রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

সংলাপ শেষে আশা ও আশঙ্কাঃ নির্বাচনে সেনা-মোতায়েন

ফ্যাশিবাদ-উপদ্রুত বাংলাদেশে সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রণ্টের কাছে সম্ভবতঃ এখন শেষ ভরসা হচ্ছে সেনা-মোতায়েন। হতেপারে, শুরু থেকে এটিই তাদের একমাত্র ভরসা।

বিপরীতক্রমে, সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও তার জোট-বান্ধবদের কাছে কাছে সেনা-মোতায়নই হচ্ছে আশঙ্কার বিষয়। তবে, সেনা বলে কথা! তাই শেখ হাসিনাও সেনা-মোতায়েনের দাবীর নিকুচি করতে পারছেন না। কোথায় যেনো পড়লাম, তিনিও বলেছেন সেনা মোতায়েন হবে, কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের ছায়াপথে নিষ্প্রভ বাম-জোটের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম "পরিস্থিতি অনুকূল না হলে সেটা বয়কট করার জন্যও প্রস্তুত আছি" বললেও সেনা-মোতায়েনের দাবী করেনি। বরং, ক'দিন আগে বাম-জোটের বাসদ-নেতা খালেকুজ্জামান বলেছেন "দেশে রাজনীতির ময়দান থেকে অতীতের অশুভ ছায়ার বিস্তার এখনো সরেনি।" জানি না, এই "অশুভ ছায়া" বলতে তিনি কীসের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।

ঐক্যফ্রণ্টের ক্ষুদে শরীকদের মধ্যে একজন বলেছেন শেখ হাসিনা পালাবার পথ খুঁজছেন। আরেকজন বলেছেন ইচ্ছে করলেই তিন দিনের মধ্যে সরকার ফেলে দিতে পারেন। আমি ভাবি, আন্দোলন না করে, এসব বড়ো-বড়ো কথা আসে কোথা থেকে!

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আমরা আগেও দেখেছি। ওয়ান-ইলাভেনের পর সেনাবাহিনীর মাইনাস-টু ফর্মুলা যখন সফল হলো না, শেষপর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো যে-নির্বাচনে জিতে, সেখানেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিলো বলে একটি অপরীক্ষিত তত্ত্ব রয়েছে।

এবার সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েই যতো আশা ও আশঙ্কা আবর্তিত হচ্ছে বলে মনে হয়। আর, অবস্থা যদি তাই হয়, জনগণের ওপর কি আদৌ কেউ ভরসা করে?


EmoticonEmoticon