বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

এসো বিদ্রোহ করি

সমাজব্যবস্থা:
. আদিম সাম্যবাদী সমাজ
. দাস সমাজ
. সামন্ততান্ত্রিক সমাজ
. পুঁজিবাদী সমাজ
. সমাজতান্ত্রিক সমাজ
আদিম সাম্যবাদী সমাজ
১-যৌথভাবে উৎপাদন করতো
২-ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না
৩-ছিল যৌথ মালিকানা
৪-চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদিত পণ্যের বন্টন হতো
দাস সমাজ
১-মালিকের আবির্ভাব
২-কর্মীরা মালিকের ইচ্ছাধীন
৩-কর্মীরা উৎপাদিত পণ্যের কিছুটা ভোগ করতো
৪-মালিক পরিশ্রম ছাড়া চলতো
৫-মালিক কর্মীদের উৎপাদিত পণ্যের নিয়ন্ত্রক
৬-কর্মীরা ভোগের জন্য যা পেত তা ছাড়া মালিক বাকিটুকু ভোগ করত
*উৎপাদিত পণ্যের যেটুকু কর্মীরা ভোগ করত তার বাইরে যে অবশিষ্ট থাকতো তা উদ্ধৃত্ত
*বস্তুঃ যা মানুষের ইন্দ্রিয় শক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং নতুন চিন্তার উদ্রেক সৃষ্টি করে তাকে বস্তু বলে।
*শ্রেনীঃ যখন কিছু লোক অন্যদের শ্রম শোষণ করে তখন শ্রেনী তৈরি হয়।
class of one group of people one of which can appropriate the labour of others-lenin
*উৎপাদন ব্যবস্থা/পদ্ধতিঃ
শ্রম প্রয়োগের ক্ষেত্র + শ্রমের উপকরণ = উৎপাদনের উপকরণ বা উৎপাদনের উপায় (means of production)
উৎপাদনের উপকরণ + মানুষের অভিজ্ঞতা বা প্রযুক্তি = উৎপাদিকা শক্তি
উৎপাদিকা শক্তি + উৎপাদন সম্পর্ক বা মালিকানা পদ্ধতি = উৎপাদন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি
দাস উৎপাদন ব্যবস্থাঃ দেহ, মন ও শ্রমের মালিক ছিল প্রভু
সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থাঃ মন ও শ্রমের মালিক ছিল সামন্তপ্রভু
পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থাঃ শ্রমের মালিক পুঁজিপতি
¤¤¤ উৎপাদন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি ¤¤¤
€ শ্রম প্রয়োগের ক্ষেত্র + শ্রমের উপকরণ = উৎপাদনের উপকরণ বা উপায়;
€ উৎপাদনের উপকরণ + মানুষের অভিজ্ঞতা বা প্রযুক্তি = উৎপাদিকা শক্তি;
€ শ্রম প্রয়োগের ক্ষেত্র + শ্রমের উপকরণ+ মানুষের অভিজ্ঞতা বা প্রযুক্তি = উৎপাদিকা শক্তি;
€ উৎপাদিকা শক্তি + উৎপাদন সম্পর্ক বা মালিকানা পদ্ধতি = উৎপাদন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি;
১. প্রথম বিষয়টিকে আমরা এভাবে দেখাতে পারি- উত্পানদিকা শক্তি [উপাদান (Content)]
উত্পারদন সম্পর্ক [আকার (Form)] = উত্পাতদন পদ্ধতি [ইতিহাসের নির্ধারণী শক্তি]। সুতরাং উত্পাদিকা শক্তি এবং উত্পা দন সম্পর্ক এ-দুয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয় উত্পাধদন পদ্ধতি৷ এখানে উত্পাণদন সম্পর্কের ধারাটি নিয়মের মতো কাজ করে, আর সেই নিয়মটি উত্পাঠদিকা শক্তির সাহায্যে গতিশীল হয়৷ ধারণাগত দিক থেকে উভয়ই আলাদা এবং পৃথক হলেও সামাজিক ব্যবস্থায় এ দু'টি সহযোগে অস্তিত্বশীল৷
২. উত্পা দিকা শক্তি সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায়৷ এই বদলে যাওয়ার আবর্তনে সমাজও বদলায়৷ উত্পাপদিকা শক্তি কখনো থেমে থাকে না৷ যেমন সভ্যতার শুরুর দিকে মানুষ তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যন্ত্রকৌশল ব্যবহার করত, আধুনিক কালে সেই কৌশল পালটে গেছে৷ এই পালটে যাবার বিষয়টি উত্পা্দন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করে৷ সুতরাং উত্পাাদিকা শক্তির প্রভাবের ফলে উত্পায়দন সম্পর্ক বদলে যায়, এই বদলে যাবার শর্তটি আবার সমাজকেও বদলে দেয়৷
৩. উত্পা দিকা শক্তির চরিত্রের উপর নির্ভর করে সেই সমাজটি কী রকম, সেটা৷ যেমন আদিম কৌমভিত্তিক সমাজে উত্পািদন শক্তি ছিল একান্তই নৈর্ব্যক্তিক৷ এ কারণে এ সমাজে ব্যক্তিমালিকানা বলে কোনো ধারণার জন্ম নেয়নি৷ যেই মাত্র উত্পাএদনের ক্ষেত্রে সম্মিলিত শ্রমশক্তির প্রয়োজন অনুভূত হল তখন থেকেই দেখা ছিল উদ্বৃত্ত সম্পদ সৃষ্টির প্রতিযোগিতা৷ এই প্রতিযোগিতার ধারায় উদ্বৃত্ত শ্রমশক্তির হাত ধরে সৃষ্টি হলো ব্যক্তিমালিকানার৷ মালিকানার দায়ভার আবার এতো জঘন্য যে তা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে ক্ষমতার৷ এভাবেই ব্যক্তিমালিকানা ও ক্ষমতা হাত ধরাধরি করে শোষণের জালকে আরো বিস্তৃত ও পরিকল্পিত করে তোলে৷


EmoticonEmoticon