ঊষা
মেলালে তুমি সূর্যে তৃষ্ণার্ত পৃথিবীর প্রানের পিপাশা
দীর্ঘ -দীর্ঘ মরুভুমি রাত্রির,পেরিয়েছে পা এই পৃথিবীর
ক্লান্ত পথিক সব যাত্রীর তুমিই তীর্থ দিশা।
রানী তুমি
সূর্যের মুকট পড়ে আছো, আদিগন্ত তোমার সিংহাসন
অন্তহীন আকাশ জুড়ে তোমার নির্দেশ দিলো পৃথিবীরে জীবন
আঁধারের বিনাশর্তে আত্মসমর্পন হয় সীমানায় সীমানায়
কোন কিছুই নেই গোপন তোমার সশস্ত্র আলোর নিশানায়।
প্রানায়াম!
উষার ঐ সূর্যে আমার আত্মা ছুড়ে দিলাম
অন্ধকারের জরায়ু হতে সূর্যযোনী ভেদ করে জন্ম নিলাম
ঊষার গভীরে রাখা আমার শ্বাসত জন্মান্তর
ঊষার স্পর্শেই আমি হলাম জাতিস্বর।
দুই চোখে রাখা ছিলো আমার কফিনের অন্ধকার
আত্মার জন্মান্ধতা তুলে নিলো পরশ ঊষার
ঠোঁটের ভেতর মেঘের মতন মিশে যায় নরম রোদের প্রান
নতুন সূর্যের সোনালী রক্তে আমার জীবনের অগ্নিস্নান ।
আমি যোগী
নতুন সূর্যের করপুটে রাখা আমার দীপ্ত ধ্যান
মোহীনি ঊষার সম্মোহনে মিশেছে আমার সকল জ্ঞান
সন্ধ্যার সৃত্মি মুছে দিয়ে মহাকাল হতে উঠে আসা হে ঊষা
আমার নিঃশ্বাসেই অর্পিত তোমার ঈন্দ্রজালের ভাষা।
উষার আলোক আমার চেতনায় হয়ে প্রতিফলিত
চেনালো আমায় সাহারা,ভিসুভিয়াস,হিমালয়,প্রসান্ত
উষার ভেতরে যেদিকে তাকাই সুন্দর অন্তহীন
প্রজাপতির হঠাত সুখ যেমন ফুলের সম্মুখীন।
আমি কবি!
আমার প্রথম চাহনিতে সূর্যতুলিতে একেছিলে তুমি ঈশ্বরের ছবি
মহাকালের হৃদস্পন্দন স্তব্ধকারীনি হে উষা
শোকের পাথর চিরে তৃষ্ণায় দিয়েছিলে তুমি প্রচ্ছল জলের প্রত্যাসা
আজ তোমার সূর্য পানে আমার করতল হোক ফুটন্ত সূর্যমুখী
কিচ্ছু নেই দেবার শুধু তোমার পবিত্রতায় আমার
শেষ কবিতাটি রাখি।
EmoticonEmoticon