শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা ছিল দুঃখজনক! যতই তিনি স্বৈরশাসক হয়ে উঠুন এভাবে সামরিক বাহিনীর হাতে স্বপরিবারে তাঁকে হত্যা ছিল ক্ষমতার লোভ, মসনদের ভাসনা। যারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল তারা অনেকদিন থেকে মোক্ষম একটি সুযোগ খুঁজেছিল যার সময়টি হল ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাস। মুক্তিযুদ্ধের চার বছরের মাথায় একজন শক্তিশালী জনপ্রিয় নেতাকে কেন হত্যা করা হল? জনগণের পক্ষ থেকে কেন প্রতিরোধ গড়ে উঠলো না? এগুলো এড়িয়ে গিয়ে আওয়ামীলীগ বুদ্ধিজীবী মহলে যা প্রচার হয় তা হল শেখ মুজিবুর রহমান খুব মহৎ ছিলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেন নাই, কোন বিরোধী হত্যা করা হয় নাই, রক্ষীবাহিনী, মুজিব বাহিনী কমিউনিস্ট হত্যা, বিরোধী হত্যায় মেতে উঠে নাই। ফলে শাসক শেখ মুজিব নিষ্পাপ ছিলেন। এগুলো আওয়ামীলীগ ঘরানার বয়ান। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন যা এড়িয়ে যাওয়া হয়।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে আসেন। সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত দেশকে কিভাবে গোছানো যায়, কিভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা যায় এগুলোর ঘাটতি ছিল যথেষ্ট। দেশে ফিরেই তিনি তাজউদ্দিন এর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নেন। তিনি চাইলে তাজউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী রেখে জাতীয় নেতা হয়ে থাকতে পারতেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই ছাত্রলীগের মধ্যে দুইটি ধারা ছিল। ৬৯-৭০ সালের দিকে ছাত্রলীগের মধ্যে স্পষ্টত দুইটি ধারা ছিল। প্রথমত জাতীয়তাবাদী ধারা আর সমাজতন্ত্রী ধারা। তখনকার সময়ে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুনিয়াব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ফলে তরুণ যুবকদের মধ্যে এর ব্যাপক প্রভাব ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা হবে সেটাই চাইতো ছাত্রলীগের সমাজতন্ত্রী ধারা। যদিও সমাজতন্ত্র মাক্সবাদ নিয়ে তাদের মধ্যে স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। এক ধরণের কাল্পনিক আকাঙ্ক্ষা থেকে সমাজতন্ত্র তাদের কাছে হয়ে উঠেছিল একটি বিশাল প্রত্যাশিত বিষয়। ফলে ১৯৭২ সালের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আলাদা হয়ে যায়। তখনো জাসদের জন্ম হয় নাই। তখন ছাত্রলীগের সমাজতন্ত্রী গ্রুপের নেতা ছিলেন সিরাজুল আলম খান আর অন্যদিকে শেখ মনি। সিরাজুল আলম খান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সব দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে রাজি হলেও তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এরকম একটি কথকপোতন তুলে দিলাম।
মুজিবঃ অন্যকোন দল আসবে না। সুতরাং এই চিন্তা বাদ দাও।
সিরাজঃ কথাবার্তা বলতে হবে সবার সাথে। তোহা ভাইকে আমি যেমন করে হোক ম্যানেজ করব। সিরাজ শিকদারকে আমি আনতে পারবো।
মুজিবঃ আমার মনে হয় না এটা সম্ভব হবে। আমার দলের অনেকেই এটা পছন্দ করবে না।
(সূত্রঃজাসদের উত্থান পতন - অস্থির সময়ের রাজনীতি, মহিউদ্দিন আহমদ)
এর কিছুদিন পরে শেখ মুজিবুর রহমান গণভবনের চত্বরে সিরাজুল আলমকে বলেছিলেন ' পারলাম না রে, সিরাজ। আওয়ামীলীগ এর অনেক প্রভাবশালী নেতা এর বিরোধিতা করেছিলেন'। (সূত্রঃ পূর্বক্ত)
ফলে যা হয়েছিল পাকিস্তান গণ পরিষদে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত হল স্বাধীন দেশের প্রথম সরকার যাদের উপর ন্যস্ত হয় সংবিধান রচনার দায়িত্ব। এটা কী নৈতিকভাবে সঠিক ছিল?
১৯৭২ সালের ২১-২৩ জুলাই ছাত্রলীগের দুই গ্রপের আলাদা সম্মেলনের আয়োজন করে। উভয় গ্রুপ শেখ মুজিবুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানায় উদ্বোধন করার জন্য। কিন্তু সিরাজ-রব গ্রুপকে অবাক করে দিয়ে তিনি মাখন-সিদ্দীকি গ্রুপের সম্মেলনে হাজির হন। ফলে সেখান থেকে ছাত্রলীগের সিরাজপন্তীরা আলাদা হতে থাকে। জাসদের জন্মের ভ্রুণ সেখান থেকেই জন্ম নেয়। আসলে আওয়ামীলীগ এর মত জাতীয়তাবাদী বুর্জোয়া দলকে ছাত্রলীগের এই র্যাডিকেল তরুণদের ধারণ করা সম্ভব ছিল না। ফলে জাসদের উত্থান ছিল ঐতিহাসিক বাস্তবতা। ফলে জাসদ একটি বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর একটি ঘরোয়া মিটিং এ। যার আহবায়ক মেজর জলিল এবং যুগ্ন আহবায়ক আ স ম আব্দুর রবকে নিয়ে সাত সদস্যের কমিটি হয়।
জাসদ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলতো। এর কারণ ছিল। যখন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদকে মুজিববাদ বলা হত। এর বিপরীতে মার্ক্সবাদকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র বলার মাধ্যমে জাসদ আলাদা অস্তিত্ব জানান দিত। যদিও মার্ক্স বা লেনিনের রাজনৈতিক লাইন দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ, সেই অনুসারে পার্টি গঠন, তাত্ত্বিক বিষয়ে পড়াশোনা করা এগুলোর যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যায়। ফলে জাসদ একটি বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও এদেরকে মার্ক্সবাদী বলা যায় না। যদিও জাসদের তরুণদের মধ্যে যথেষ্ট সাহস আকাঙ্ক্ষা ছিল সমাজতন্ত্রের প্রতি। কিন্তু মধ্যবিত্ত বা পেটিবুর্জোয়া শ্রেণীকে শ্রমিক কৃষকের সাথে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা খুব ছিল না। যতটা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা ছিল। ফলে একটি পেটিবুর্জোয়া হঠকারী পার্টি ছিল জাসদ। যাদের রাজনৈতিক লাইনের মধ্যে কোন সঠিক রোডম্যাপ ছিল না। ফলে দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি ছিল না। সরকার বিরোধী লোকজন জাসদে এসে ভীড় করতো। অল্প দিনেই জাসদ শক্তিশালী দলে পরিণত হয়। ফলে জাসদের নানা কর্মসূচী পালনে নানা বাঁধা, নানা ধরণের নির্যাতনের সম্মূখীন হতে হয়। ১৯৭৩ সালের নির্বাচন ছিল ব্যাপক কারচুপির। ফলে বিরোধী আসন জিতেছিল মাত্র আটটি। জাসদ জিতেছিল একটিতে এবং অনেক আসনে জেতার সম্ভাবনা থাকলেও জিততে দেওয়া হয় নাই। যুদ্ধের পরে সবাইকে অস্ত্র ফেরত দেওয়ার আহবান করলেও কোন পক্ষ তেমন সাড়া দেয় নাই। আবার রক্ষীবাহিনী গঠন করার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠলো আধা সামরিক দলীয় গুণ্ডাবাহিনী। যাদের কাজ ছিল বিরোধী হত্যায় মেতে উঠা। কোথাও এদেরকে জবাবদিহি করতে হত না। ফলে বিরোধী কমিউনিস্ট নিধনে, জাসদের কর্মীদের উপরে রক্ষী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়। জাসদ ১৯৭৪ সালে বিপ্লবী গণবাহিনী গঠন করে। ফলে এই বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় রক্ষীবাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। কিন্তু একটি বিপ্লবী দলের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে গণবাহিনী গড়ে উঠেনি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় হঠকারীভাবে অস্ত্রের ব্যবহার দেখা যায়। অন্যদিকে চীনাপন্থী কমিউনিস্ট নিধনে সরকার উঠেপড়ে লাগে। ফলে তখনকার চীনাপন্থী কমিউনিস্ট গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এটাকে শুধুমাত্র চীনাপন্থীদের চাপায়ে দিলে ভুল হবে। বরং ৭১ সাল থেকে আওয়ামীলীগ মুজিববাহিনী যেভাবে কমিউনিস্ট নিধন শুরু করেছিল তার পালটা হিসেবে এরাও পালটা লড়াই চালায়। যার ফলে দেখা গেছে কমরেড সিরাজ শিকদারকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে সংসদে দাঁড়িয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেন 'কোথায় আজ সিরাজ শিকদার'। ফলে বিনাবিচারে হত্যার রাজনীতি তখন থেকেই শুরু হয়। একটি নতুন জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে, মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারকে ভুলুন্টিত করে যে দলীয় লুন্ঠন আর হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল সেখান থেকে বাংলাদেশ কী বের হতে পেরেছে?
১৯৭৩ সালের শেষের দিক থেকে চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ছিল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া। চালের দাম ৮-১০ টাকা তারও উপরে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তেমন নাই। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য আসলেও তার সামান্য ভাগ পেয়েছে জনগণ, বাকিটা নেতাকর্মীরা মেরে দিত। জুতদার আড়ৎদার আর চোরাই কারবারি ইচ্ছেমত কাজ করেছে। ফলে শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা তলানিতে পড়ে যায়। তিনি সব বিষয়ে অবগত হলেও প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই।
উদ্দেশ্য যাই হোক বাকশাল কোন সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে না। কারণ বাকশাল কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল? বুর্জোয়া, পেটিবুর্জোয়া, জোতদার, মহাজন, চোরাকারবারি, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী নানা শ্রেণীর পেশার মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল এই বাকশালে। ফলে মার্ক্সবাদের সাথে এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরাট ব্যবধান ছিল। মার্ক্সবাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাজতন্ত্র হল শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কতন্ত্র। এই একনায়কতন্ত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য হল শ্রেণী এবং রাষ্ট্র বিলুপ্তির দিকে আগানো। ফলে বাকশালের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র কায়েম হওয়ার কোন বাস্তবতা ছিল না। ফলে বাকশাল হয়ে উঠেছিল একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেখানে ভিন্নমতকে শক্ত হাতে দমন করা হত। আবার বাকশাল গঠনে আওয়ামীলীগ এর মধ্যে দক্ষিণপন্থী গ্রুপ নাখোশ ছিল। তাদের সাথে আতাত করেছিল সেবাবাহিনীর কিছু ক্ষমতালোভী ব্যক্তি। ফলে শেখ মুজিবুর রহমান যে পরিস্থিতিতে যে বাস্তবতায় দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন নাই। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতালোভী কিছু লোক ১৫ আগষ্টের সুযোগ নিয়েছিল। যা অবশ্যই মর্মান্তিক, হৃদয় বিদায়ক! কিন্তু এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে আওয়ামীলীগ এর দায়, শেখ মুজিবুর রহমানের দায় ছিল না? বেশিরভাগ মানুষ এটাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছিল। এর কারণ কী আগের চার বছরের শাসনের মধ্যে নিহিত ছিল না?
এরকম একটি ঘটনার বর্ণনা করবো। কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর শতাব্দী পেরিয়ে বই থেকে।
“সে রাতে আমি চট্টগ্রামে এক লোকের বাসায় ছিলাম। তিনি একসময় দারুণ মুজিবভক্ত ছিলেন, তবে আমাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল ছিলেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পরপরই যখন শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামে জনসভা করতে আসেন, তখন ঐ ভদ্রলোক তার ছেলেকে নিয়ে গাছে উঠেছিলেন যাতে তার ছেলেটি প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে পায়। এমনই মুজিবভক্ত তিনি ছিলেন। তাই তার বাড়িতে আশ্রয় দিলেও আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই বলিনি। শুধু বলেছিলেন খুব ভোরে আমাকে জাগিয়ে দিবেন, ঢাকাগামী প্রথম বাসটা ধরতে চাই। দিনের আলোতে সরকারী গোয়েন্দা বিভাগের কেউ দেখুক তা আমি চাইনি। খুব ভোরে আমি উঠতে পারি। কিন্তু সকাল ৭টায় গৃহকর্তা আমাকে জাগিয়ে তুললেন, বললেন, 'তাড়াতাড়ি উঠুন।' আমি ভাবলাম ভোরে প্রথম বাসটা ধরত্র পারিনি, তাই তিনি এমনভাবে ডাকছেন। না, সে সব কিছু নয়। গৃহকর্তা বললেন,'এখনো ঘুমিয়ে! এদিকে ঘটনা ঘটে গেছে, মুজিব মারা গেছে!'
“কী বলেন?” আমি চমকে উঠলাম!
ভদ্রলোক বললেন, 'কাল রাতে চুরি হয়েছে, অনেক কিছু চোর নিয়ে গেছে। তা যাক গে! লোকটা মরেছে, বাঁচা গেছে!' আমি কিছু বুঝতে পারছি না। শুধু এটুকু বুঝলাম, যিনি একসময় দারুণ মুজিবভক্ত ছিলেন, তিনি এখন তার মৃত্যুতে ভেশ খুশি হয়েছেন”।
এরকম জনপ্রিয় নেতা এভাবে জনগণের মন থেকে মুচে যেতে পারেন নিজের কৃর্তীর কারণে। আজকের শাসকদল আওয়ামীলীগ একই পরিস্থিতি আচরণ করছে জনগণের সাথে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় লাঠিয়েল দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করছে। যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। তবে আমি মনে করি জনগণ তার নিজস্ব শক্তি দ্বারা কোন স্বৈরশাসককে উৎখাত করবে। অন্য কোন শক্তির সাহায্য নেওয়া মানে নিজেদের আরো করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়া। এজন্য জনগণের নিজস্ব শক্তি নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রন্থ সহায়িকাঃ
১. জাসদের উত্থান পতন - অস্থির সময়ের রাজনীতি, মহিউদ্দিন আহমদ
২.শতাব্দী পেরিয়ে, হায়দার আকবর খান রনো
৩. ইতিহাসের কাঠগড়ায় আওয়ামীলীগ, আহমেদ মুসা
৪. তাজউদ্দিন আহমদ নেতা ও পিতা, শারমিন আহমেদ
EmoticonEmoticon