বিদ্যুত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামদলগুলোর ডাকা আহুত হরতালে সরকারী গুণ্ডাবাহিনীর হামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানাই। সিপিবির রাজনৈতিক লাইনের সমালোচনা করলেও যেকোন দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সমর্থন করি। ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মোর্শেদ হালিমের উপর সিপিবি আফিসে ঢুকে পুলিশী নির্যাতন এবং তার পরে তার মানসিক শক্তির যে সাহসিকতা দেখেছি তা অতুলনীয়। শেখ হাসিনা র্যাজিমের বিরোদ্ধে এই তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে ফাটল ধরাতে পারে যা অতীতে তরুণরা দেখিয়েছে। এখনো দেশের ক্রান্তিলগ্নে তরুণরা শপথ নিলে যে কোন লাঠিয়াল বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে পারবে।
আওয়ামীলীগ জোট সরকার বিগত ৮ বছরে ৮ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। হর্থাৎ বছরে একবার করে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। কিন্তু প্রতিবছর কি বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়? তাহলে প্রতিবছর ফি মাফিক এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী? সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে কাদের পেট ভরা হচ্ছে জানা দরকার। আধুনিক সভ্যতার একটি প্রয়োজনীয় বিষয় বিদ্যুৎ হল নাগরিকদের একটি অধিকার। রাষ্ট্র তা নিশ্চিত করবে জনগণের জন্য নুন্যতম উৎপাদন খরছ নিয়ে। কিন্তু দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা হল অতিরিক্ত মুনাফার জন্য সাধারণ জনগণকে ধোকা দেওয়া।
চালের মূল্য এখন বিগত যে কোন সময়ের চাইতে কয়েকগুণ বেশি, পেয়াজের মূল্য আকাশছোঁয়া। বাড়ছে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নাই। কিন্তু যারা গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে তাঁদের ডাণ্ডা মারতে ওস্তাদ। এভাবে কী জনগণের মুখ চেপে রাখা যাবে? যে মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে বা যে শ্রমজীবী আধাপেটা খেয়ে দিন পারাপার করছে তার কাছে আপনাদের জবাব দিতে হয় না কেননা গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী করে ফেলেছেন। তবে হ্যাঁ এই বাংলার ক্ষ্যাপাটে জনগণকে নিশ্চই চিনেন? যদি একবার জেগে উঠে তবে যে কোন শক্তিশালী শাসককে হঠাতে পিছপা হবে না। আমাদের সমস্যা জনগণের আন্দোলনের শক্তি দাঁড়াতে পারছে না। ফলে নানাভাবে জনগণকে এর খেসারৎ দিতে হচ্ছে। তবে একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে। মার খেতে খেতে দাঁড়ায়।
আমাদের আজ চিহ্নিত করতে হবে আওয়ামীলীগ এর বিকল্প বিএনপি নয় বা বিএনপির বিকল্প আওয়ামীলীগ নয়। এরা দু-দল বা তাদের জোটভুক্ত শরীকরা হল গণ দুশমন। এই গণ দুশমনের চরিত্র প্রতিনিয়ত জনগণের সামনে হাজির করতে হবে। কে মন্দের ভাল, কে মুক্তিযুদ্ধের সোলস এজেন্ট দেখার বিষয় নয়। এরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে গিয়েছে। ফলে এরা এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। তাই এদেরকে চিহ্নিত করা দরকার। যে কোন গণ আন্দোলনে সর্বাত্মক সমর্থন জানাই।
EmoticonEmoticon