন্দা আমাকে হতে হবে এটা খুব স্বাভাবিক। বাড়তি হিসাবে শরীরের হাড়গোড় ভাঙতে পারে আবার আমার দেখানো মতে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকালীন আমার বাহিনী'র সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে আমার গুলিবিদ্ধ লাশ মর্গে গেলেও খুব আশ্চর্য হবার কিছু নেই, কারণ ক্ষমতায় কি না হয় ?
তাও দুঃখ নাই কারণ ছোট্র জীবনে অনেক কিছুই তো দেখলাম, পেলামও । একটি সত্য প্রকাশের জন্য আমার এই অপ্রয়োজনীয় জীবনের বিনিময়ে যদি একটি জনপদের মানুষ এক হিংস্র নিপীড়কের নিপীড়ন থেকে মুক্ত হ'তে পারে সেটা আমার একটি মাত্র জীবনের চেয়ে লক্ষ কোটিগুন বেশী দামী আর দরকারী ।
মানুষের ভিন্নমুখী চাহিদার কারণে রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবে, নেতৃত্বে নূতনত্ব আসবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু এই নৃশংসতা'র শেষ কোথায় ?
আর কতোজন ধর্ষিতার আর্তণাদ,
কতোজন সন্তানহারা মায়ের চিৎকার,
কতোজন নিরপরাধের বুকফাঁটা দীর্ঘশ্বাস,
অসহায়ের আরও কতো রক্তস্রোত বয়ে গেলে সাংসদ পুত্র বাবলু চৌধুরী'র এমপি হবার পথ কন্টকমুক্ত হবে ?
কেউ কি জবাব দেবেন ?
নাকি নীরব দর্শক হ'য়ে ধ্বংসযজ্ঞে ঘি ঢালতে থাকবেন ধার ক'রে ক'রে ?
অনাচারের নীরব দর্শক হ'য়ে আজন্ম আত্মগ্লানি'র দহনের চেয়ে একবার উলঙ্গ চীতায় জ্বলে দেখুন, সে জ্বালা স্বর্গীয় সুখ এনে দেবে ।।
EmoticonEmoticon