মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর গুলিতে স্কুল ছাত্র নিহত __________________________

গত ১২ নভেম্বর সোমবার, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন ১নং রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের ঘেরাউ ভিতর পাড়ায় রাত ৮.০০ টার দিকে দোকানে আসার সময় ক্যসিংমং মারমা (১৪), পিতা- হ্লানুমং মারমা নামে রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে রোয়াংছড়ি সেনাক্যাম্পের লেফটেনেন্ট ফারহান-এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছেলেটি তাঁর আরও দুই ছাত্রসঙ্গীসহ পাড়া থেকে বৌদ্ধ বিহার হয়ে ঘেরাউ রাস্তার পাশের দোকানে যায়। বৌদ্ধ বিহার থেকে দোকানে যাওয়ার সময় বিহারের সীমানা বেড়ার সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় রোয়াংছড়ি থেকে ঘেরাউ ভিতর পাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া সেনাসদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ছেলেটির বামবাহু ভেদ করে গুলি বের হয়ে যায় এবং তাঁর সঙ্গীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেনাসদস্যরা আহত ছাত্রকে ট্রাকে তুলে নিয়ে এসে রোয়াংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যায়। বান্দরবানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না হলে আহত ছেলেকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সেখানে মারা যায়।
হ্যা,ঘটনাটি পাহাড়ে জনগনের নিরাপত্তার জন্য  নিয়োজিত সেনা কর্তৃক।
পাহাড়ে এভাবে সেনা গুলিতে কখনো মরে ছাত্র,অার সাধারণ মানুষ।
কিন্তু বিচার নেই।পাহাড়ে গনতন্ত্র এতই শক্তিশালী যে প্রকাশ্য দিবালোকের ঘটনাটিও ধামাচাপায় থেকে যায়!!!!!!! ফলে ক্ষমতাবিহীন হাত অচল হয়ে রয়।।
সেনাকর্তৃক এধরনের ঘটনা কাম্য নই।তবুও তারা থেমে নেই হায়েনার মতো পাহাড়ে মানুষদের ওপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখে চলেছে।অন্যায়ভাবে ধরপাকড় তো নিত্য নৈমিত্তিক।
অবিলম্বে ক্যসিংমং মার্মা হত্যাকারী সেনা সদস্যদের শাস্তির অাওতায় অানা হোক। এবং সেনাবাহিনী এ ধরনের কর্মকান্ডকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।।।।।।।।


EmoticonEmoticon