কাউকে সমর্থন না করা কিংবা কারও মত ও পথের বিরোধিতা করার অর্থ এই নয় যে তাকে আমি মানুষের মর্য্যাদা থেকে বঞ্চিত করে অপমান করবো।
মানুষের মতের ভিন্নতা মানুষের সাথেই হয়। ফলে, মত-বিরোধের পূর্বানুমতি হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের উভয়ই মানুষ, এবং মানুষ বলেই তার পরস্পরের কাছে মনুষ্য মর্য্যাদা না চাইতেও দাবী করে।
খালেদা জিয়ার সাথে শেখ হাসিনার স্পষ্টতঃ মতভিন্নতা ও বৈরিতা আছে। কিন্তু জাতি কি আশা করে না যে তাঁরা পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখেই একের মতের সাথে অপরের ভিন্নতা প্রকাশ করবেন?
শেখ হাসিনা যখন একবার খালেদা জিয়া সম্পর্কে 'তাহলে ফালুর হবে কী' জাতীয় একটি অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন, সেদিন আমি সত্যি মর্মাহত হয়েছিলাম এই ভেবেঃ আমার জন্মভূমিতে, আমার জাতির নেতৃত্বদানকারী নেত্রী কীভাবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রীর প্রতি এমন মন্তব্য করতে পারেন?
তখন আমি এই ফেইসবুকেই শেখ হাসিনার সমালোচনা করে একটি লেখা পৌষ্ট করেছিলাম। কিন্তু অধিকতর দুঃখের সাথে লক্ষ করেছিলাম আওয়ামী লীগের বন্ধুরা শেখ হাসিনার ঐ অশ্লীল মন্তব্যকে বিএনপির বিরুদ্ধে একটা জবরদস্ত স্কৌর হিসেবে উদযাপন করেছিলেন।
সত্যি বলতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে গত তিন দশক ধরে যে 'ইনসাল্টিং কালচার' বা 'অপমানের সংস্কৃতি' গড়ে উঠেছে, তার পেছেনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যকার শালীনতা বিবর্জিত অপমানমূলক ঝগড়া নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে।
রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে নিয়ে হাস্যরস করা যাবে না, তা নয়; কিন্তু সেটি করারও মধ্যেও একটা নৈতিক মান থাকা চাই।
EmoticonEmoticon