বৃষ্টির অবিশ্রান্ত জলধারায় তুমি,
বরুনদেবের অলৌকিক স্বচ্ছ রক্তে স্থাপিত তোমার আত্মা
স্পর্শেই বুঝে গেছি আমি,
জলেরো থাকতে পারে কী তীব্র দহন ক্ষমতা!
বাজালে গোপন সূর্যহৃদয় মেঘের ভায়োলিন
ঝরে পড়ে জলসুর বৃষ্টি দিন
প্রতিটি ফোটায় তন্বয় আমি,
অন্তর আমার নিহত নিরন্তর দিন থেকে রাতে
কোমাল মুঠোর ভেতর উদ্ধত
তোমার ঐ জলের ছুরিকাঘাতে।
নিষেধের পাখি ডানা ঝাপটায়,
আচরায় অবচেতন ধুসর প্রাচীর
তোমার জলের হাত মেঘ হতে নেমে এসে
সরায় ধুলো নিষিদ্ধ অনুভূতির।
এই তো বৃষ্টি তুমি !
প্রাচীরের ভাঙা কাঁচ
নাকি জলের হাতুড়িতে ভাঙা পাথরের স্তব্ধ শরীর?
এই তো বৃষ্টি তুমি!
নামো বেয়ে মেঘের প্রাসাদ হতে জলের সিড়িতে
জলেতে মেশা তোমার চোখ মুখ
ঐ চোখে চোখ রাখি মুখে রাখি মুখ
আমি গলে যাই আর কাঁচের মতন ভাঙি
করতল হারায় রোদের প্রার্থনা উষ্ণতার সুখ।
তোমার রক্ত মেখে ঐ বজ্র ফোটে মেঘের ঠোঁটে
সেই ঠোটের ভেতর তুমি জল
অবিরল ঝরে যাও পৃথিবীর পিঠে
নেমে এসে বুকে আমার শরীর খুলো
তুলে নাও সৃত্মি,প্রেম সকল অনুভব
দেয়াল ঘড়ি ছিল যত সময়ের কারাগার হল চুরমার
কামনার বিদ্যুত ভাঙলো সব
আমি তুমি অন্ধকার ও আলো
কখন হয়েছি এলোমেলো!
দেখে নিয়ে জলের কাছে অনির্বাণ অগ্নির পরাভব।
জলের ভেতর আমার বিদ্রোহ,
আমার ভেতর বিদ্রোহী জল,
তছনছ পৃথিবীর ছিঁড়ে যায় বন্ধন সকল শিকল
বানে ভেসে যাওয়া জীবন আমার
মেনে নেয় পরিনতি শেষ ফলাফল।
এই মন কতটুকু নিবিড় কুটির ছিলো
তোমার গোপন কৃষ্ণচূড়ার?
জানাবে তোমায় জলে পোড়া মন
যখন গলে যাবে ঐ মেঘের মোমবাতিগুলো
নিভে যাবে তার বজ্রশিখার দহন
জানাবে তোমায় ভেসে যাওয়া জীবন
সামান্য স্পর্শই হতে পারে কি তীব্র ব্যাথার আহার!
আজ ব্যাথায় কাতর সৃত্মিরা
বৃষ্টিতে কাক হয়ে ভিজে
আর আমার কামুক হাত
তোমার দেহ হতে মেঘের সমস্ত পোশাক খসালেই
ফুসে উঠে অজগর সূর্যযোনি
সুনীল তনুতে গাঁথা সেই অতলান্তিক গভীরতা
গিলে খায় আমার বৃষ্টি ভেজা নগ্ন দেহ খানি।
EmoticonEmoticon