শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

UAPA নিপাত যাক। কালা কানুন নিপাত যাক।

মৃত এক কমিউনিস্ট বিপ্লবীকে ভয় পায় শয়তান রাষ্ট্র।
তাই নিয়মের ধার ধারে না সরকার।
রাজনৈতিক বন্দী সুদীপ চোঙদারকে টানা সাতদিন প্রেসারের ওষুধ না দিয়ে, তারপর হার্ট অ্যাটাক হলে সাত ঘন্টা জেলে সেভাবেই ফেলে রাখা হয়। যাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা যায়।
গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অবশেষে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ততক্ষনে তার মৃত্যুকে নিশ্চিত করে ফেলা হয়।
বহু শুভবুদ্ধি মানুষের অনুরোধ উপরোধ সরকারকে এই অবহেলা থেকে টলাতে পারেনি বিন্দুমাত্র।
এইভাবে পরিকল্পনা মাফিক পথে তাকে হত্যা করে রাষ্ট্র। এখনও সারা দেশের বহু জেলে অজস্র রাজনৈতিক বন্দী আটক। আপনাদের নীরবতা তাদের অমানবিক হত্যার দিকে ঠেলে দেবে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে মৃত্যুর ৪ ঘন্টা অর্থাৎ ব্রেন ডেথ না হওয়া অব্দি মৃতদেহ ছাড়া হয় না চিকিৎসকের আওতা থেকে। চিকিৎশাস্ত্রের সকল সমস্ত নিয়মকে উপেক্ষা করে তড়িঘরি সুদীপ চোংদারের মৃতদেহকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হল। সুদীপ চোংদারের পরিবারকে উপেক্ষা করা হল। লাশের মালিক হয়ে গেল সরকার। স্বেচ্ছাচারিতার যে চূড়ান্ত সীমায় সরকার পৌঁছাতে পারে তা শুধু ব্রিটিশ আমলে মাষ্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসির ঘটনায় আমরা দেখেছি।

পরিকল্পনা মাফিক হত্যার অন্যতম নজির স্বপন দাশগুপ্ত, রঞ্জিত মুর্মু, তরুন সাহা, সুদীপ চোংদার। একের পর এক রাজনৈতিক বন্দীর বিণা চিকিৎসায় মৃত্যুর পর চোয়াল শক্ত করে প্রতিবাদে না নামলে চলতেই থাকবে রাষ্ট্রশক্তির এই বর্বরতা। মৃত্যুর পরও অবিচার !

আজ সুদীপ চোঙদার মারা যাওয়ার পর পরিবারের লোকজনকে খবর না দিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে মৃত্যুর পর চার ঘন্টার অনেক আগেই বডি মর্গে ঢুকিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার কোন সদুত্তর দিতে পারলো না! মৃত্যুর পর ও ষড়যন্ত্র !!
ধিক্কার!!


EmoticonEmoticon